রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই বৈঠকে পুতিন যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হন তবে তাকে ‘কঠোর পরিণতি’ হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
শুক্রবার যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট পুতিন বৈঠকে বসবেন, তখন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আলোচনা হতে পারে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্পের কাছ থেকে ছাড় আদায়ের চেষ্টা করতে পারেন পুতিন। এমনটি ধারণা করছে মার্কিনভিত্তিক থিংকট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ)।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানিতে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কেন ‘বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদির ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার? বাংলাদেশের বাণিজ্যে কেমন হতে পারে এর প্রভাব?
মোদির সাথে রিলেট করব, কোনোদিন ভাবি নাই। একজন জেনজি হিসেবে মোদি ট্রাম্পের থেকে যে দাগা খাইল, তার জন্য গভীর সিম্প্যাথি বোধ করলাম। এই রকম সিচুয়েশনে বা ‘সিচুয়েশনশিপ’-এ বেঈমানির শিকার আমরা রেগুলার হই।
আল-জাজিরার এক্সপ্লেইনার
রাশিয়া ঘোষণা দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের একটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি আর মানবে না। এই ঘোষণার ফলে নতুন করে এক ধরনের শীতল যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে শান্তি আলোচনায় বসার পদক্ষেপ নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা (ডেডলাইন) শেষ হচ্ছে আজ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আজকের মধ্যেই শান্তি আলোচনায় বসার কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পুতিনকে বাধ্য করতে চাইছেন ট্রাম্প।
ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে এখন ভারতের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত মোট শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশ। অথচ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবেই পরিচিত।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ না নিলে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে যেসব দেশ বাণিজ্য করবে, তাদের ওপরেও দ্বিতীয় ধাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যারা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রাশিয়া থেকে তেল কিনে পুতিনকে অর্থায়ন করবে, তাদের ওপরও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্যের আমদানির ওপর মোট শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশে। যা চীনের ওপর আরোপিত শুল্কের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি এবং পাকিস্তানের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।
গত ৩০ জুলাই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যের ওপরও ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কারোপ করেন ট্রাম্প। রাশিয়া-ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে দুদিন আগেও সোমবার (৪ আগস্ট) ট্রাম্প এই পাল্টা শুল্ক আরো বাড়ানোর ব্যাপারে সরাসরি হুমকি দিয়ে রেখেছেন।
দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসেই পুরোনো কৌশলে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্ককে হাতিয়ার বানিয়ে শুরু করেছেন নতুন এক বাণিজ্যযুদ্ধ। তাঁর চোখে এটি শুধু অর্থনৈতিক নীতি নয়, বরং বহুমুখী লক্ষ্য অর্জনের কৌশল।
নতুন পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হোয়াইট হাউস এক বিবৃতি দিয়ে সংশোধিত শুল্কহারের এ ঘোষণা দেয়। ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক অংশীদার ৬৯টি দেশের ওপর আরোপ করা শুল্কহারের তালিকা দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অতিরিক্ত শুল্ক বাস্তবায়ন করার পর তাঁর নিজ দেশেই তৈরি হয়েছে নানামুখী চাপ। বিশেষ করে, শুল্ক আরোপের সবচেয়ে প্রভাব পড়েছে মার্কিনিদের ওপরেই। দেশটির কোম্পানিগুলো কীভাবে এই চাপ সামলাবে, তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন।
এখন হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিলে স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে। এর আগে দলীয় সদস্যদের প্রতি ট্রাম্প আহ্বান জানিয়েছিলেন, ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের আগেই যেন বিলটি পাস হয়।
পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। ভ্যাটিকানে বাজছে শোকসংগীত। ঠিক তখনই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হালকা রস লাগিয়ে বললেন, ‘আমি পোপ হতে চাই, এটাই আমার এক নম্বর পছন্দ।’