তারেক মাসুদ নামটি খুব নৈর্ব্যক্তিকভাবে উচ্চারণ করা আমার জন্যে সহজ কাজ নয়। আমি তাঁর ছাত্র, অনুসারী, সহযোগী বা উত্তরসূরি হলেও অন্য অনেকের মতোই আমিও তাঁকে তারেক ভাই বলে ডাকতাম। কিন্তু এই ভাই ডাকার অভ্যস্ততা দীর্ঘদিনের অভ্যাসে এত গভীরে প্রোত্থিত যে আনুষ্ঠানিক কারণেও শুধু নামটি উচ্চারণে আমার অস্বস্তি হয়।
মাত্র ২৮ বছরের তরুণ ছিলেন আল-জাজিরার ফিলিস্তিনি প্রতিবেদক আনাস আল শরীফ। স্পষ্টতার সঙ্গে তুলে ধরতেন ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার অমানবিক রূপ। তাঁর প্রতিবেদনে প্রাণহীন শুষ্ক তথ্য ছাড়িয়ে উঠে আসত অবরুদ্ধ জীবনের নিখাদ ও অনাবৃত প্রতিচ্ছবি।
হুমায়ুন আজাদ আধুনিকতাবাদী সাহিত্য-নন্দনতত্ত্বের লেখক হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত; নিজেও কবিতা লেখার ফিরিস্তি হিসেবে সেই পরিচয়কে বিশেষভাবে জাহির করেছেন। শিল্পের নির্মাণে এবং শিল্পের উপস্থাপন-কৌশলের বেলায়ও এই বিষয় সত্য বলে প্রতীয়মান হবে তাঁর সাহিত্য-পাঠের বেলায়।
গত বিশ বছরে হাতি-মানুষের লড়াই চলছে। হাতির আক্রমণে পাহাড়ি ও বাঙালি উভয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। গত বিশ বছরে সত্তরের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিভাজনের প্রেক্ষাপটে ‘ঐক্য’ ধারণার সীমাবদ্ধতা ও বিপদ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দারিদ্র্য, শ্রমিক শোষণ, ধর্মভিত্তিক প্রভাব, শ্রেণি-বৈষম্য ও শিক্ষার অভাবকে বিভাজনের মূল কারণ হিসেবে দেখিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি, দ্বিমুখী সংগ্রাম এবং মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে...
এক বছর পর এসে কেউ এই গণ-অভ্যুত্থানকে ‘বেহাত বিপ্লব’ বলছেন। কেউ বলছেন, সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। কেউ কেউ মব সন্ত্রাস, দক্ষিণপন্থীদের উত্থান, সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তির নানা হস্তক্ষেপের কারণে নানামাত্রিক আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকবে, কিন্তু হলে থাকবে না—এটা একটা অদ্ভুত দাবি! সেই অদ্ভুত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গভীর রাতে হলগুলোতে প্রকাশ্য-অদৃশ্য কিংবা উন্মুক্ত-গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সাতচল্লিশ ও একাত্তরের মধ্যবর্তী ‘বাংলা দেশ’ ও ‘বাঙালি’র ধারণা যে সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গীয় জন-রাজনীতি সাপেক্ষ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
শহিদ ও শাহাদাতের ধারণা আদিতে মুসলমানের হলেও উপমহাদেশে মুসলমানের পাশাপাশি হিন্দু, শিখ—সব পরিচয়ের মানুষই ‘শহিদ’ হয়েছে। ‘শহিদ’ ধারণাটি আধুনিক দক্ষিণ এশিয়ায় একটি প্রায়-সর্বজনীন রাজনৈতিক ধারণা আকারে হাজির।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের লেখা
৫ আগস্ট ছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি। এ উপলক্ষ্যে ২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক ‘অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে কেমন বিশ্ববিদ্যালয় পেলাম?’ শিরোনামে এক সেমিনারের আয়োজন করে। সেখানে পঠিত হয় এই লেখা।
২২ শ্রাবণ স্মরণে
আমরা হয়তো অভিযোগ তুলতে পারি, রবীন্দ্রনাথ আর কিছুই নন—উনিশ শতকের উপনিবেশিত কলকাতার চিত্তদূতমাত্র। জমিদারির অঢেল বিত্তে বেড়ে ওঠাদের দলে তিনিও ছিলেন। তাহলে সে কথা হবে আংশিক সত্য।
২২ শ্রাবণ স্মরণে
আজ ২২ শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুদিন। বাংলাদেশের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক বিবেচনার মাত্রাগত বৈচিত্র্য আছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় কখনো কখনো এ দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক বিচারে কাজ করে নানা সমীকরণ। সেটা কী?
মোহাম্মদ আজমের লেখা
দেশের মানুষের ব্যক্তিগত এবং সামষ্টিক দিনপঞ্জিতে তারিখটিকে স্থায়ী করে দেওয়ার মতো ঘটনাটি ঘটেছে আজ থেকে এক বছর আগে–২০২৪-এর ৫ আগস্ট। সেদিন এদেশের কোটি কোটি মানুষের আত্মার সামষ্টিক আকুতিকে সাফল্যের আনন্দে ভাসিয়ে দিয়ে এক অভাবনীয় গণ-অভ্যুত্থানের পরিণতি এসেছিল।
বিশ্বজুড়ে মুক্ত বাণিজ্যের যুগ শেষ হয়ে এখন প্রতিটি বড় অর্থনৈতিক শক্তি নিজেদের স্বার্থে আলাদা জোট তৈরি করছে, বাড়ছে আত্মনির্ভরতার ঝোঁক।
ফ্রান্সিস ফুকুয়ামার ভাষায়, দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠানের শক্তি ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিশ্বাসের মাত্রার ওপর অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ভর করে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একদফার ডাক। পথে নেমে আসেন ছাত্র-জনতা—নাগরিকেরা। এ সময় শেখ হাসিনা সরকারকে অভিশাপ দিয়েছিলেন এক অধ্যাপক।