leadT1ad

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত /বোনের পর চলে গেল ৯ বছরের নাফিও

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
মেট্রো স্টেশনে বাবা-মায়ের সঙ্গে তোলা ছবিতে হাসিমুখে নাজিয়া ও নাফি। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হাসপাতালে নাফি নামের আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইউএনবি বলেছে, গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪৪ জনের মধ্যে নাফি নামের ৯ বছর বয়সী একটি শিশু মারা গেছে। শরীরের ৯৫ শতাংশ পোড়ার ক্ষত নিয়ে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি।

এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মারা যায় নাফির বড় বোন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজিয়া। তার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। নাজিয়া ও নাফি বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় বসবাস করত। দুজনেই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।

ইউএনবি জানিয়েছে, গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে কুর্মিটোলার বিমান বাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর যুদ্ধবিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে বিধ্বস্ত হয়। পরে জানা যায়, স্কুল চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হওয়া ওই বিমানটি ছিল বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় দেড় শতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে যার বেশিরভাগই শিশু। যারা এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে, তাদের অধিকাংশের শরীরও মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

নাফির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের সংখ্যা কমে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৩ জন, ঢাকা সিএমএইচে ২১ জন, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ১ জন, শহিদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন এবং উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন ভর্তি আছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত