২০১৩ সালে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে সরকারি উদ্ধার বাহিনী পৌঁছানোর আগেই হাজার হাজার সাধারণ মানুষ খালি হাতে কংক্রিট সরাচ্ছিল। চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় আহতদের জন্য রক্তদান বা তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজগুলো সাধারণ ছাত্র-জনতাই করেছে।

এর আগে রোববার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সংশোধিত তালিকা অনুযায়ী মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ জন।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আমাদের ছেলে সূর্য সময় বিশ্বাস। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আর একই বিদ্যায়তনের কলেজ শাখায় শিক্ষকতা করি আমি। প্রতিদিন ছেলেকে আমিই স্কুলে নিয়ে আসি। তবে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার আগের দিন (২০ জুলাই) সূর্য স্কুলে যায়নি।

রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘিরে নতুন করে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন দেশের নগর পরিকল্পনাবিদেরা। যেখানে বলা হয়েছে, স্কুলটি বিমান চলাচলের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ ‘এপ্রোচ লাইন’-এর মধ্যেই অবস্থিত।

পরিবারের ছোট সন্তান মাকিনকে নিয়ে বাবা-মায়ের ছিল একরাশ স্বপ্ন। বাবা তাঁকে প্রতিদিন সকালে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে কাজে যেতেন। বিকেলে আবার নিয়ে আসতেন। এ সময় কিশোর মাকিন ভাবত, আজ ঘরে ফিরে রংপেনসিলের আঁচড়ে কোন পাখিটাকে জীবন্ত করে তুলবে সে।

ছোট বোন রাইসার মৃত্যুর পর এখন স্কুলের যেতে ভয় পায় সিনথিয়া। আবার কখন বিমান ভেঙে পড়বে স্কুলে সেই আতঙ্ক সব সময় তাড়া করে ফিরছে তাকে।

গার্ড অব অনার ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কবর জিয়ারত ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১৫ জন মারা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সর্বশেষ হতাহতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টা নাগাদ পাওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে, এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ জন।

রাজধানীতে সামরিক স্থাপনার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ঢাকার মতো জনবহুল নগরীতে অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া উন্নয়নের মাঝে এই প্রয়োজনকে সামাল দেওয়ার উপায় কী?