সীমান্ত সংঘাত
সীমানা নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিবাদের ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৮৬৩ সালে কম্বোডিয়ায় ফরাসি দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রান্সের একটি আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়। থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয় হয় মূলত ১৯০৭ সালে।
দুই পক্ষই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চায়। লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই দেশের সঙ্গে শুল্কবিষয়ক আলোচনাও স্থগিত থাকবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আগে বেশ খারাপের দিকে যাবে। আল-জাজিরা বলছে, উভয় দেশের বর্তমান নেতাদের পিতা তথা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এবং প্রাক্তন থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরোধ এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক খায়েশকে ইন্ধন জোগাবে
আজ শনিবার (২৬ জুলাই) কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা সাংবাদিকদের জানান, নিহত ১২ জনের মধ্যে ৭ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৫ জন সেনাসদস্য রয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার থাই সেনাদের ছোড়া রকেটে বৌদ্ধ প্যাগোডায় আশ্রয় নেওয়া এক কম্বোডিয়ান নাগরিক নিহত হন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে সীমান্ত বিরোধের জেরে উভয় দেশের সেনারা পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ করে।
পেতংতার্ন হতে পারেন সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য, যিনি পূর্ণ মেয়াদ শেষ হবার আগেই ক্ষমতা হারাবেন। এর আগেও তাঁর বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও ফুফু ইয়িংলাক সিনাওয়াত্রা অভ্যুত্থান ও আদালতের রায়ে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন।