leadT1ad

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত কুলাউড়ার দিদারুল, এলাকায় শোক

স্ট্রিম সংবাদদাতামৌলভীবাজার
বন্দুকধারীর গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নিউইয়র্ক পুলিশের সদস্য দিদারুল ইসলাম। স্ট্রিম গ্রাফিক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে একটি বহুতল অফিস ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নিউইয়র্ক পুলিশের সদস্য দিদারুল ইসলাম (৩৬) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শেন তামুরা (২৭) নামের এক যুবক এ হামলা চালান। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে হামলাকারী শেন তামুরা ছাড়াও দুজন পুরুষ, একজন নারীও রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, চারজনকে গুলি করে হত্যার পর বন্দুকধারী নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।

নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম রতন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার মাগুরা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম মো. আব্দুর রব ও মাতার নাম মিনারা বেগম। দিদারুল প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে নিউইয়র্ক পুলিশে কাজ করছিলেন। ব্রঙ্কস বরোর পার্চেস্টার এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। আর তাঁর কর্মস্থল ছিল ব্রঙ্কসের ৪৭ প্রিসন্ক্ট।

সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১টায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে দিদারুল ইসলামের মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়। হামলায় দিদারুল নিহত হওয়ার খবর শুনে তাঁর বাবা আব্দুর রব হৃদরাগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে কুলাউড়া পৌরসভার মাগুরা এলাকায় নিহত দিদারুলের বাসায় দিদারুলের ফুফু তাহেরা বেগম দুলির সঙ্গে। এসময় তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্কে থাকা স্বজনদের মাধ্যমে সোমবার জানতে পারি আমার ভাইপো দিদারুল সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। দিদারুল খুবই ভালো শান্তশিষ্ট ও মেধাবী ছেলে ছিল।’

রতনের গ্রামের বাড়ি বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শিক্ষারমহল গ্রামে। তাঁর বাবা আব্দুর রব একসময় কুয়েত ছিলেন। প্রায় দুই যুগ আগে বড়লেখা থেকে কুলাউড়া পৌরসভার মাগুরা এলাকায় বাসা নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।

দিদারুলের ফুফু আরও বলেন, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে রতনের মামার আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান দিদারুল। সেখানে গিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে নিউইয়র্ক পুলিশে যোগ দেন। দেশে থাকা অবস্থায় দিদারুল কুলাউড়া নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

পৌরসভার মাগুরা এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেল বলেন, ‘দিদারুল আমার এলাকার বাসিন্দা। দেশে থাকা অবস্থায় তিনি একজন ভালো খেলোয়াড় ছিল। প্রায় ১৬ বছর ধরে দিদারুল নিউইয়র্কে বসবাস করছেন। সেখানে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হওয়ার খবর শুনে তাঁর বাসায় ছুটে আসি। তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুতে মাগুরাসহ কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত