গোপালগঞ্জে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ড. মো. আবু তারিককে সভাপতি করে এই তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
গোপালগঞ্জে সহিংসতা
সংঘর্ষে নিহত দীপ্ত সাহাসহ চারজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও শেষকৃত্য করা হয়। তবে সোমবার তিনজনের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা দাবি করছেন, মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহগুলো হস্তান্তর করেছে। এ দাবি সত্য নয় বলে বিবৃতি দিয়েছে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গোপালগঞ্জে সহিংসতা
গোপালগঞ্জে জাতীয় নগারিক কমিটির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’ কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এতে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ৪৪৪টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় ১২১ জন নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৮৯২ জন।
এ বছরের প্রথম ছয় মাসে কমপক্ষে ৫২৯টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৯ জন।
একজন নারী এখানে সহিংসতার শিকার হলেন। কিন্তু সেটি কী ধরনের সহিংসতা বা যে অপরাধটি ঘটল, তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় অানার কোনো চেষ্টাই তৎক্ষনিকভাবে করা হল না; বরং সহিংসতার ‘সারভাইভার’কে আরও ভয়াবহভাবে সহিংসতার মুখে ঠেলে দেওয়া হল। আক্রান্ত নারীর ভিডিও ধারণ করলেন একাধিক ব্যক্তি। তাঁকে মারধরও করলেন।