দুই বছর আগেও বাংলাদেশিদের কাছে শেখ মুজিবের সমালোচনা এক অকল্পনীয় বিষয় ছিল। আজ সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝেও শোনা যাচ্ছে, ‘পাকিস্তানি আমলেই ভাল ছিলাম’ এর হাহাকার।
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন হয়। সেই দিনের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো গোপন টেলিগ্রামে ১৬ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহ প্রেরণ করা হয়।
১৫ আগস্ট। দুই বছর আগেও এ দিনে আয়োজন করে পালন করা হতো জাতীয় শোক দিবস। শোক পালন হতো আগস্ট মাসজুড়েই। আর শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতার কেন্দ্রে থাকত ধানমন্ডি ৩২। এবার তার কিছুই হয়নি। বরং দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দিনে ধানমন্ডি ৩২-এ হয়েছে ডিজে গান ও নাচ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে একদলীয় শাসন থেকে নতুন এক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সূচনা হয়। সামরিক অভুত্থানের মাধ্যমে সংঘটিত এই পালাবদলকে তখন ঢাকার মার্কিন দূতাবাস দেখেছিল এক ‘সফল ও চ্যালেঞ্জহীন ক্ষমতার পরিবর্তন’ হিসেবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দাবি করেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জনক নন। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ মুজিবের হত্যার ঘটনাকে নানাভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। এভাবে তিনি দ্বিতীয়বার নিহত হতে থাকলেন।
মার্কিন নথিতে কিসিঞ্জারের মন্তব্য, ‘আমরা কি তাঁকে (শেখ মুজিব) এটা গত বছর বলিনি?’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। ওই দিন সকাল ৮টায় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন।
আজ ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য শেখ মুজিবকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
আজ ১৫ আগস্ট
আজ ১৫ আগস্ট। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ৫০ বছর। ১৯৭৫ সালের এই দিনে শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে একদলীয় শাসন থেকে নতুন এক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সূচনা হয়।