এর আগে এনসিপির কোনো পথসভায় এত মানুষ দেখা যায়নি। পথসভায় আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এত মানুষ জমায়েতের কারণ সারজিস আলম ও খান তালাত মাহমুদ রাফি। তাঁরা দুইজনই বরগুনায় বিয়ে করেছেন। সারজিস আলম বিয়ে করেছেন বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নে। আর রাফির শ্বশুরবাড়ি সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে।
আবদুল্লাহ কাফি
পটুয়াখালীর পথসভা শেষ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা রওনা করেন বরগুনার উদ্দেশে। ঝড়-বৃষ্টি এবং খানাখন্দ ভরা রাস্তা পেরিয়ে সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে বরগুনায় পৌঁছে দলটির গাড়ি বহর। পাঁচটায় শুরু হয় পদযাত্রা। শহরের বেশ কিছু রাস্তা ঘুরে পৌর মার্কেট প্রাঙ্গণে পথসভা করেন কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা। সেখানে ঢল নামে ছাত্র-জনতা ও সমর্থকদের।
এর আগে এনসিপির কোনো পথসভায় এত মানুষ দেখা যায়নি। পথসভায় আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এত মানুষ জমায়েতের কারণ সারজিস আলম ও খান তালাত মাহমুদ রাফি। তাঁরা দুইজনই বরগুনায় বিয়ে করেছেন। সারজিস আলম বিয়ে করেছেন বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নে। আর রাফির শ্বশুরবাড়ি সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে।
একই মঞ্চে তাঁদের দেখে ‘দুলাভাই দুলাভাই’ স্লোগানে চারপাশ মুখরিত করে তুলেন উপস্থিত জনতা। এরপর বক্তব্য দেন সারজিস আলম।
পথসভায় সারজিস আলম বলেন, ‘আমি আমার নিকট আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পূর্বে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমার নিকট আত্মীয় যে এখন পর্যন্ত তার বাসায় যাইনি। এটা আমার সৌভাগ্য যে, বরগুনায় ছাত্র-জনতা ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই মঞ্চে দাঁড়াতে পেরেছি।’
বরগুনার রাস্তার পরিস্থিতি তুলে ধরে সারজিস বলেন, ‘যে রাস্তা হয়ে বরিশাল থেকে বরগুনায় এসেছি, ওই রাস্তা দেখে মনে হয়েছে, এক শরও বেশি মরণফাঁদ রয়েছে। বরগুনার মানুষের জন্য যতটুকু সোজা রাস্তা আছে, তার চেয়ে বেশি আছে রাস্তার বাঁক। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ এনসিপির পক্ষ থেকে কমিটমেন্ট করতে চাই, আগামীর বাংলাদেশে বরগুনায় যারা রাজনীতি করতে চাইবে, তাঁদের স্পষ্ট অঙ্গীকার করতে হবে, বরিশাল থেকে বাইপাস হয়ে বরগুনা পর্যন্ত মরণফাঁদ থেকে বরগুনার মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে সারজিস বলেন, ‘শেখ হাসিনা নাকি দক্ষিণবঙ্গকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বরগুনার রাস্তাঘাট গর্ত আর পানিতে ভেসে যাচ্ছে। বরগুনার হাসপাতাল সম্পর্কেও খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, এ বছর শুধু ডেঙ্গুতে সব থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বরগুনায়। হাসপাতালগুলো একেকটি লুটপাটের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কর্মচারীরা একেকজন বড় বড় নবাব হয়েছেন।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর ঘিরেই আগামী বাংলাদেশের উন্নয়ন নির্ধারিত হবে, আর সেই সম্ভাবনার কেন্দ্রস্থল হবে বরগুনা। উপকূলের মানুষের অধিকার, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এখানে এনসিপির ঘাঁটি গড়ে তুলতে হবে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলনে বরগুনার ১০ জন শহীদ হয়েছেন, তাঁদের আমরা জাতীয় বীর হিসেবে শ্রদ্ধা জানাই। বরগুনাবাসী দুর্যোগ, নদীভাঙন ও অবহেলার মধ্যেও সংগ্রাম করে টিকে থাকেন। উন্নয়নের নামে প্রতিশ্রুতির মুলা ঝোলানো হলেও উন্নয়ন বরগুনায় এসে পৌঁছায় না।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে আবারও চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আমরা সে সিস্টেম ভাঙতে চাই, যে সিস্টেম এসব মাফিয়াদের টিকিয়ে রাখে।’
পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বরগুনার সন্তান সোহাগকে পাথর দিয়ে জনসমক্ষে হত্যার রাজনীতি বরগুনাবাসী চায় না। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং এর বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদে নামার আহ্বান জানাই।’
নাহিদ আরও বলেন বলেন, ‘আমরা সংস্কার চাই—একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ওপর গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ চাই। বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্র বা কোনো মতাদর্শগত পুনর্বাসনের রাজনীতি চলতে দেব না। মুজিববাদ কিংবা পাকিস্তানপন্থা নয়, আমরা চাই বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের পথ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে, তবে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, বাধা দিলে লড়াই হবে, আর সে লড়াইয়ে আমরাই জিতব। তরুণ প্রজন্মকে দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি নিতে হবে।’
পটুয়াখালীর পথসভা শেষ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা রওনা করেন বরগুনার উদ্দেশে। ঝড়-বৃষ্টি এবং খানাখন্দ ভরা রাস্তা পেরিয়ে সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে বরগুনায় পৌঁছে দলটির গাড়ি বহর। পাঁচটায় শুরু হয় পদযাত্রা। শহরের বেশ কিছু রাস্তা ঘুরে পৌর মার্কেট প্রাঙ্গণে পথসভা করেন কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা। সেখানে ঢল নামে ছাত্র-জনতা ও সমর্থকদের।
এর আগে এনসিপির কোনো পথসভায় এত মানুষ দেখা যায়নি। পথসভায় আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এত মানুষ জমায়েতের কারণ সারজিস আলম ও খান তালাত মাহমুদ রাফি। তাঁরা দুইজনই বরগুনায় বিয়ে করেছেন। সারজিস আলম বিয়ে করেছেন বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নে। আর রাফির শ্বশুরবাড়ি সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে।
একই মঞ্চে তাঁদের দেখে ‘দুলাভাই দুলাভাই’ স্লোগানে চারপাশ মুখরিত করে তুলেন উপস্থিত জনতা। এরপর বক্তব্য দেন সারজিস আলম।
পথসভায় সারজিস আলম বলেন, ‘আমি আমার নিকট আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পূর্বে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমার নিকট আত্মীয় যে এখন পর্যন্ত তার বাসায় যাইনি। এটা আমার সৌভাগ্য যে, বরগুনায় ছাত্র-জনতা ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই মঞ্চে দাঁড়াতে পেরেছি।’
বরগুনার রাস্তার পরিস্থিতি তুলে ধরে সারজিস বলেন, ‘যে রাস্তা হয়ে বরিশাল থেকে বরগুনায় এসেছি, ওই রাস্তা দেখে মনে হয়েছে, এক শরও বেশি মরণফাঁদ রয়েছে। বরগুনার মানুষের জন্য যতটুকু সোজা রাস্তা আছে, তার চেয়ে বেশি আছে রাস্তার বাঁক। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ এনসিপির পক্ষ থেকে কমিটমেন্ট করতে চাই, আগামীর বাংলাদেশে বরগুনায় যারা রাজনীতি করতে চাইবে, তাঁদের স্পষ্ট অঙ্গীকার করতে হবে, বরিশাল থেকে বাইপাস হয়ে বরগুনা পর্যন্ত মরণফাঁদ থেকে বরগুনার মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে সারজিস বলেন, ‘শেখ হাসিনা নাকি দক্ষিণবঙ্গকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বরগুনার রাস্তাঘাট গর্ত আর পানিতে ভেসে যাচ্ছে। বরগুনার হাসপাতাল সম্পর্কেও খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, এ বছর শুধু ডেঙ্গুতে সব থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বরগুনায়। হাসপাতালগুলো একেকটি লুটপাটের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কর্মচারীরা একেকজন বড় বড় নবাব হয়েছেন।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর ঘিরেই আগামী বাংলাদেশের উন্নয়ন নির্ধারিত হবে, আর সেই সম্ভাবনার কেন্দ্রস্থল হবে বরগুনা। উপকূলের মানুষের অধিকার, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এখানে এনসিপির ঘাঁটি গড়ে তুলতে হবে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলনে বরগুনার ১০ জন শহীদ হয়েছেন, তাঁদের আমরা জাতীয় বীর হিসেবে শ্রদ্ধা জানাই। বরগুনাবাসী দুর্যোগ, নদীভাঙন ও অবহেলার মধ্যেও সংগ্রাম করে টিকে থাকেন। উন্নয়নের নামে প্রতিশ্রুতির মুলা ঝোলানো হলেও উন্নয়ন বরগুনায় এসে পৌঁছায় না।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে আবারও চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আমরা সে সিস্টেম ভাঙতে চাই, যে সিস্টেম এসব মাফিয়াদের টিকিয়ে রাখে।’
পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বরগুনার সন্তান সোহাগকে পাথর দিয়ে জনসমক্ষে হত্যার রাজনীতি বরগুনাবাসী চায় না। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং এর বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদে নামার আহ্বান জানাই।’
নাহিদ আরও বলেন বলেন, ‘আমরা সংস্কার চাই—একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ওপর গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ চাই। বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্র বা কোনো মতাদর্শগত পুনর্বাসনের রাজনীতি চলতে দেব না। মুজিববাদ কিংবা পাকিস্তানপন্থা নয়, আমরা চাই বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের পথ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে, তবে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, বাধা দিলে লড়াই হবে, আর সে লড়াইয়ে আমরাই জিতব। তরুণ প্রজন্মকে দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি নিতে হবে।’
আন্দোলনের মুখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিলের ঘোষণা এলেও সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার নামে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেছাত্রলীগের মতো ছাত্রশিবিরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক সংগঠনগুলো দখল করে নিচ্ছে। নানা সমালোচনার পরও থাকবে ছাত্রদলের হল কমিটি। উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সাংবাদিকদের এসব জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেশুক্রবারের মধ্যে আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে তাঁরা লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শেবাচিম কর্মচারীদের সংগঠন।
৩ ঘণ্টা আগেবুধবার রাতেই সাড়ে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সাদাপাথরবাহী আরও ১৩০টিরও বেশি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই পাথরগুলোও আগের জায়গায় বিছিয়ে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে