স্ট্রিম প্রতিবেদক
ব্যাপক আন্দোলন ও আপত্তির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন অধ্যাদেশে ব্যাপক সংশোধন হয়েছে। অধ্যাদেশের ১১টি ধারা ও উপধারায় সংশোধন পাস হয়। অধ্যাদেশে অন্যতম প্রধান সংশোধন হলো, রাজস্ব নীতি বিভাগে রাজস্ব খাতের অভিজ্ঞ ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তাকে প্রধান করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সভায় রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংশোধনী বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
অধ্যাদেশ নিয়ে আন্দোলন
গত ১২ মে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে অধ্যাদেশটি জারি হয়েছিল। ওই সময় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন। তাঁরা প্রায় দেড় মাস ধরে আন্দোলন চালান।
জুনের শেষ দিকে এ আন্দোলনের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন শুল্ক ও কর কার্যালয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় এনবিআরের কর্মকর্তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। তবে আন্দোলনের জের ধরে বর্তমানে সংস্থাটিতে বরখাস্ত, বদলি ও বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে।
অধ্যাদেশ সংশোধন
অধ্যাদেশটি সংশোধনের লক্ষ্যে গত ২৯ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। পরে সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই উপদেষ্টা পরিষদ সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করে।
গত ১৩ জুলাই অধ্যাদেশটি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেন, ‘আমরা মনে করি, যাঁরা এ অধ্যাদেশ প্রণয়ন করেছেন, তাঁরা কিছুটা চাতুর্যের আশ্রয় নিয়েছেন। যেমন ধরুন, অধ্যাদেশে বলা হয়েছে সরকার উপযুক্ত কোনো যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তাকে রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব করতে পারবেন। কিন্তু “উপযুক্ত যোগ্যতা” বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। এর ফলে যেকোনো ব্যক্তিকে সচিব করার সুযোগ তৈরি হয়, যা একটি বড় সমস্যা। রাজস্ব আহরণের কাজে অভিজ্ঞতার বিষয়টি যথেষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। আমরা এসব ত্রুটি চিহ্নিত করে সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছি।’
পরে এই উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে আরও জানান, ‘অধ্যাদেশটি সংশোধনের সময় আমরা তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছি—যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও ন্যায্যতা। অর্থাৎ যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তিনি সত্যিই যোগ্য কি না, তিনি এ কাজে অভিজ্ঞ কি না এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা বজায় রাখা হচ্ছে কি না–এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই সংশোধন করা হয়েছে।’
যে ধারা-উপধারায় পরিবর্তন এসেছে
বিদ্যমান ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর সব মিলিয়ে মোট ১১টি সংশোধনী প্রস্তাব পাস হয়েছে। এগুলো হলো—
অধ্যাদেশের আগের খসড়ায় বলা হয়েছিল, সরকার উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ করতে পারবেন। সংশোধনে বলা হয়েছে—সামষ্টিক অর্থনীতি, বাণিজ্য নীতি, পরিকল্পনা, রাজস্ব নীতি বা রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অভিজ্ঞ কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আগে বলা হয়েছিল, রাজস্ব নীতি বিভাগের বিভিন্ন পদ আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস, অর্থনীতি, ব্যবসা প্রশাসন, গবেষণা-পরিসংখ্যান, প্রশাসন, নিরীক্ষা ও হিসাব এবং আইনসংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের থেকে পূরণ করা হবে।
সংশোধনে বলা হয়েছে, আয়কর নীতি, দ্বৈতকর পরিহার চুক্তি, আন্তর্জাতিক চুক্তি, শুল্ক নীতি, ভ্যাট নীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-সংক্রান্ত চুক্তির অনুবিভাগের পদগুলো রাজস্ব আহরণে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের থেকে পূরণ করা হবে।
এই নতুন উপধারায় বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগের অন্য অনুবিভাগের পদগুলো জনপ্রশাসন, অর্থনীতি, বাণিজ্য নীতি, গবেষণা ও পরিসংখ্যান, হিসাব ও নিরীক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগ এবং আইন প্রণয়ন বিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তা বা ব্যক্তিদের থেকে পূরণ করা হবে।
মূল অধ্যাদেশে ছিল—‘কর আইন প্রয়োগ এবং কর আহরণ পরিস্থিতির মূল্যায়ন’।
সংশোধিত রূপে বলা হয়েছে— ‘রাজস্ব নীতি, কর ব্যয় ও রাজস্ব আহরণের প্রভাব বিশ্লেষণ’।
আগে বলা হয়েছিল, রাজস্ব আহরণে অভিজ্ঞ কোনো সরকারি কর্মচারীকে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এখন সংশোধনে সরাসরি বলা হয়েছে, এ পদে রাজস্ব আহরণে অভিজ্ঞ যোগ্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মূল অধ্যাদেশে বলা ছিল, আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস আইন বাস্তবায়ন এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত পদগুলো শুধুমাত্র শুল্ক ও আবগারি এবং কর ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দিয়ে পূরণ করা হবে।
সংশোধনে বলা হয়েছে, এসব পদ রাজস্ব আহরণে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে পূরণ করা হবে।
আগে বলা হয়েছিল, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক অনুবিভাগের পদগুলো প্রশাসন, কর ও শুল্ক-আবগারি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে পূরণ করা হবে।
এখন সংশোধনে বলা হয়েছে, এসব পদ রাজস্ব আহরণ ও জনপ্রশাসন কাজে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে পূরণ করা হবে।
অধ্যাদেশে আগে বলা হয়েছিল, মাঠপর্যায়ে আইন বাস্তবায়ন–সংক্রান্ত পদগুলো কর ও শুল্ক-আবগারি ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং বিভাগের কর্মরত কর্মচারীদের থেকে পূরণ করা হবে।
সংশোধনে বলা হয়েছে, এসব পদ রাজস্ব আহরণে অভিজ্ঞ কর্মকর্তা এবং বিভাগের মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের থেকে পূরণ করা হবে।
আগে বলা ছিল, ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি প্রণয়ন’।
সংশোধনে বলা হয়েছে, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত বিধি, প্রজ্ঞাপন, রুলিং, নীতিমালা, স্থায়ী আদেশ ও অন্যান্য নির্দেশনা প্রণয়ন, সংশোধন ও ব্যাখ্যা প্রদান করা।
আগে অধ্যাদেশে বলা ছিল, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের আন্তশাখা এবং রাজস্ব নীতি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের মধ্যে আন্তসংযোগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সার্বিক অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা।
সংশোধনীতে পরিবর্তন করে বলা হয়েছে—রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করা এবং আন্ত–উইং, রাজস্ব নীতি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের মধ্যে কার্যকর আন্তসংযোগ প্রতিষ্ঠা করা।
মূল অধ্যাদেশে উল্লেখ ছিল—রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিদ্যমান জনবল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ন্যস্ত হবে এবং সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জনবল রাজস্ব নীতি বিভাগে পদায়ন করা যাবে।
সংশোধনীতে তা পরিবর্তন করে বলা হয়েছে—রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিদ্যমান জনবল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ন্যস্ত হবে এবং ন্যস্ত জনবল থেকে প্রয়োজনীয় জনবল বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় রাজস্ব নীতি বিভাগে পদায়ন করা যাবে।
ব্যাপক আন্দোলন ও আপত্তির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন অধ্যাদেশে ব্যাপক সংশোধন হয়েছে। অধ্যাদেশের ১১টি ধারা ও উপধারায় সংশোধন পাস হয়। অধ্যাদেশে অন্যতম প্রধান সংশোধন হলো, রাজস্ব নীতি বিভাগে রাজস্ব খাতের অভিজ্ঞ ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তাকে প্রধান করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সভায় রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংশোধনী বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
অধ্যাদেশ নিয়ে আন্দোলন
গত ১২ মে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে অধ্যাদেশটি জারি হয়েছিল। ওই সময় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন। তাঁরা প্রায় দেড় মাস ধরে আন্দোলন চালান।
জুনের শেষ দিকে এ আন্দোলনের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন শুল্ক ও কর কার্যালয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় এনবিআরের কর্মকর্তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। তবে আন্দোলনের জের ধরে বর্তমানে সংস্থাটিতে বরখাস্ত, বদলি ও বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে।
অধ্যাদেশ সংশোধন
অধ্যাদেশটি সংশোধনের লক্ষ্যে গত ২৯ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। পরে সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই উপদেষ্টা পরিষদ সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করে।
গত ১৩ জুলাই অধ্যাদেশটি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেন, ‘আমরা মনে করি, যাঁরা এ অধ্যাদেশ প্রণয়ন করেছেন, তাঁরা কিছুটা চাতুর্যের আশ্রয় নিয়েছেন। যেমন ধরুন, অধ্যাদেশে বলা হয়েছে সরকার উপযুক্ত কোনো যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তাকে রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব করতে পারবেন। কিন্তু “উপযুক্ত যোগ্যতা” বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। এর ফলে যেকোনো ব্যক্তিকে সচিব করার সুযোগ তৈরি হয়, যা একটি বড় সমস্যা। রাজস্ব আহরণের কাজে অভিজ্ঞতার বিষয়টি যথেষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। আমরা এসব ত্রুটি চিহ্নিত করে সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছি।’
পরে এই উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে আরও জানান, ‘অধ্যাদেশটি সংশোধনের সময় আমরা তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছি—যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও ন্যায্যতা। অর্থাৎ যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তিনি সত্যিই যোগ্য কি না, তিনি এ কাজে অভিজ্ঞ কি না এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা বজায় রাখা হচ্ছে কি না–এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই সংশোধন করা হয়েছে।’
যে ধারা-উপধারায় পরিবর্তন এসেছে
বিদ্যমান ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর সব মিলিয়ে মোট ১১টি সংশোধনী প্রস্তাব পাস হয়েছে। এগুলো হলো—
অধ্যাদেশের আগের খসড়ায় বলা হয়েছিল, সরকার উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ করতে পারবেন। সংশোধনে বলা হয়েছে—সামষ্টিক অর্থনীতি, বাণিজ্য নীতি, পরিকল্পনা, রাজস্ব নীতি বা রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অভিজ্ঞ কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আগে বলা হয়েছিল, রাজস্ব নীতি বিভাগের বিভিন্ন পদ আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস, অর্থনীতি, ব্যবসা প্রশাসন, গবেষণা-পরিসংখ্যান, প্রশাসন, নিরীক্ষা ও হিসাব এবং আইনসংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের থেকে পূরণ করা হবে।
সংশোধনে বলা হয়েছে, আয়কর নীতি, দ্বৈতকর পরিহার চুক্তি, আন্তর্জাতিক চুক্তি, শুল্ক নীতি, ভ্যাট নীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-সংক্রান্ত চুক্তির অনুবিভাগের পদগুলো রাজস্ব আহরণে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের থেকে পূরণ করা হবে।
এই নতুন উপধারায় বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগের অন্য অনুবিভাগের পদগুলো জনপ্রশাসন, অর্থনীতি, বাণিজ্য নীতি, গবেষণা ও পরিসংখ্যান, হিসাব ও নিরীক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগ এবং আইন প্রণয়ন বিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তা বা ব্যক্তিদের থেকে পূরণ করা হবে।
মূল অধ্যাদেশে ছিল—‘কর আইন প্রয়োগ এবং কর আহরণ পরিস্থিতির মূল্যায়ন’।
সংশোধিত রূপে বলা হয়েছে— ‘রাজস্ব নীতি, কর ব্যয় ও রাজস্ব আহরণের প্রভাব বিশ্লেষণ’।
আগে বলা হয়েছিল, রাজস্ব আহরণে অভিজ্ঞ কোনো সরকারি কর্মচারীকে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এখন সংশোধনে সরাসরি বলা হয়েছে, এ পদে রাজস্ব আহরণে অভিজ্ঞ যোগ্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মূল অধ্যাদেশে বলা ছিল, আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস আইন বাস্তবায়ন এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত পদগুলো শুধুমাত্র শুল্ক ও আবগারি এবং কর ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দিয়ে পূরণ করা হবে।
সংশোধনে বলা হয়েছে, এসব পদ রাজস্ব আহরণে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে পূরণ করা হবে।
আগে বলা হয়েছিল, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক অনুবিভাগের পদগুলো প্রশাসন, কর ও শুল্ক-আবগারি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে পূরণ করা হবে।
এখন সংশোধনে বলা হয়েছে, এসব পদ রাজস্ব আহরণ ও জনপ্রশাসন কাজে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে পূরণ করা হবে।
অধ্যাদেশে আগে বলা হয়েছিল, মাঠপর্যায়ে আইন বাস্তবায়ন–সংক্রান্ত পদগুলো কর ও শুল্ক-আবগারি ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং বিভাগের কর্মরত কর্মচারীদের থেকে পূরণ করা হবে।
সংশোধনে বলা হয়েছে, এসব পদ রাজস্ব আহরণে অভিজ্ঞ কর্মকর্তা এবং বিভাগের মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের থেকে পূরণ করা হবে।
আগে বলা ছিল, ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি প্রণয়ন’।
সংশোধনে বলা হয়েছে, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত বিধি, প্রজ্ঞাপন, রুলিং, নীতিমালা, স্থায়ী আদেশ ও অন্যান্য নির্দেশনা প্রণয়ন, সংশোধন ও ব্যাখ্যা প্রদান করা।
আগে অধ্যাদেশে বলা ছিল, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের আন্তশাখা এবং রাজস্ব নীতি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের মধ্যে আন্তসংযোগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সার্বিক অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা।
সংশোধনীতে পরিবর্তন করে বলা হয়েছে—রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করা এবং আন্ত–উইং, রাজস্ব নীতি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের মধ্যে কার্যকর আন্তসংযোগ প্রতিষ্ঠা করা।
মূল অধ্যাদেশে উল্লেখ ছিল—রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিদ্যমান জনবল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ন্যস্ত হবে এবং সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জনবল রাজস্ব নীতি বিভাগে পদায়ন করা যাবে।
সংশোধনীতে তা পরিবর্তন করে বলা হয়েছে—রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিদ্যমান জনবল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ন্যস্ত হবে এবং ন্যস্ত জনবল থেকে প্রয়োজনীয় জনবল বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় রাজস্ব নীতি বিভাগে পদায়ন করা যাবে।
ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ফেবি) স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণসহ ৬ দফা দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার মহিপাল এলাকায় মহিপাল ফ্লাইওভারের উত্তর পাশে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন।
১ ঘণ্টা আগেডাকসু নির্বাচনের জন্য প্যানেল ঘোষণার আগে বিভিন্ন কারণে হেনস্তা হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উমামা ফাতেমা। আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’-এর ব্যানারে প্যানেল ঘোষণার সময় এ অভিযোগ জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। টানা তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তবে এই সংঘর্ষের কারণ জানেন না শিক্ষার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) ‘ফ্যাক্ট–ফাইন্ডিং’ প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৩ ঘণ্টা আগে