স্ট্রিম প্রতিবেদক
চার দিন ধরে কক্সবাজারে টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আগামী দুই দিনও (৯ জুলাই) ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। কক্সবাজারসহ পার্বত্য এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এ দিকে বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকায় কক্সবাজারসহ দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। টানা বৃষ্টির কারণে পর্যটন এলাকাসহ জেলার ৯ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়কে পানি উঠে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানান, সোমবার বেলা ৩টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির প্লাবিত হয়েছে।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পুকুর ও চিংড়িঘেরে পানি ঢুকে মাছ ভেসে গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে কর্মজীবী মানুষ বেকায়দায় পড়েছেন। আমনের বীজতলা ডুবে নষ্ট হয়ে পড়ছে। উখিয়ার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ টি এম কাউছার আহমদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, কয়েক দিনের অতিবৃষ্টির কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিচু এলাকায় বসবাসরত শেডগুলো তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা পরিবারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ক্যাম্প ইনচার্জদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক সমাগমের আশা করছিলেন পর্যটন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এ জন্য হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউজের ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং ছিল। কিন্তু টানা বৃষ্টি ও সাগর উত্তাল থাকায় অনেক পর্যটক বুকিং বাতিল করেছেন।
কক্সবাজার হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউজের অধিকাংশ কক্ষ খালি হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে পর্যটকদের বড় অংশ ফিরে গেছেন।
গতকাল রোববার দুপুরে সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে দেখা গেছে, উত্তাল সাগরেও অনেক পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নেমেছেন।
সি-সেফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, কয়েক দিন ধরে বৈরী আবহাওয়ায় সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় সাগরে গোসলে নামা ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি সৈকতের কয়েকটি স্থানে রয়েছে গুপ্তখাল। এসব ঝুঁকি চিহ্নিত করে লাল নিশান ওড়ানো হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের অনেকেই নির্দেশনা না মেনে সাগরে নেমে পড়েন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘উত্তাল সাগরে ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নামতে পর্যটকের সতর্ক করার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে লাল নিশানা ওড়ানো থাকে। পর্যটকেরা যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার শিকার না হন, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
চার দিন ধরে কক্সবাজারে টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আগামী দুই দিনও (৯ জুলাই) ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। কক্সবাজারসহ পার্বত্য এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এ দিকে বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকায় কক্সবাজারসহ দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। টানা বৃষ্টির কারণে পর্যটন এলাকাসহ জেলার ৯ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়কে পানি উঠে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানান, সোমবার বেলা ৩টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির প্লাবিত হয়েছে।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পুকুর ও চিংড়িঘেরে পানি ঢুকে মাছ ভেসে গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে কর্মজীবী মানুষ বেকায়দায় পড়েছেন। আমনের বীজতলা ডুবে নষ্ট হয়ে পড়ছে। উখিয়ার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ টি এম কাউছার আহমদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, কয়েক দিনের অতিবৃষ্টির কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিচু এলাকায় বসবাসরত শেডগুলো তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা পরিবারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ক্যাম্প ইনচার্জদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক সমাগমের আশা করছিলেন পর্যটন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এ জন্য হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউজের ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং ছিল। কিন্তু টানা বৃষ্টি ও সাগর উত্তাল থাকায় অনেক পর্যটক বুকিং বাতিল করেছেন।
কক্সবাজার হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউজের অধিকাংশ কক্ষ খালি হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে পর্যটকদের বড় অংশ ফিরে গেছেন।
গতকাল রোববার দুপুরে সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে দেখা গেছে, উত্তাল সাগরেও অনেক পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নেমেছেন।
সি-সেফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, কয়েক দিন ধরে বৈরী আবহাওয়ায় সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় সাগরে গোসলে নামা ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি সৈকতের কয়েকটি স্থানে রয়েছে গুপ্তখাল। এসব ঝুঁকি চিহ্নিত করে লাল নিশান ওড়ানো হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের অনেকেই নির্দেশনা না মেনে সাগরে নেমে পড়েন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘উত্তাল সাগরে ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নামতে পর্যটকের সতর্ক করার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে লাল নিশানা ওড়ানো থাকে। পর্যটকেরা যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার শিকার না হন, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
শুক্রবারের মধ্যে আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে তাঁরা লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শেবাচিম কর্মচারীদের সংগঠন।
৩৮ মিনিট আগেবুধবার রাতেই সাড়ে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সাদাপাথরবাহী আরও ১৩০টিরও বেশি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই পাথরগুলোও আগের জায়গায় বিছিয়ে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগেমালয়েশিয়ার স্থানীয় শ্রমিকেরা যেসব সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা পান, বাংলাদেশি শ্রমিকেরা এখন থেকে একই সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফরে বাংলা ভাষায় অভিযোগ করতে পারার সুবিধাপ্রাপ্তির ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা পৌর শহরের নাগড়া এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সেচ অফিসের পুরাতন ভবনের ছাদ ধসে পড়ায় তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন
২ ঘণ্টা আগে