আক্রান্ত তুলনামূলক কম হলেও মৃত্যু বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)। এ সিটি করপোরেশনে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৬০ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৫ জন, মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
ফারুক হোসাইন
দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। রাজধানীর বাইরেও এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যু ঘটছে। আগামী মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা গবেষকদের। যদিও তাঁরা বলছেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া গেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর ডেঙ্গুতে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার ৩২৪ জন। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব গত বছরের তুলনায় বেশি। একই সময়ে গত বছর মৃত্যু হয়েছিল ৬৯ জনের, আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৪৬৯ জন।
এ বছর জুন মাস থেকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকে। ওই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ৯৫১ জন, মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জনের। জুলাই মাসে আক্রান্ত হন ১০ হাজার ৬৮৪ জন ও মৃত্যু হয় ৪১ জনের। আর চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৪৪ জন। পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।
কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলছেন, তাঁরা জরিপ করে আগেই সতর্ক করেছিলেন—এ বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ ডেঙ্গু পরিস্থিতি নাজুক হবে।
অধ্যাপক কবিরুল বাশার স্ট্রিমকে বলেন, ‘গত ২০ দিন ধরে দেশে বৃষ্টিপাত দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টি থামার পর বোঝা যাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। তার আগে অবশ্য পূর্বাভাস দেওয়াটা কঠিন। কিন্তু এখনকার যে পরিস্থিতি, তাতে এটি বলাই যায়—ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আরও বাড়বে। যা অক্টোবর নাগাদও চলতে পারে।’
ডেঙ্গু এখন সারা দেশে
কোনো এলাকার মশার ঘনত্বের একক হলো ব্রুটো ইনডেক্স। ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি হলেই সেখানে মশার বিপজ্জনক উপস্থিতি বিবেচনা করা হয়। অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলছেন, তাঁরা জরিপে দেখেছেন দেশের প্রায় সব জেলায় ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর ওপর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছর জয়পুরহাট ছাড়া দেশের সবকটি জেলায় ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা বরগুনা জেলার। বরিশাল বিভাগের এ জেলাটিতে ৫ হাজার ২১৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। সরকারি হিসাবে জেলাটিতে ডেঙ্গু নিয়ে মৃত্যু হয়েছে সাতজনের।
কবিরুল বাশার বলেন, ‘আমরা ব্রুটো ইনডেক্স, আক্রান্তের সংখ্যা, তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে পূর্বাভাস দিই। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আগেই বলেছিলাম—সারা দেশেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যাবে। স্থানীয় সরকারকে সক্রিয় হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কবিরুল বাশার আরও বলেন, বরগুনার পরিস্থিতি যে ভয়াবহ হবে—এটি নিয়ে আমি গত বছরই সতর্ক করেছিলাম। কারণ, বরগুনার পানি লবণাক্ত হওয়ায় বাসিন্দারা বাসা-বাড়িতে সুপেয় পানি জমিয়ে রাখে। সেখান থেকেই এডিস মশার বিস্তার হয়।
বরগুনার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, গাজীপুর, চাঁদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগামীতে নেতিবাচক দিকে যেতে পারে বলেও আভাস দেন এই গবেষক।
রোগী বেশি বরিশালে, মৃত্যু ঢাকায়
এ বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সিটি করপোরেশনের বাইরে এ বিভাগটিতে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৯০০ ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
আক্রান্ত তুলনামূলক কম হলেও মৃত্যু বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)। এ সিটি করপোরেশনে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৬০ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৫ জন, মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা রোগীদের বাইরের জেলাগুলো থেকে স্থানান্তর করে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে আসার কারণে ঢাকায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি বলে জানান জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেনিন চৌধুরী। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘সারা দেশেই ডেঙ্গুর বিস্তার হয়েছে। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তখন তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কারণ, স্থানীয় পর্যায়ের চিকিৎসাব্যবস্থা আস্থাজনক না। সে কারণে ঢাকায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি দেখাচ্ছে।’
এর বাইরে চলতি বছর চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ হাজার ৬৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। একই সময়ে রাজশাহী বিভাগে ১ হাজার ৮৮৯ জন রোগী শনাক্ত করা হয়, মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। খুলনা বিভাগে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৩ শ ৩৪ জন, পাঁচজনের মৃত্যুও হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ৪২১ জন রোগী শনাক্তের পাশাপাশি ১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; রংপুরে ১৪৮ ও সিলেটে ৫৯ জন রোগী শনাক্ত হলেও কারও মৃত্যু হয়নি।
সমন্বিত ব্যবস্থার তাগিদ
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকারকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, আক্রান্ত রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের মাধ্যমে যাতে নতুন করে এ রোগ না ছড়ায় সেটি নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে কাজ করতে হবে।
অন্যদিকে, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজননস্থল ও ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ (ঝুঁকিপূর্ণ) এলাকায় উড়ন্ত মশা নিধনে ফগিং করতে হবে—এটি নিশ্চিত করবে স্থানীয় সরকার।
তবে এই দুই সংস্থার মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন বলে মনে করেন ডা. লেনিন চৌধুরী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ চিকিৎসা দেওয়া ও রোগীদের নতুন করে এডিস মশা না কামড়ায় সেটি দেখা। মশা নিয়ন্ত্রণ করবে স্থানীয় সরকার। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলো, আজ পর্যন্ত এই দুটো বিভাগকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সমন্বিতভাবে জাতীয় পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হটস্পট ম্যানেজমেন্টে (ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মশা নিধন) গুরুত্ব দিতে হবে। যাঁরা হাসপাতাল ও বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের ঠিকানা সিটি করপোরেশনের কাছে নেই। কিন্তু এটি থাকা জরুরি, তা নাহলে হটস্পটে ফগিং বা সেখানকার মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হবে কীভাবে? এর পাশাপাশি এডিস মশার লার্ভা নিধন ও জনসচেতনতার মাধ্যমে বাসাবাড়ির এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে বলেও জানান তিনি।
দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। রাজধানীর বাইরেও এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যু ঘটছে। আগামী মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা গবেষকদের। যদিও তাঁরা বলছেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া গেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর ডেঙ্গুতে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার ৩২৪ জন। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব গত বছরের তুলনায় বেশি। একই সময়ে গত বছর মৃত্যু হয়েছিল ৬৯ জনের, আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৪৬৯ জন।
এ বছর জুন মাস থেকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকে। ওই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ৯৫১ জন, মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জনের। জুলাই মাসে আক্রান্ত হন ১০ হাজার ৬৮৪ জন ও মৃত্যু হয় ৪১ জনের। আর চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৪৪ জন। পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।
কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলছেন, তাঁরা জরিপ করে আগেই সতর্ক করেছিলেন—এ বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ ডেঙ্গু পরিস্থিতি নাজুক হবে।
অধ্যাপক কবিরুল বাশার স্ট্রিমকে বলেন, ‘গত ২০ দিন ধরে দেশে বৃষ্টিপাত দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টি থামার পর বোঝা যাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। তার আগে অবশ্য পূর্বাভাস দেওয়াটা কঠিন। কিন্তু এখনকার যে পরিস্থিতি, তাতে এটি বলাই যায়—ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আরও বাড়বে। যা অক্টোবর নাগাদও চলতে পারে।’
ডেঙ্গু এখন সারা দেশে
কোনো এলাকার মশার ঘনত্বের একক হলো ব্রুটো ইনডেক্স। ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি হলেই সেখানে মশার বিপজ্জনক উপস্থিতি বিবেচনা করা হয়। অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলছেন, তাঁরা জরিপে দেখেছেন দেশের প্রায় সব জেলায় ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর ওপর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছর জয়পুরহাট ছাড়া দেশের সবকটি জেলায় ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা বরগুনা জেলার। বরিশাল বিভাগের এ জেলাটিতে ৫ হাজার ২১৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। সরকারি হিসাবে জেলাটিতে ডেঙ্গু নিয়ে মৃত্যু হয়েছে সাতজনের।
কবিরুল বাশার বলেন, ‘আমরা ব্রুটো ইনডেক্স, আক্রান্তের সংখ্যা, তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে পূর্বাভাস দিই। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আগেই বলেছিলাম—সারা দেশেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যাবে। স্থানীয় সরকারকে সক্রিয় হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কবিরুল বাশার আরও বলেন, বরগুনার পরিস্থিতি যে ভয়াবহ হবে—এটি নিয়ে আমি গত বছরই সতর্ক করেছিলাম। কারণ, বরগুনার পানি লবণাক্ত হওয়ায় বাসিন্দারা বাসা-বাড়িতে সুপেয় পানি জমিয়ে রাখে। সেখান থেকেই এডিস মশার বিস্তার হয়।
বরগুনার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, গাজীপুর, চাঁদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগামীতে নেতিবাচক দিকে যেতে পারে বলেও আভাস দেন এই গবেষক।
রোগী বেশি বরিশালে, মৃত্যু ঢাকায়
এ বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সিটি করপোরেশনের বাইরে এ বিভাগটিতে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৯০০ ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
আক্রান্ত তুলনামূলক কম হলেও মৃত্যু বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)। এ সিটি করপোরেশনে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৬০ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৫ জন, মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা রোগীদের বাইরের জেলাগুলো থেকে স্থানান্তর করে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে আসার কারণে ঢাকায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি বলে জানান জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেনিন চৌধুরী। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘সারা দেশেই ডেঙ্গুর বিস্তার হয়েছে। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তখন তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কারণ, স্থানীয় পর্যায়ের চিকিৎসাব্যবস্থা আস্থাজনক না। সে কারণে ঢাকায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি দেখাচ্ছে।’
এর বাইরে চলতি বছর চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ হাজার ৬৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। একই সময়ে রাজশাহী বিভাগে ১ হাজার ৮৮৯ জন রোগী শনাক্ত করা হয়, মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। খুলনা বিভাগে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৩ শ ৩৪ জন, পাঁচজনের মৃত্যুও হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ৪২১ জন রোগী শনাক্তের পাশাপাশি ১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; রংপুরে ১৪৮ ও সিলেটে ৫৯ জন রোগী শনাক্ত হলেও কারও মৃত্যু হয়নি।
সমন্বিত ব্যবস্থার তাগিদ
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকারকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, আক্রান্ত রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের মাধ্যমে যাতে নতুন করে এ রোগ না ছড়ায় সেটি নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে কাজ করতে হবে।
অন্যদিকে, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজননস্থল ও ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ (ঝুঁকিপূর্ণ) এলাকায় উড়ন্ত মশা নিধনে ফগিং করতে হবে—এটি নিশ্চিত করবে স্থানীয় সরকার।
তবে এই দুই সংস্থার মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন বলে মনে করেন ডা. লেনিন চৌধুরী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ চিকিৎসা দেওয়া ও রোগীদের নতুন করে এডিস মশা না কামড়ায় সেটি দেখা। মশা নিয়ন্ত্রণ করবে স্থানীয় সরকার। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলো, আজ পর্যন্ত এই দুটো বিভাগকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সমন্বিতভাবে জাতীয় পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হটস্পট ম্যানেজমেন্টে (ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মশা নিধন) গুরুত্ব দিতে হবে। যাঁরা হাসপাতাল ও বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের ঠিকানা সিটি করপোরেশনের কাছে নেই। কিন্তু এটি থাকা জরুরি, তা নাহলে হটস্পটে ফগিং বা সেখানকার মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হবে কীভাবে? এর পাশাপাশি এডিস মশার লার্ভা নিধন ও জনসচেতনতার মাধ্যমে বাসাবাড়ির এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার রাতেই সাড়ে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সাদাপাথরবাহী আরও ১৩০টিরও বেশি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই পাথরগুলোও আগের জায়গায় বিছিয়ে রাখা হবে।
৭ মিনিট আগেমালয়েশিয়ার স্থানীয় শ্রমিকেরা যেসব সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা পান, বাংলাদেশি শ্রমিকেরা এখন থেকে একই সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফরে বাংলা ভাষায় অভিযোগ করতে পারার সুবিধাপ্রাপ্তির ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগেনেত্রকোনা পৌর শহরের নাগড়া এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সেচ অফিসের পুরাতন ভবনের ছাদ ধসে পড়ায় তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন
১ ঘণ্টা আগেস্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ডিপিপি দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে