সিলেটে সাদা-পাথর লুটপাট
স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাস্তার দুই পাশে বেশ কিছু ক্র্যাশার মিল (পাথর ভাঙার কারখানা)। এর সামনে উন্মুক্ত স্তূপ আকারে রাখা আমদানি করা পাথর। তবে মিলের পেছনে থাকা পাথরগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছে বালু ও মাটি দিয়ে। একটু মাটি আলগা করলেই বেরিয়ে আসছে পাথরের মজুদ। কোনো কোনো মিলে দ্রুত ভেঙে গুড়ো করা হচ্ছে সাদা পাথর। এসব পাথর পর্যটনকেন্দ্র সাদা-পাথর এলাকা থেকে লুটের পর সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রশাসনের নজর এড়াতে এই কৌশল নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কে দুই পাশের ক্র্যাশার মিলগুলোয় এই দৃশ্য দেখা গেছে। মিলগুলো সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল লালবাগ, সালুটিকর ও কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জ এলাকায় ওই সড়কের পাশে অবস্থিত।
সম্প্রতি জেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে পাথর লুটের ঘটনা সংবাদমাধমে আলোচিত হওয়ার পর উদ্ধার অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। তারপরই এই লুকোচুরির কৌশল নেন পাথর ব্যবসায়ীরা। তারপরও ইতিমধ্যে পাথরবাহী ট্রাক ও ক্র্যাশার মিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ হাজার ঘন ফুট পাথর। সেই সঙ্গে তা পুনঃস্থাপনের কাজও চলছে।
এদিকে অভিযান শুরুর পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অধিকাংশ ক্র্যাশার মিল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। অনেক ক্র্যাশার মিল মালিক, বালু ও পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতরা গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা।
কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের পাথর ভাঙার কারখানা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মিলের সামনে আমদানি করা পাথর উন্মুক্ত অবস্থায় রাখা। তবে মিলের পেছনে বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বিপুল পরিমাণ পাথর। কোনো কোনো মিলে দ্রুত ভেঙে ফেলা হচ্ছে সাদা-পাথর থেকে লুট হওয়া পাথর।
এ দিকে সদর উপজেলার ধুপাগুল-লালবাগ এলাকায় মিলের পাশে পাথরের ওপর মাটি ফেলে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ধোপাগুল শহিদ মিনার এলাকায় মিলেও এ রকম দৃশ্য চোখে পড়েছে। তবে সাংবাদিক পরিচয় জেনে এ নিয়ে এলাকার বাসিন্দা ও মিল কর্মচারী কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
ধোপাগুল লালবাগ এলাকার এক যুবক (৩২) নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলা স্ট্রিমকে বলেন, ‘অভিযান শুরুর পর ক্র্যাশার মিলের মালিকেরা লুট হওয়া পাথর নিয়ে ভয়ে আছেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে প্রলেপ দিচ্ছেন, যাতে বালু ও মাটির স্তূপ বলে মনে হয়। কেউ কেউ মাটি ও বালু পাথরের সঙ্গে মিশিয়ে রাখছেন। এতে পাথরগুলো কালো ও পুরাতন দেখা যাচ্ছে।’
জানতে চােইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমাদের কড়াকড়ির জন্য যাঁরা পাথর পরিবহন করতে পারছেন না, তাঁরা এ রকমভাবে ডেকে রাখছেন।
আমাদের কাছে তথ্য আছে। আমাদের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হবে। তারা এই বিষয়গুলো অ্যাড্রেস (চিহ্নিত) করবেন। বালু ও মাটি দিয়ে লুকানো পাথর অভিযানকালে উদ্ধার করা হবে।’
ধোপাগুল লালবাগ, সালুটিকর এলাকা সিলেট সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। এই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, সদর উপজেলার বিভিন্ন বাড়িতে পাথর লুকানো হচ্ছে। এসব পাথর উদ্ধারে আমাদের অভিযান চলবে।’
গত বছর অভ্যুত্থানের পর থেকে সিলেটের অন্যান্য কোয়ারির মতো সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র এলাকায়ও পাথরের ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়। সাদাপাথর হিসেবে পরিচিত ধলাই নদের উৎসমুখে বিপুল পরিমাণ পাথর জমা হয়েছিল। লাগামহীন লুটপাটের কারণে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই পর্যটনকেন্দ্র। দিনদুপুরে প্রকাশ্যেই শত শত নৌকায় লুট করা হয় পাথর। একই সঙ্গে নদী তীরের বালি খুঁড়েও লুটপাট চলে।
দিকে ওই পাথর লুট নিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোরগোল পড়লে নড়েচড়ে বসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ স্থানীয় প্রশাসন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এই লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ অবস্থায় হাইকোর্টে রিট করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার দুজন বিচারপতির একটি বেঞ্চ ভোলাগঞ্জে পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর সাত দিনের মধ্যে উদ্ধার করে প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাস্তার দুই পাশে বেশ কিছু ক্র্যাশার মিল (পাথর ভাঙার কারখানা)। এর সামনে উন্মুক্ত স্তূপ আকারে রাখা আমদানি করা পাথর। তবে মিলের পেছনে থাকা পাথরগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছে বালু ও মাটি দিয়ে। একটু মাটি আলগা করলেই বেরিয়ে আসছে পাথরের মজুদ। কোনো কোনো মিলে দ্রুত ভেঙে গুড়ো করা হচ্ছে সাদা পাথর। এসব পাথর পর্যটনকেন্দ্র সাদা-পাথর এলাকা থেকে লুটের পর সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রশাসনের নজর এড়াতে এই কৌশল নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কে দুই পাশের ক্র্যাশার মিলগুলোয় এই দৃশ্য দেখা গেছে। মিলগুলো সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল লালবাগ, সালুটিকর ও কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জ এলাকায় ওই সড়কের পাশে অবস্থিত।
সম্প্রতি জেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে পাথর লুটের ঘটনা সংবাদমাধমে আলোচিত হওয়ার পর উদ্ধার অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। তারপরই এই লুকোচুরির কৌশল নেন পাথর ব্যবসায়ীরা। তারপরও ইতিমধ্যে পাথরবাহী ট্রাক ও ক্র্যাশার মিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ হাজার ঘন ফুট পাথর। সেই সঙ্গে তা পুনঃস্থাপনের কাজও চলছে।
এদিকে অভিযান শুরুর পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অধিকাংশ ক্র্যাশার মিল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। অনেক ক্র্যাশার মিল মালিক, বালু ও পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতরা গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা।
কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের পাথর ভাঙার কারখানা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মিলের সামনে আমদানি করা পাথর উন্মুক্ত অবস্থায় রাখা। তবে মিলের পেছনে বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বিপুল পরিমাণ পাথর। কোনো কোনো মিলে দ্রুত ভেঙে ফেলা হচ্ছে সাদা-পাথর থেকে লুট হওয়া পাথর।
এ দিকে সদর উপজেলার ধুপাগুল-লালবাগ এলাকায় মিলের পাশে পাথরের ওপর মাটি ফেলে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ধোপাগুল শহিদ মিনার এলাকায় মিলেও এ রকম দৃশ্য চোখে পড়েছে। তবে সাংবাদিক পরিচয় জেনে এ নিয়ে এলাকার বাসিন্দা ও মিল কর্মচারী কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
ধোপাগুল লালবাগ এলাকার এক যুবক (৩২) নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলা স্ট্রিমকে বলেন, ‘অভিযান শুরুর পর ক্র্যাশার মিলের মালিকেরা লুট হওয়া পাথর নিয়ে ভয়ে আছেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে প্রলেপ দিচ্ছেন, যাতে বালু ও মাটির স্তূপ বলে মনে হয়। কেউ কেউ মাটি ও বালু পাথরের সঙ্গে মিশিয়ে রাখছেন। এতে পাথরগুলো কালো ও পুরাতন দেখা যাচ্ছে।’
জানতে চােইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমাদের কড়াকড়ির জন্য যাঁরা পাথর পরিবহন করতে পারছেন না, তাঁরা এ রকমভাবে ডেকে রাখছেন।
আমাদের কাছে তথ্য আছে। আমাদের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হবে। তারা এই বিষয়গুলো অ্যাড্রেস (চিহ্নিত) করবেন। বালু ও মাটি দিয়ে লুকানো পাথর অভিযানকালে উদ্ধার করা হবে।’
ধোপাগুল লালবাগ, সালুটিকর এলাকা সিলেট সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। এই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, সদর উপজেলার বিভিন্ন বাড়িতে পাথর লুকানো হচ্ছে। এসব পাথর উদ্ধারে আমাদের অভিযান চলবে।’
গত বছর অভ্যুত্থানের পর থেকে সিলেটের অন্যান্য কোয়ারির মতো সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র এলাকায়ও পাথরের ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়। সাদাপাথর হিসেবে পরিচিত ধলাই নদের উৎসমুখে বিপুল পরিমাণ পাথর জমা হয়েছিল। লাগামহীন লুটপাটের কারণে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই পর্যটনকেন্দ্র। দিনদুপুরে প্রকাশ্যেই শত শত নৌকায় লুট করা হয় পাথর। একই সঙ্গে নদী তীরের বালি খুঁড়েও লুটপাট চলে।
দিকে ওই পাথর লুট নিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোরগোল পড়লে নড়েচড়ে বসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ স্থানীয় প্রশাসন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এই লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ অবস্থায় হাইকোর্টে রিট করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার দুজন বিচারপতির একটি বেঞ্চ ভোলাগঞ্জে পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর সাত দিনের মধ্যে উদ্ধার করে প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চূড়ান্ত খসড়ায় সনদের পটভূমি, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ৮৪টি বিষয় এবং বাস্তবায়নের ৮টি অঙ্গীকারনামা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
৫ মিনিট আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া। ঐকমত্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চূড়ান্ত খসড়ায় সনদের পটভূমি, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ৮৪টি বিষয় এবং বাস্তবায়নের ৮টি অঙ্গীকারনামা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসিলেটের জাফলংয়ের ডাউকি নদীর পূর্ব তীরে অমূল্য ভূ-তাত্ত্বিক ঐতিহ্য রয়েছে ঝুঁকির মুখে। এখানে তৈরি হওয়ার কথা ছিল সরকারি উদ্যোগে জাদুঘর। এখন সরকারের একাধিক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন এবং একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের টানাপোড়েনে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগে১৫ আগস্ট। দুই বছর আগেও এ দিনে আয়োজন করে পালন করা হতো জাতীয় শোক দিবস। শোক পালন হতো আগস্ট মাসজুড়েই। আর শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতার কেন্দ্রে থাকত ধানমন্ডি ৩২। এবার তার কিছুই হয়নি। বরং দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দিনে ধানমন্ডি ৩২-এ হয়েছে ডিজে গান ও নাচ।
৪ ঘণ্টা আগে