leadT1ad

জন্মদিনে স্মরণ

‘বাংলা রক গানকে সবার ড্রয়িংরুমে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন আইয়ুব বাচ্চু’

আজ জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন। ব্যান্ড সংগীতকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে তাঁর ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তরুণ শিল্পীদের বরাবরই উৎসাহিত করতেন চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী। জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন এ প্রজন্মের শিল্পী জয় শাহরিয়ার

স্ট্রিম গ্রাফিক

আমার শোনা আইয়ুব বাচ্চু–বাচ্চু ভাইয়ের প্রথম গান ‘ও বন্ধু তোমায়’। আমার বোনের কাছে একটা ‘টিডিকে’ ক্যাসেটে বেশ কিছু প্রিয় গানের কম্পাইলেশন ছিল। তখন যেমনটা হতো আরকি। সবাই প্রিয় গানগুলি বাছাই করে ক্যাসেটে রেকর্ড করে শুনত। তারপর একে একে ‘এলআরবি’ আর বাচ্চু ভাইয়ের অনবদ্য সব গানের সাথে পরিচয়।

ক্লাস সেভেনে থাকতে প্রথম স্টেজে গেয়েছিলাম বাচ্চু ভাইয়ের গান। গানটি ছিল, লতিফুল ইসলাম শিবলী ভাইয়ের লেখা ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’। তখন ‘ঢাকা বইমেলা’ নামে একটা বইমেলা হতো প্রতিবছর। সেখানে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। সূর্যমুখী শিশু কিশোর সংগঠনের হয়ে সেই আয়োজনে সবার নানান ধরনের পরিবেশনার পর আমি যখন কষ্ট পেতে ভালোবাসি গাওয়া শুরু করলাম, তখনই পুরো পরিবেশটা বদলে গেল। দর্শকসারির সবাই গাইতে শুরু করল একসঙ্গে। কারো ধারণাই ছিল না যে, ক্লাস সেভেনের একটা ছেলে ছড়া গান না করে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন রিলিজ হওয়া হিট গান গাওয়া শুরু করবে! সেই থেকে শুরু।

কনসার্টে গিটার বাজাচ্ছেন আইয়ুব বাচ্চু। ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি
কনসার্টে গিটার বাজাচ্ছেন আইয়ুব বাচ্চু। ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি

বাচ্চু ভাইয়ের গান আমার মতন হাজারো মিউজিশিয়ান তৈরিতে ভূমিকা রেখে চলেছে বছরের পর বছর। বাচ্চু ভাইকে আমি ‘বস’ ডাকতাম, এখনও ডাকি। পুরো পৃথিবীতে আমি একজনকেই বস ডাকি। মন থেকে ডাকি। বসের সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাত খুব সম্ভবত ২০০৩ সালে। মহানগর নাট্যমঞ্চে রক ধামাকা নামের একটা কনসার্টে। এর আগে একটা ওপেন এয়ার কনসার্টে এক স্টেজে বাজানোর কথা ছিল ধানমন্ডি ওমেন কমপ্লেক্সে। কিন্তু আগের রাতে সেই কনসার্ট বাতিল হয়ে গেলে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।

যখন শুনলাম এই কনসার্টে এলআরবি থাকবে, তখন অন্য কোনো আলাপ ছাড়াই এক বাক্যে রাজি হয়েছিলাম কনসার্টটি করার জন্য। সেই স্মৃতি আজও অমলিন আমার কাছে। মাঝে বিভিন্ন কনসার্টে দেখা হলেই জিজ্ঞেস করতেন নতুন গানের খবর। আমার ব্যান্ড ‘নির্ঝর’-এর অ্যালবাম করতে তাগাদাও দিতেন। আমাদের সেই প্রথম অ্যালবাম বাজারে আসে ২০০৬ সালে।

আমরা অনেকের গান শুনেই বড় হয়েছি। অনেকের গানই ভালো লাগে। রকস্টার বাংলাদেশে আরও আছেন, আরও আসবে নিশ্চয়ই। কিন্তু পরের প্রজন্মের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেবার জন্য আরেকজন আইয়ুব বাচ্চু আর কখনও আসবেন না।

স্পষ্ট মনে আছে, সেদিনই প্রথম আমার ‘এবি কিচেন’-এ যাওয়া। আমরা ব্যান্ডের সবাই মিলে বাচ্চু ভাইয়ের স্টুডিওতে গেলাম। কত শুনেছি এবি কিচেনের কথা! সেই জায়গায় প্রথম যাব ভাবতেই রোমাঞ্চ অনুভব করেছিলাম। আমাদের যাবার ব্যবস্থা করেছিলেন এলআরবি ব্যান্ডের গিটারিস্ট মাসুদ ভাই।

স্টুডিওতে ঢুকেই বাঁয়ে রাখা সোফায় বসলাম। বস এলেন। আমাদের ব্যান্ডের সিডি তাঁকে গিফট করলাম। নিজের জন্য একটা সিডিতে বসের অটোগ্রাফ নিলাম। সেই সিডিটা এখনও আছে আমার কাছে, খুব যত্নে। বস অ্যালবামটা শুনতে শুনতে আমাদের সঙ্গে গল্প করলেন। উৎসাহ দিলেন। কাজ করে যেতে বললেন।

আমার প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ‘সত্যি বলছি’ রিলিজের পর একদিন হঠাৎ বসের ফোন। 'কী রে, তোর গান তো সুপার হিট! চারদিকে শুনতে পাচ্ছি। কিপ আপ দ্য গুড ওয়ার্ক।' তাঁর মতো এত বড় মানুষ আমার প্রথম অ্যালবামের সফলতায় নিজ থেকে কল দিয়ে অনুপ্রেরণা না দিলেও পারতেন। কোনো প্রয়োজন ছিল না, যেমনটা বেশিরভাগ বড় স্টাররা ভাবেন। এখানেই বাচ্চু ভাই আলাদা ছিলেন। আমাদের সাফল্যে খুশি হতেন, আনন্দ পেতেন। এটা সম্ভব ছিল কারণ তিনি তাঁর অনুজদের মন থেকে ভালোবাসতেন। তাদের ভালো চাইতেন।

দেখা হলেই কথা, আড্ডায় সবসময় বাচ্চু ভাই মাতিয়ে রাখতেন চারপাশ। বাংলাদেশের রক আইকন তিনি। নব্বইয়ের দশকে বাংলা রকের যে উত্থান তার অন্যতম কারিগর তিনি। সেই সময়ের অন্য রকস্টারদের তুলনায় একটা জায়গায় বস একদম আলাদা। তা হলো, তাঁর ছায়াবৃক্ষ হয়ে থাকা।

আইয়ুব বাচ্চুর গিটার। ছবি: সংগৃহীত
আইয়ুব বাচ্চুর গিটার। ছবি: সংগৃহীত

আমরা অনেকের গান শুনেই বড় হয়েছি। অনেকের গানই ভালো লাগে। রকস্টার বাংলাদেশে আরও আছেন, আরও আসবে নিশ্চয়ই। কিন্তু পরের প্রজন্মের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেবার জন্য আরেকজন আইয়ুব বাচ্চু আর কখনও আসবেন না।

আমার ব্যান্ড নির্ঝর তখন মাত্র পথচলা শুরু করেছে। নিজের গান করতে বলতেন, অ্যালবাম করতে বলতেন। অ্যালবাম করার পরও সেই উৎসাহ বহমান ছিল। আমার মতোন অসংখ্য তরুণ মিউজিশিয়ান এভাবে অনুপ্রেরণা পেয়েছে বসের কাছে। কারো গান করে দিয়েছেন, কারো অ্যালবাম বের করে দিয়েছেন, কাউকে একেরপর এক কনসার্ট দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজের অসাধারণ সংগীতের পাশাপাশি অসাধারণ একজন অভিভাবক ছিলেন বাচ্চু ভাই। এখানেই তিনি অন্য সবার চাইতে আলাদা। শুধু নিজের জন্য ভাবতেন না, সবার জন্য ভাবতেন।

বাচ্চু ভাই শুরু থেকেই অন্যরকম কাজ করে এসেছেন আমাদের মিউজিক-সিনে। চ্যালেঞ্জ নেবার সাহস ছিল তাঁর। তাই এই দেশের গানের জগতে অনেকগুলো প্রথম, তাঁর হাত ধরেই হয়েছে!

বাংলাদেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম বের করে এলআরবি, ১৯৯২ সালে। খুব সম্ভবত বাংলাদেশের প্রথম একক সিঙ্গেল ক্যাসেট বাচ্চু ভাইয়ের ‘বাঁচাও বিধাতা’। বন্যার্তদের সহায়তায় অ্যালবামটি করেছিলেন। বাংলা রক গানকে সবার ড্রয়িংরুমে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন একজন আইয়ুব বাচ্চু। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল থেকে শুরু করে পারিবারিক আবহে রক মিউজিক তথা ব্যান্ড মিউজিক যখন অপসংস্কৃতি হিসেবে আখ্যায়িত, তখন সেই গানকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে তিনি রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। বাংলা লোকগানকে নতুন সংগীতায়োজনে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। সংগীতের পুরোধা ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করে রক মিউজিককে আস্তে আস্তে মূলধারায় সংযুক্ত করেছেন তিনিই।

আইয়ুব বাচ্চুর কনসার্টে মানুষের ঢল। ছবি: সংগৃহীত
আইয়ুব বাচ্চুর কনসার্টে মানুষের ঢল। ছবি: সংগৃহীত

সর্বশেষ বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিকের জন্য একটি দিন ঘোষণা করে চ্যানেল আইয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চালু করেছিলেন ‘ব্যান্ড ফেস্ট’। ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছর ডিসেম্বরের ১ তারিখ এই আয়োজন করতেন তিনি চ্যানেল আইতে। ব্যান্ড মিউজিকের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার দায়িত্ব ছিল যাদের, তাঁরা যখন বছরের পর বছর নীরব ছিলেন, তখন তিনি নিজ উদ্যোগে এই আয়োজন শুরু করেন। তিনি নিজেও অভিমানে অনেক জায়গা থেকে সরে এসেছিলেন তারও বহু আগে। বসের মৃত্যুর পর অনেকের অনেক মধুর বাণী শুনেছি। কিন্তু সেই ব্যান্ড ফেস্টের একজন অংশগ্রহণকারী হিসেবে জানি, সেই ফেস্টে অনেকেই তখন অংশ নেননি। বসের আহবানে অনেকেই সাড়া দেননি। অনেক কষ্ট পেলেও সামনের সুদিনের কথা ভেবে, বাংলা রক গানের উন্নয়নের কথা ভেবে তিনি যাদের পাশে পেয়েছিলেন তাঁদের নিয়েই কাজ করে গেছেন।

বাচ্চু ভাই খুব সরলমনা মানুষ ছিলেন, একদম শিশুদের মতন। ব্যান্ড ফেস্টের একটা ঘটনা মনে আছে আমার। সেবার ‘দ্য ব্রাদারহুড প্রজেক্ট’ হিসেবে আমরা ব্যান্ড ফেস্টে অংশ নেই। যেহেতু অনেকগুলো ব্যান্ড বাজাবে, তাই সবার জন্য সময় বরাদ্দ মাত্র দশ মিনিট করে। আমরা যেটা করলাম, একটা ‘মেডলি’ বানালাম। বিজয়ের মাস বলে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ‘পূর্ব দিগন্তে’ গান দিয়ে শুরু করে এরপর আমার ‘সত্যি বলছি’ গানটা গাইলাম। পারভেজ ভাইয়ের ‘যাবি যদি’ গান দিয়ে আমাদের পরিবেশনা শেষ হলো। প্রতি গানের এক অন্তরা করে রেখে গানগুলো ছোটো করে আমাদের মেডলি হলো সাড়ে আট মিনিটের। কোনো ব্রেক ছাড়া সেভাবেই আমরা প্র্যাকটিস করে গেছি। কনসার্টেও তাই করলাম। দর্শক রেসপন্স খুব ভালো।

কিন্তু স্টেজ থেকে নেমেই দেখি বসের রুদ্র মূর্তি। দারুণ খেপে আছেন তিনি। আমাকে ডেকে বললেন, 'তোদের বরাদ্দ কয় মিনিট?' আমি উত্তর দিলাম, 'দশ মিনিট, বস।' তিনি তখন বললেন, 'গান হয় দশ মিনিটে দুইটা, তোরা তিনটা করলি কেন?' আমি বললাম, 'বস, দশ মিনিট সময়। আমরা সাড়ে আট মিনিটের মেডলি করলাম। আমাদের গানের সংখ্যা বলা হয় নাই। বলা হইসে সময় দশ মিনিট। আমরা সেটা মেনেই শো করলাম। অনেকের দুই গানে বরং দশ মিনিটের বেশি হতে পারে।' আমাকে দিলেন ধমক, 'আমাকে তোরা কী বোঝাতে চাস? আমি কিছু বুঝি না?'

এমনই ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। একদম বাচ্চাদের মতো সরল! তাঁর কাছের যারা আছেন তাঁরা এমন অনেক গল্প দেখেছেন। আশেপাশের মানুষ তাঁকে নানাভাবে ভুল বোঝাতো অনেক সময়। ফলে অনেক ঘটনাই ঘটত যেটা তিনি হয়তো মন থেকে করতেন না। অন্য কেউ ভুল বোঝানোর ফলে অভিমান থেকে করতেন। ভুল ভেঙে গেলে এক মুহূর্ত দেরি করতেন না কাছে টেনে নিতে।

বুঝে গেলাম, কথা বাড়িয়ে লাভ নাই। চ্যানেল আইয়ের মূল ভবনে ঢুকে গেলাম। মিনিট দশেক পর যখন সবকিছু গুছিয়ে বেরিয়ে যাবো, তখন দেখি বাচ্চু ভাই এগিয়ে আসছেন। আমাদের মন খারাপ, অযথা ঝাড়ি খেয়েছি। বস কাছে আসলেন। হাত দুটো করজোড়ে বললেন, 'আমাকে মাফ করে দে। তোদের বকা দিলাম। ভুলটা আমার। তোরা তো আসলে দশ মিনিটের মাঝেই শেষ করেছিস। আসলে আমাকে এত কাজের মধ্যে এসে কে যেন বলে গেল, বস জয়রা তিনটা গান করছে, এভাবে তো সময় ঠিক রাখা যাবে না। আমিও বুঝে না বুঝে তোদের ঝাড়ি দিয়ে দিলাম। আমাকে মাফ করে দে।'

আমি আর পারু তখন দারুণ বিব্রত। আমি বললাম, 'বস, কী বলেন এসব! আপনার মাফ চাওয়ার কী আছে?' তিনি বললেন, 'না, আমার ভুল। আমার উচিত মাফ চাওয়া। মাফ করলি কি না বল।' আমরা জড়িয়ে ধরলাম বসকে। বললাম, 'কী সব বলেন, বস!'

এলআরবি (১৯৯৪) ছবি: ইমতিয়াজ আলম বেগ
এলআরবি (১৯৯৪) ছবি: ইমতিয়াজ আলম বেগ

এমনই ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। একদম বাচ্চাদের মতো সরল! তাঁর কাছের যারা আছেন তাঁরা এমন অনেক গল্প দেখেছেন। আশেপাশের মানুষ তাঁকে নানাভাবে ভুল বোঝাতো অনেকসময়। ফলে অনেক ঘটনাই ঘটতো যেটা তিনি হয়তো মন থেকে করতেন না। অন্য কেউ ভুল বোঝানোর ফলে অভিমান থেকে করতেন। ভুল ভেঙে গেলে এক মুহূর্ত দেরি করতেন না কাছে টেনে নিতে।

আইয়ুব বাচ্চু অসম্ভব কেয়ারিং ছিলেন আশপাশের মানুষের প্রতি। দীর্ঘদিন মগবাজার কাজী অফিসের গলিতে ছিলেন। এবি কিচেন সেখানেই ছিল। বাপ্পা ভাইয়ের স্টুডিও একই গলিতে ছিল অনেকদিন, ভাইয়ার স্টুডিওতে আমি প্রায় প্রতিদিন যেতাম সেই সময়। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই গলিতে প্রচুর আড্ডা দিতাম, ফুচকা খেতাম। বাচ্চু ভাই নিজেই ড্রাইভ করে বের হতেন। আর যখনই দেখতেন আমরা আড্ডা দিচ্ছি, তাঁর গাড়ি আমাদের ক্রস করে গেলেও আবার পেছনে ফিরে এসে গ্লাস নামিয়ে গল্প করতেন, খবর নিতেন গানের। কোনো প্রয়োজন ছিল না একজন আইয়ুব বাচ্চুর এগুলো করার। এজন্যই তিনি আলাদা সবার চাইতে।

শিল্পী হিসেবে নিজের সৃষ্টির মাঝে ততদিন একজন আইয়ুব বাচ্চু বেঁচে থাকবেন, যতদিন বাংলা গান বেঁচে থাকবে। পাশাপাশি আমার প্রজন্মের সবার মাঝে তিনি বেঁচে থাকবেন একজন বড় ভাই হিসেবে, মেন্টর হিসেবে, অভিভাবক হিসেবে। কারণ একজন আইয়ুব বাচ্চু বাংলা রকযাত্রায় আমাদের ছায়াবৃক্ষ।

(লেখাটি জয় শাহরিয়ারের সংকলন ও সম্পাদনায় ‘রুপালি গিটার’ বইয়ে পূর্ব প্রকাশিত)

লেখক: সংগীতশিল্পী; প্রকাশক

Ad 300x250

সম্পর্কিত