বাস্তবায়ন ও আইনি ভিত্তি নিয়ে এখনো দ্বিমত
স্ট্রিম প্রতিবেদক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া। ঐকমত্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চূড়ান্ত খসড়ায় সনদের পটভূমি, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ৮৪টি বিষয় এবং বাস্তবায়নের ৮টি অঙ্গীকারনামা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এ খসড়া পাঠানো হয়। খসড়া পাঠিয়ে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রাপ্তি স্বীকার করার অনুরোধ জানানো হয়। বলা হয়, জুলাই সনদের খসড়ার কোনো শব্দ, বাক্য গঠন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে তা আগামী ২০ আগস্টের বিকেল ৪ টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে কথা হয় স্ট্রিমের। তিনি জানান, বিএনপির পক্ষ থেকেই সবচেয়ে বেশি দ্বিমত এসেছে। অন্যদিকে, এনসিপি কোনো নোট অব ডিসেন্ট দেয়নি।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের এখন মূল আলোচনার বিষয় হচ্ছে, এই খসড়া কীভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং এর আইনগত বা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কী। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই বিষয়গুলো নির্ধারণের চেষ্টা করছি। রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও আসবে।’
চূড়ান্ত খসড়া তিনটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে সনদের পটভূমি, সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গঠন এবং কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয়গুলো বর্ণিত। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোর তালিকা এবং তৃতীয় ভাগে সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা, যেখানে আটটি ধারায় অঙ্গীকারগুলো উল্লেখ করা আছে।
খসড়া চূড়ান্ত হওয়া বিষয়ে জনাব মজুমদার জানান, এখনো কিছু বিষয় ঠিক হয়নি—যেমন সরকারি কর্ম কমিশন, কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া—এসব ক্ষেত্রে বিএনপির আপত্তি রয়েছে। সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াগুলোকে শক্ত আইনি ভিত্তি দেওয়ার বিষয়েও দ্বিমত আছে।’
বদিউল আলম আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়া, সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর রাখার বিষয় এবং অনাস্থা প্রস্তাব ছাড়া দলীয় সদস্যদের ভোট প্রদানের বিষয়েও বিএনপির কিছু দ্বিমত রয়েছে। এ ছাড়া ফ্লোর ক্রসিং এবং পিআর বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কন্ডিশনাল। অর্থাৎ তারা একমত, তবে কিছু শর্ত সংযুক্ত করেছে।’
বদিউল আলম আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতামত পাওয়া গেলে এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হলে আমরা চূড়ান্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে সক্ষম হব। আমরা সব বিষয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ সমাধান বের করার চেষ্টা করছি।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, তাঁরা মাত্র জুলাই সনদের খসড়া হাতে পেয়েছেন। বিস্তারিত পর্যালোচনা করে বিএনপির পক্ষ থেকে মতামত জানানো হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘যেসব বিষয়ে সর্বসম্মতি হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হবে। আর যেসব বিষয়ে হয়নি, সেগুলো নির্বাচনে বিজয়ীদের মতামতের ওপর নির্ভর করবে। সেক্ষেত্রে আমরা জনগণের কাছে যাব। মীমাংসার পথ জনগণের মধ্য দিয়েই আসবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা তো মনে করি যে— জুলাই সনদকে এলএফও (লিগ্যাল ফ্রেম অব অর্ডার) করে তার অধীনে নির্বাচন করা উচিত। পুরনো বা বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হলে জুলাই সনদ আসলে কোনও ভিত্তি পাবে না। ফলে গণপরিষদ এবং আইনসভা একত্রে করার প্রস্তাবই এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) জানান, তাঁরা বর্তমানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অবস্থান করছেন। ওনাকে (ডা. তাহের) সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয়েছে। তিনি এই মুহূর্তে এ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য প্রস্তুত নন।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া। ঐকমত্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চূড়ান্ত খসড়ায় সনদের পটভূমি, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ৮৪টি বিষয় এবং বাস্তবায়নের ৮টি অঙ্গীকারনামা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এ খসড়া পাঠানো হয়। খসড়া পাঠিয়ে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রাপ্তি স্বীকার করার অনুরোধ জানানো হয়। বলা হয়, জুলাই সনদের খসড়ার কোনো শব্দ, বাক্য গঠন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে তা আগামী ২০ আগস্টের বিকেল ৪ টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে কথা হয় স্ট্রিমের। তিনি জানান, বিএনপির পক্ষ থেকেই সবচেয়ে বেশি দ্বিমত এসেছে। অন্যদিকে, এনসিপি কোনো নোট অব ডিসেন্ট দেয়নি।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের এখন মূল আলোচনার বিষয় হচ্ছে, এই খসড়া কীভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং এর আইনগত বা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কী। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই বিষয়গুলো নির্ধারণের চেষ্টা করছি। রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও আসবে।’
চূড়ান্ত খসড়া তিনটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে সনদের পটভূমি, সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গঠন এবং কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয়গুলো বর্ণিত। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোর তালিকা এবং তৃতীয় ভাগে সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা, যেখানে আটটি ধারায় অঙ্গীকারগুলো উল্লেখ করা আছে।
খসড়া চূড়ান্ত হওয়া বিষয়ে জনাব মজুমদার জানান, এখনো কিছু বিষয় ঠিক হয়নি—যেমন সরকারি কর্ম কমিশন, কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া—এসব ক্ষেত্রে বিএনপির আপত্তি রয়েছে। সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াগুলোকে শক্ত আইনি ভিত্তি দেওয়ার বিষয়েও দ্বিমত আছে।’
বদিউল আলম আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়া, সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর রাখার বিষয় এবং অনাস্থা প্রস্তাব ছাড়া দলীয় সদস্যদের ভোট প্রদানের বিষয়েও বিএনপির কিছু দ্বিমত রয়েছে। এ ছাড়া ফ্লোর ক্রসিং এবং পিআর বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কন্ডিশনাল। অর্থাৎ তারা একমত, তবে কিছু শর্ত সংযুক্ত করেছে।’
বদিউল আলম আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতামত পাওয়া গেলে এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হলে আমরা চূড়ান্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে সক্ষম হব। আমরা সব বিষয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ সমাধান বের করার চেষ্টা করছি।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, তাঁরা মাত্র জুলাই সনদের খসড়া হাতে পেয়েছেন। বিস্তারিত পর্যালোচনা করে বিএনপির পক্ষ থেকে মতামত জানানো হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘যেসব বিষয়ে সর্বসম্মতি হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হবে। আর যেসব বিষয়ে হয়নি, সেগুলো নির্বাচনে বিজয়ীদের মতামতের ওপর নির্ভর করবে। সেক্ষেত্রে আমরা জনগণের কাছে যাব। মীমাংসার পথ জনগণের মধ্য দিয়েই আসবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা তো মনে করি যে— জুলাই সনদকে এলএফও (লিগ্যাল ফ্রেম অব অর্ডার) করে তার অধীনে নির্বাচন করা উচিত। পুরনো বা বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হলে জুলাই সনদ আসলে কোনও ভিত্তি পাবে না। ফলে গণপরিষদ এবং আইনসভা একত্রে করার প্রস্তাবই এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) জানান, তাঁরা বর্তমানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অবস্থান করছেন। ওনাকে (ডা. তাহের) সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয়েছে। তিনি এই মুহূর্তে এ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য প্রস্তুত নন।’
সিলেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনুর রুবাইয়াতের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী পাথরগুলো জব্দ করে। এ নিয়ে সিলেটে গত তিন দিনে প্রায় ৪ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানের পর সংবিধান বাতিল না করা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে দাবি করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। সেইসঙ্গে এই সিদ্ধান্তের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো আত্মোলপব্ধি নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চূড়ান্ত খসড়ায় সনদের পটভূমি, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ৮৪টি বিষয় এবং বাস্তবায়নের ৮টি অঙ্গীকারনামা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের জাফলংয়ের ডাউকি নদীর পূর্ব তীরে অমূল্য ভূ-তাত্ত্বিক ঐতিহ্য রয়েছে ঝুঁকির মুখে। এখানে তৈরি হওয়ার কথা ছিল সরকারি উদ্যোগে জাদুঘর। এখন সরকারের একাধিক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন এবং একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের টানাপোড়েনে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা।
৭ ঘণ্টা আগে