থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে সাংবিধানিক আদালতের ক্ষমতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই আদালত ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪টি রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত উদাহরণ হচ্ছে সংস্কারপন্থী ‘মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি’, যারা ২০২৩ সালের নির্বাচনে সর্বাধিক আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি।
স্ট্রিম ডেস্ক
থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। কম্বোডিয়ান সিনেট নেতা হুন সেনের সাথে তাঁর একটি গোপন ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর থেকেই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠছিল।
ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে পেতংতার্ন হুন সেনকে ‘আংকেল’ বলে সম্বোধন করেন এবং এক থাই সামরিক কমান্ডারের সমালোচনা করেন। যা থাইল্যান্ডের রক্ষণশীল মহলে সৃষ্টি করে তীব্র ক্ষোভ।
এ ঘটনার পর তাঁর বরখাস্তের জন্য আদালতে আবেদন জমা পড়ে। আদালত সেই আবেদনের শুনানিতে ৭-২ ভোটে তাঁকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তিনি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিজের পক্ষে যুক্তি পেশ করতে পারবেন। এই সময়ে উপ-প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তবে মন্ত্রিসভায় পেতংতার্ন সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে থাকছেন। কয়েক ঘণ্টা আগেই মন্ত্রিসভা রদবদলের মাধ্যমে এর অনুমোদন করা হয়েছে।
এই ঘটনার কারণে পেতংতার্ন হতে পারেন পূর্ণ মেয়াদ শেষ হবার আগেই ক্ষমতা হারানো সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য। এর আগেও তাঁর বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও ফুফু ইয়িংলাক সিনাওয়াত্রা অভ্যুত্থান ও আদালতের রায়ে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন।
পেতংতার্ন মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, হুন সেনের সাথে তাঁর কথোপকথনের উদ্দেশ্য ছিল শতভাগ দেশের স্বার্থরক্ষা করা। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে এটি করিনি। আমি শুধু বিশৃঙ্খলা, সংঘর্ষ আর প্রাণহানি এড়াতে চেয়েছিলাম।’
তিনি আরও দাবি করেন, অডিওটি মনোযোগ দিয়ে শুনলে বোঝা যাবে যে তাঁর কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্তবিরোধ বহু পুরোনো হলেও গত মে মাসের শেষ দিকে এক কম্বোডিয়ান সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে উত্তেজনা আবারও বাড়তে শুরু করে। ওই সীমান্ত ইস্যু নিয়েই মূলত হুন সেনের সাথে পেতংতার্নের কথোপকথন হয়েছিল।
এদিকে, পেতংতার্নের জনপ্রিয়তা ক্রমেই নামছে তলানিতে। মার্চে তাঁর সমর্থন ছিল ৩০.৯ শতাংশ, যা গত সপ্তাহান্তে নেমে এসেছে ৯.২ শতাংশে। তাঁর নেতৃত্বাধীন পেউ থাই পার্টির জোট সরকার আগেই ছিল নাজুক অবস্থায়। দুই সপ্তাহ আগে এক রক্ষণশীল দল তাঁদের জোট ছেড়ে চলে যায়, ফলে সংসদে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও দুর্বল হয়ে পড়ে।
‘আমি কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে এটি করিনি। আমি শুধু বিশৃঙ্খলা, সংঘর্ষ আর প্রাণহানি এড়াতে চেয়েছিলাম।’ পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, বহিষ্কৃত থাই প্রধানমন্ত্রী
শেষ পর্যন্ত যদি আদালত তাঁকে স্থায়ী বরখাস্ত করেন, তবে গত আগস্টের পর পেউ থাই পার্টি থেকে দ্বিতীয়বার কোনো প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত হবেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্রেত্থা থাভিসিনও সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে বরখাস্ত হয়েছিলেন। তাঁর অপরাধ ছিল জেল-ফেরত এক আইনজীবীকে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ করা।
এদিকে, থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে সাংবিধানিক আদালতের ক্ষমতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই আদালত ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪টি রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত উদাহরণ হচ্ছে সংস্কারপন্থী ‘মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি’, যারা ২০২৩ সালের নির্বাচনে সর্বাধিক আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি।
পেতংতার্নের বাবা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাও নতুন আইনি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। নয় বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে রাজপরিবারকে অপমানের অভিযোগে (লে ম্যাজেস্টে আইন) বিচার শুরু হয়েছে।
১৫ বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পর ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডে ফিরেছিলেন থাকসিন । তাঁর ফিরে আসা ছিল পেউ থাই পার্টি ও তাদের সাবেক রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে বড় এক সমঝোতার অংশ। এই রক্ষণশীল গোষ্ঠীর অন্যতম অংশীদার সেনাবাহিনী, যারা সিনাওয়াত্রা পরিবারের দুটি সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়েছিল। এছাড়া রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ মহলও সেই রক্ষণশীল গোষ্ঠীর আরেক অংশীদার ।
থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। কম্বোডিয়ান সিনেট নেতা হুন সেনের সাথে তাঁর একটি গোপন ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর থেকেই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠছিল।
ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে পেতংতার্ন হুন সেনকে ‘আংকেল’ বলে সম্বোধন করেন এবং এক থাই সামরিক কমান্ডারের সমালোচনা করেন। যা থাইল্যান্ডের রক্ষণশীল মহলে সৃষ্টি করে তীব্র ক্ষোভ।
এ ঘটনার পর তাঁর বরখাস্তের জন্য আদালতে আবেদন জমা পড়ে। আদালত সেই আবেদনের শুনানিতে ৭-২ ভোটে তাঁকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তিনি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিজের পক্ষে যুক্তি পেশ করতে পারবেন। এই সময়ে উপ-প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তবে মন্ত্রিসভায় পেতংতার্ন সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে থাকছেন। কয়েক ঘণ্টা আগেই মন্ত্রিসভা রদবদলের মাধ্যমে এর অনুমোদন করা হয়েছে।
এই ঘটনার কারণে পেতংতার্ন হতে পারেন পূর্ণ মেয়াদ শেষ হবার আগেই ক্ষমতা হারানো সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য। এর আগেও তাঁর বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও ফুফু ইয়িংলাক সিনাওয়াত্রা অভ্যুত্থান ও আদালতের রায়ে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন।
পেতংতার্ন মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, হুন সেনের সাথে তাঁর কথোপকথনের উদ্দেশ্য ছিল শতভাগ দেশের স্বার্থরক্ষা করা। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে এটি করিনি। আমি শুধু বিশৃঙ্খলা, সংঘর্ষ আর প্রাণহানি এড়াতে চেয়েছিলাম।’
তিনি আরও দাবি করেন, অডিওটি মনোযোগ দিয়ে শুনলে বোঝা যাবে যে তাঁর কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্তবিরোধ বহু পুরোনো হলেও গত মে মাসের শেষ দিকে এক কম্বোডিয়ান সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে উত্তেজনা আবারও বাড়তে শুরু করে। ওই সীমান্ত ইস্যু নিয়েই মূলত হুন সেনের সাথে পেতংতার্নের কথোপকথন হয়েছিল।
এদিকে, পেতংতার্নের জনপ্রিয়তা ক্রমেই নামছে তলানিতে। মার্চে তাঁর সমর্থন ছিল ৩০.৯ শতাংশ, যা গত সপ্তাহান্তে নেমে এসেছে ৯.২ শতাংশে। তাঁর নেতৃত্বাধীন পেউ থাই পার্টির জোট সরকার আগেই ছিল নাজুক অবস্থায়। দুই সপ্তাহ আগে এক রক্ষণশীল দল তাঁদের জোট ছেড়ে চলে যায়, ফলে সংসদে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও দুর্বল হয়ে পড়ে।
‘আমি কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে এটি করিনি। আমি শুধু বিশৃঙ্খলা, সংঘর্ষ আর প্রাণহানি এড়াতে চেয়েছিলাম।’ পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, বহিষ্কৃত থাই প্রধানমন্ত্রী
শেষ পর্যন্ত যদি আদালত তাঁকে স্থায়ী বরখাস্ত করেন, তবে গত আগস্টের পর পেউ থাই পার্টি থেকে দ্বিতীয়বার কোনো প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত হবেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্রেত্থা থাভিসিনও সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে বরখাস্ত হয়েছিলেন। তাঁর অপরাধ ছিল জেল-ফেরত এক আইনজীবীকে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ করা।
এদিকে, থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে সাংবিধানিক আদালতের ক্ষমতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই আদালত ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪টি রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত উদাহরণ হচ্ছে সংস্কারপন্থী ‘মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি’, যারা ২০২৩ সালের নির্বাচনে সর্বাধিক আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি।
পেতংতার্নের বাবা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাও নতুন আইনি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। নয় বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে রাজপরিবারকে অপমানের অভিযোগে (লে ম্যাজেস্টে আইন) বিচার শুরু হয়েছে।
১৫ বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পর ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডে ফিরেছিলেন থাকসিন । তাঁর ফিরে আসা ছিল পেউ থাই পার্টি ও তাদের সাবেক রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে বড় এক সমঝোতার অংশ। এই রক্ষণশীল গোষ্ঠীর অন্যতম অংশীদার সেনাবাহিনী, যারা সিনাওয়াত্রা পরিবারের দুটি সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়েছিল। এছাড়া রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ মহলও সেই রক্ষণশীল গোষ্ঠীর আরেক অংশীদার ।
প্রতিবছর চাসোটি থেকে কিসওয়ারের মাতা চণ্ডী হিমালয় তীর্থস্থানে বার্ষিক যাত্রা শুরু হয়। আকস্মিক বন্যার কারণে বার্ষিক এ যাত্রা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেব্রিটেনের সাবেক সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতির মামলা একটি ‘প্রহসন’ এবং এটি ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ থেকে করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রশাসন ‘ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক অভিযোগ’ ছড়াচ্ছে এবং মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই বৈঠকে পুতিন যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হন তবে তাকে ‘কঠোর পরিণতি’ হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেদনের নির্বাহী সার সংক্ষেপে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহের ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন এবং আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালান। ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
১ দিন আগে