আজ বিশ্ব মশা দিবস
আজ বিশ্ব মশা দিবস। এই লেখায় আমরা জানব, মশা কি প্রাণী (পতঙ্গ) হিসেবে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ? মশা কেন বিশেষভাবে মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং কেন কিছু মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়। আর পৃথিবীর সব অঞ্চলে কি মশা আছে? না থাকলে, কেন নেই!
স্ট্রিম ডেস্ক
আমরা যখন ভয়ংকর প্রাণীর কথা ভাবি, চোখের সামনে ভেসে ওঠে হিংস্র বাঘ-সিংহ বা বিষধর সাপের ছবি। কিন্তু সত্যি বলতে, মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু এই বিশাল প্রাণীগুলো নয়। বরং যাকে আমরা প্রতিদিনই চোখে দেখি কিন্তু উপেক্ষা করি, সেই ক্ষুদ্র মশাই পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণী (পতঙ্গ)।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এত ক্ষুদ্র মশা কীই-বা করতে পারে? কিন্তু তথ্য বলছে, প্রাণীর মধ্যে মশাই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। গবেষকেরা বলছেন, মশার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ইতিহাসের যেকোনো যুদ্ধের চেয়ে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর মশাবাহিত রোগে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ মারা যায়। শুধু ম্যালেরিয়াই কেড়ে নেয় প্রায় পাঁচ লাখ প্রাণ। তার বাইরে আছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়লো ফিভার, জিকা ভাইরাস।
সব মিলিয়ে এই ক্ষুদ্র ডানাওয়ালা প্রাণীর হাতে পৃথিবীর মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ এমন এলাকায় বসবাস করে যেখানে ডেঙ্গুর ঝুঁকি আছে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় ৪ বিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
তবে মশা সরাসরি মানুষকে মারে না। কিন্তু তাদের কামড়ে লুকিয়ে থাকে অদৃশ্য ভাইরাস ও পরজীবী। এক কামড়েই তারা ছড়িয়ে দেয় প্রাণঘাতী রোগ। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে মানুষের ক্ষমতা এখনো সীমিত। অনেক জায়গায় ড্রেন, নর্দমা, ছাদে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা হয় না, যা মশার প্রজননক্ষেত্র সৃষ্টি করে। ফলে এই ক্ষুদ্র প্রাণী বারবার ফিরে আসে এবং পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
কিন্তু কেন এত ছোট প্রাণী এত বড় হত্যাকারী হতে পারল? তার উত্তর লুকিয়ে আছে মশার জীববিজ্ঞান, তাদের কামড়ের রহস্য, এবং আমাদেরকে শনাক্ত করতে পারার অদ্ভুত ক্ষমতার মধ্যে।
মশার জীবনচক্র শুরু হয় একদম পানির ভেতর থেকে। স্ত্রী মশা সাধারণত জমে থাকা পানির ওপর ডিম দেয়। সেই ডিম থেকে ফোটে লার্ভা, তারপর পিউপা এবং সবশেষে মশা হয়ে যায় পূর্ণবয়স্ক। পুরো প্রক্রিয়াটি মাত্র ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এটা থেকেই বোঝা যায়, মশা কত দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম!
তবে সব মশা কিন্তু মানুষের রক্ত খায় না। শুধু স্ত্রী মশারাই রক্ত খায় এবং তা-ও শুধু তাদের ডিম পাড়ার জন্য। মানুষের রক্ত থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন ও লৌহ ডিমের বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। অন্যদিকে পুরুষ মশা ফুলের রস বা উদ্ভিদের রস খেয়ে দিন কাটায়।
মশারা খুব বাছবিচার করে শিকার খুঁজে নেয়। তাদের শরীরে বিশেষ সেন্সর থাকে যা তাপ, গন্ধ এবং বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড শনাক্ত করতে পারে। আমরা শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় যে গ্যাস নিঃসৃত করি, তা মশাদের কাছে একটি সংকেতের মতো কাজ করে। আমাদের শরীরের ঘামে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মশাকে আরও কাছে টেনে আনে। শরীরের উষ্ণতা বা তাপও তাদের আকর্ষণের অন্যতম প্রধান কারণ।
তাহলে কি মশা শুধু মানুষকেই কামড়ায়? না, তারা অন্যান্য প্রাণীকেও কামড়ায়। তবে মানুষের শরীরের উষ্ণতা, গন্ধ এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের ধরন তাদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। যেন আমরা মশার জন্য একেবারে রেডিমেড খাবারের প্যাকেট!
কিছু মানুষ কেন মশার কামড় বেশি খায়, তা অনেকের কাছে রহস্যের মতো মনে হতে পারে। আসলে মশা সবাইকে সমানভাবে কামড়ায় না। একসঙ্গে অনেক মানুষ থাকলেও, কিছু নির্দিষ্ট মানুষর প্রতি মশা বেশি আকৃষ্ট হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রকেফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যাদের ত্বকে কার্বক্সিলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, তাদের প্রতি মশা বেশি কামড়ায়।
সেল জার্নাল সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের ত্বকের গন্ধ মশার আকর্ষণের প্রধান কারণ। বিশেষ করে যাদের ত্বকে কার্বক্সিলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, তাঁরা স্ত্রী এডিস মশার কাছে অন্যদের তুলনায় ১০০ গুণ বেশি আকর্ষণীয়।
এবারে প্রশ্ন আসতে পারে, কেন কিছু মানুষের ত্বকে বেশি কার্বক্সিলিক অ্যাসিড তৈরি হয়? এর পেছনে আছে জিনগত কারণ। বিপাক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে জিন এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে। যাদের বিপাকের হার বেশি, তাঁদের দেহ থেকে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসৃত হয়, যা মশার কাছে একটি শক্তিশালী সংকেত। তাই এই ধরনের মানুষ মশার কামড়ের শিকার বেশি হন। আবার গর্ভবতী নারীরা সাধারণত স্বাভাবিকের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসৃত করেন এবং তাদের শরীরের তাপমাত্রাও বেশি থাকে, তাই মশা তাঁদের বেশি কামড়ায়।
শুধু কার্বন ডাই অক্সাইড নয়, মানুষের শরীরের নিজস্ব গন্ধও মশার আকর্ষণ বাড়ায়। প্রত্যেকের ত্বকে সেবাম নামের তৈলাক্ত পদার্থ থাকে, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং বিভিন্ন অ্যান্টিজেন থেকে রক্ষা করে। সেবাম থেকে তৈরি হয় কার্বক্সিলিক অ্যাসিড। তাই যাদের ত্বকে কার্বক্সিলিক অ্যাসিড বেশি, তাঁরা মশার কাছে আরও প্রিয়।
পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে মশা নেই বা তাদের বিচরণ খুবই সীমিত। সাধারণত শীতল বা অতিশীতল অঞ্চলে মশা টিকে থাকতে পারে না। মশার বংশবৃদ্ধি ও জীবনচক্রের জন্য প্রয়োজন উষ্ণতা, আর্দ্রতা এবং জমে থাকা পানি। তাই মশা কিছু অঞ্চলে জন্মাতে ও টিকতে পারে না।
আইসল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে মশা প্রাকৃতিকভাবেই টিকতে পারে না। এখানে উষ্ণ এবং বদ্ধ পানির উৎস খুবই সীমিত। ঠান্ডা জলবায়ু মশার জীবনের জন্য উপযুক্ত নয়। আর মশার জীবনচক্র সম্পন্ন হওয়ার জন্য তাপমাত্রা ও জলবায়ুর স্থিতিশীলতা জরুরি, যা এখানে নেই। তাই বলা যায়, পরিবেশের কারণে তারা দীর্ঘমেয়াদিভাবে এই সব অঞ্চলে থাকতে পারে না। গবেষণা থেকে জানা যায়, এ ক্ষেত্রে আইসল্যান্ডের মাটির গঠনেরও কিছু ভূমিকা আছে।
পৃথিবীর মশাবিহীন অঞ্চলগুলোর মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ অন্যতম। প্রচণ্ড ঠান্ডা, শুষ্ক আবহাওয়া এবং প্রচণ্ড বাতাসের কারণে মশা সেখানে টিকে থাকতে পারে না। এ ছাড়া বংশবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় বদ্ধ জলাশয় সেখানে নেই। তাই মশা জন্মাতে পারে না আর মানববসতি না থাকার কারণে সেখানে মশার উপস্থিতিও নেই।
আমরা যখন ভয়ংকর প্রাণীর কথা ভাবি, চোখের সামনে ভেসে ওঠে হিংস্র বাঘ-সিংহ বা বিষধর সাপের ছবি। কিন্তু সত্যি বলতে, মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু এই বিশাল প্রাণীগুলো নয়। বরং যাকে আমরা প্রতিদিনই চোখে দেখি কিন্তু উপেক্ষা করি, সেই ক্ষুদ্র মশাই পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণী (পতঙ্গ)।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এত ক্ষুদ্র মশা কীই-বা করতে পারে? কিন্তু তথ্য বলছে, প্রাণীর মধ্যে মশাই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। গবেষকেরা বলছেন, মশার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ইতিহাসের যেকোনো যুদ্ধের চেয়ে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর মশাবাহিত রোগে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ মারা যায়। শুধু ম্যালেরিয়াই কেড়ে নেয় প্রায় পাঁচ লাখ প্রাণ। তার বাইরে আছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়লো ফিভার, জিকা ভাইরাস।
সব মিলিয়ে এই ক্ষুদ্র ডানাওয়ালা প্রাণীর হাতে পৃথিবীর মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ এমন এলাকায় বসবাস করে যেখানে ডেঙ্গুর ঝুঁকি আছে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় ৪ বিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
তবে মশা সরাসরি মানুষকে মারে না। কিন্তু তাদের কামড়ে লুকিয়ে থাকে অদৃশ্য ভাইরাস ও পরজীবী। এক কামড়েই তারা ছড়িয়ে দেয় প্রাণঘাতী রোগ। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে মানুষের ক্ষমতা এখনো সীমিত। অনেক জায়গায় ড্রেন, নর্দমা, ছাদে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা হয় না, যা মশার প্রজননক্ষেত্র সৃষ্টি করে। ফলে এই ক্ষুদ্র প্রাণী বারবার ফিরে আসে এবং পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
কিন্তু কেন এত ছোট প্রাণী এত বড় হত্যাকারী হতে পারল? তার উত্তর লুকিয়ে আছে মশার জীববিজ্ঞান, তাদের কামড়ের রহস্য, এবং আমাদেরকে শনাক্ত করতে পারার অদ্ভুত ক্ষমতার মধ্যে।
মশার জীবনচক্র শুরু হয় একদম পানির ভেতর থেকে। স্ত্রী মশা সাধারণত জমে থাকা পানির ওপর ডিম দেয়। সেই ডিম থেকে ফোটে লার্ভা, তারপর পিউপা এবং সবশেষে মশা হয়ে যায় পূর্ণবয়স্ক। পুরো প্রক্রিয়াটি মাত্র ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এটা থেকেই বোঝা যায়, মশা কত দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম!
তবে সব মশা কিন্তু মানুষের রক্ত খায় না। শুধু স্ত্রী মশারাই রক্ত খায় এবং তা-ও শুধু তাদের ডিম পাড়ার জন্য। মানুষের রক্ত থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন ও লৌহ ডিমের বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। অন্যদিকে পুরুষ মশা ফুলের রস বা উদ্ভিদের রস খেয়ে দিন কাটায়।
মশারা খুব বাছবিচার করে শিকার খুঁজে নেয়। তাদের শরীরে বিশেষ সেন্সর থাকে যা তাপ, গন্ধ এবং বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড শনাক্ত করতে পারে। আমরা শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় যে গ্যাস নিঃসৃত করি, তা মশাদের কাছে একটি সংকেতের মতো কাজ করে। আমাদের শরীরের ঘামে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মশাকে আরও কাছে টেনে আনে। শরীরের উষ্ণতা বা তাপও তাদের আকর্ষণের অন্যতম প্রধান কারণ।
তাহলে কি মশা শুধু মানুষকেই কামড়ায়? না, তারা অন্যান্য প্রাণীকেও কামড়ায়। তবে মানুষের শরীরের উষ্ণতা, গন্ধ এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের ধরন তাদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। যেন আমরা মশার জন্য একেবারে রেডিমেড খাবারের প্যাকেট!
কিছু মানুষ কেন মশার কামড় বেশি খায়, তা অনেকের কাছে রহস্যের মতো মনে হতে পারে। আসলে মশা সবাইকে সমানভাবে কামড়ায় না। একসঙ্গে অনেক মানুষ থাকলেও, কিছু নির্দিষ্ট মানুষর প্রতি মশা বেশি আকৃষ্ট হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রকেফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যাদের ত্বকে কার্বক্সিলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, তাদের প্রতি মশা বেশি কামড়ায়।
সেল জার্নাল সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের ত্বকের গন্ধ মশার আকর্ষণের প্রধান কারণ। বিশেষ করে যাদের ত্বকে কার্বক্সিলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, তাঁরা স্ত্রী এডিস মশার কাছে অন্যদের তুলনায় ১০০ গুণ বেশি আকর্ষণীয়।
এবারে প্রশ্ন আসতে পারে, কেন কিছু মানুষের ত্বকে বেশি কার্বক্সিলিক অ্যাসিড তৈরি হয়? এর পেছনে আছে জিনগত কারণ। বিপাক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে জিন এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে। যাদের বিপাকের হার বেশি, তাঁদের দেহ থেকে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসৃত হয়, যা মশার কাছে একটি শক্তিশালী সংকেত। তাই এই ধরনের মানুষ মশার কামড়ের শিকার বেশি হন। আবার গর্ভবতী নারীরা সাধারণত স্বাভাবিকের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসৃত করেন এবং তাদের শরীরের তাপমাত্রাও বেশি থাকে, তাই মশা তাঁদের বেশি কামড়ায়।
শুধু কার্বন ডাই অক্সাইড নয়, মানুষের শরীরের নিজস্ব গন্ধও মশার আকর্ষণ বাড়ায়। প্রত্যেকের ত্বকে সেবাম নামের তৈলাক্ত পদার্থ থাকে, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং বিভিন্ন অ্যান্টিজেন থেকে রক্ষা করে। সেবাম থেকে তৈরি হয় কার্বক্সিলিক অ্যাসিড। তাই যাদের ত্বকে কার্বক্সিলিক অ্যাসিড বেশি, তাঁরা মশার কাছে আরও প্রিয়।
পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে মশা নেই বা তাদের বিচরণ খুবই সীমিত। সাধারণত শীতল বা অতিশীতল অঞ্চলে মশা টিকে থাকতে পারে না। মশার বংশবৃদ্ধি ও জীবনচক্রের জন্য প্রয়োজন উষ্ণতা, আর্দ্রতা এবং জমে থাকা পানি। তাই মশা কিছু অঞ্চলে জন্মাতে ও টিকতে পারে না।
আইসল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে মশা প্রাকৃতিকভাবেই টিকতে পারে না। এখানে উষ্ণ এবং বদ্ধ পানির উৎস খুবই সীমিত। ঠান্ডা জলবায়ু মশার জীবনের জন্য উপযুক্ত নয়। আর মশার জীবনচক্র সম্পন্ন হওয়ার জন্য তাপমাত্রা ও জলবায়ুর স্থিতিশীলতা জরুরি, যা এখানে নেই। তাই বলা যায়, পরিবেশের কারণে তারা দীর্ঘমেয়াদিভাবে এই সব অঞ্চলে থাকতে পারে না। গবেষণা থেকে জানা যায়, এ ক্ষেত্রে আইসল্যান্ডের মাটির গঠনেরও কিছু ভূমিকা আছে।
পৃথিবীর মশাবিহীন অঞ্চলগুলোর মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ অন্যতম। প্রচণ্ড ঠান্ডা, শুষ্ক আবহাওয়া এবং প্রচণ্ড বাতাসের কারণে মশা সেখানে টিকে থাকতে পারে না। এ ছাড়া বংশবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় বদ্ধ জলাশয় সেখানে নেই। তাই মশা জন্মাতে পারে না আর মানববসতি না থাকার কারণে সেখানে মশার উপস্থিতিও নেই।
বর্তমানে ঘোস্ট রাইটিং সাহিত্য জগতের অপরিহার্য অংশ। এই লেখকরা ব্যস্ত পেশাজীবী, সেলিব্রিটি ও রাজনীতিবিদদের তাঁদের অভিজ্ঞতা ও চিন্তাধারা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দেন। এতে তাঁদের নিজেদের সময় ও শ্রম ব্যয় করে বই লিখতে হয় না। কেউ কেউ একে প্রতারণা মনে করলেও ঘোস্ট রাইটিং এখন একটি স্বীকৃত পেশা...
১৪ ঘণ্টা আগেএই লেখাটি সেইসব নিরীহ সিনেমাপ্রেমীদের জন্য, যারা আড্ডায় 'প্যারাসাইট'কে কোরিয়ান থ্রিলার বলে নির্বাসিত হয়েছেন। আপনি যদি এই আধা-ধর্মীয় সিনেফাইল সমাজে টিকে থাকতে চান, তবে আপনাকে জানতে হবে কিছু 'পীর' পরিচালকের নাম, ও দেখে ফেলতে হবে তাঁদের ‘পড়া পানি’ অর্থাৎ এই সাতটি সিনেমা।
১ দিন আগেআজ বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস। আলোকচিত্রে চেনা কিছুকেও নতুন রূপে চেনা যায়। তরুণ ফটোগ্রাফার জীবন মালাকার গড়াই নদীকে ফ্রেমে ধরেছেন ভিন্ন দৃষ্টিতে। কুষ্টিয়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা এই নদী কীভাবে তাঁর ফ্রেমে উঠে এল, তা লেখা থেকে জানা যাবে। সঙ্গে থাকছে তাঁর তোলা গড়াই নদীর ১০টি ছবি।
১ দিন আগেমানুষের জীবন দীর্ঘ করার জন্য দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট অভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই অভ্যাসগুলো মানা বা জীবনধারা বদলানো অনেকের কাছে কঠিন মনে হতে পারে। সবাই ব্যস্ত, সময়ের অভাব, আবার কোথা থেকে শুরু করবেন বা কীভাবে করবেন—এসব প্রশ্ন মাথায় আসে।
৩ দিন আগে