চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আরও দুই সপ্তাহ তাঁকে রুটিন বিশ্রামে থাকতে হবে। তিন সপ্তাহ পরে জনসম্মুখে পূর্ণ সক্রিয় হতে পারবেন বলে জানিয়েছে দলটি।
জামায়াত কোনো ইসলামী দল তো নয়ই বরং দলটি ইসলামের জন্য ক্ষতিকর—সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। এরপর পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে ছাত্রশিবির ও বামপন্থী সংগঠনগুলো। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি ‘একাত্তর প্রশ্ন’ সমাধান না করে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করার বৈধতা নেই। অন্যদিকে শিবির বলছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ জনতাকে ‘পাকিস্তানি’, ‘রাজাকার’ ট্যাগ দিয়ে বিভক্ত করতে চাচ্ছে বামপন্থীরা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতার দায় স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছেন ৩২ বিশিষ্ট নাগরিক। পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দলটির রাজনৈতিক তৎপরতা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
তিনি বলেন, ‘ঘোষণাপত্র সংবিধানে স্থান দেওয়া দরকার ছিল। ৫ আগস্ট থেকে এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু এটা কখন থেকে বাস্তবায়ন হবে তার কোনো নির্দেশিকা নেই।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজনে মঙ্গলবার পৃথক সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে দলটি। সমাবেশ থেকে জুলাই সনদকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তের দাবি জানিয়েছে জামায়াত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক নিয়োগে সাবেক এক সংসদ সদস্যের সুপারিশ ঘিরে শুরু হয়েছে তোলপাড়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির লতিফুর রহমান এক চাকরিপ্রার্থীর পক্ষে সুপারিশ করেছেন ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রধান দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া জুলাই সনদে খসড়া নিয়ে আপত্তি তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গত শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ সমাবেশ আয়োজন করা হয় সাত দফা দাবিতে। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে বাধা পেয়ে আসা দলটি সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে সারা দেশের বিপুল নেতাকর্মীর ঢল নামায়।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। এর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। বিলম্বে নির্বাচন হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে—এই অজুহাতে কোনো ‘প্রিম্যাচিউরড ডেলিভারি’ চান না তাঁরা।
দেশের বিভিন্ন স্থানে যে নিষিদ্ধ দল আছে তাঁরা মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন- এ ব্যাপারে বৈঠকে অংশ নেওয়া চার রাজনৈতিক দল কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন বলে জানান আসিফ নজরুল।
মাইলস্টোন কলেজে সম্প্রতি বিমান বিধ্বস্ত হওয়া এবং মঙ্গলবারে সচিবালয়ে হামলার বিষয়গুলো বৈঠকে উঠে আসে। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে মতবিনিময় করেন নেতারা।
চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত ৯টায় বৈঠক শুরু হয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এই ফিরে আসাকে মনে করা হচ্ছে জামায়াতের নতুনভাবে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা এবং নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের ইঙ্গিত। সমাবেশটি ছিল জামায়াতের ‘পুনর্জন্ম’—যেখানে তারা একদিকে সাত দফার মাধ্যমে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রূপরেখা দেয়, অন্যদিকে দুর্নীতিবিরোধী রাজনীতির অঙ্গীকার করে নিজেদের ‘আদর্শিক ইসলামি গণদল’ হিসেবে গড়তে চায়।
জামায়াতের প্রচার বিভাগের দায়িত্বশীল আতাউর রহমান সরকার সাংবাদিকদের জানান, আমিরে জামায়াতের প্রেশার, সুগার লেভেল ঠিক আছে। তাঁকে একটা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।