নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির
স্ট্রিম প্রতিবেদক
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। এর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। বিলম্বে নির্বাচন হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে—এই অজুহাতে কোনো ‘প্রিম্যাচিউরড ডেলিভারি’ চান না তাঁরা।
আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেটের বিয়ানীবাজারে উপজেলা ও পৌরসভা জামায়াত আয়োজিত ‘জনশক্তি ও সুধীসমাবেশে’ এ কথা বলেছেনে তিনি। আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকার দাবি করেছেন ডা. শফিকুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির বলেন, ‘এই নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ। এই নির্বাচন হতে হবে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ওপর।…কালো টাকার খেলা মানব না। এগুলো নিশ্চিত করে আগামী বছরের প্রথম অংশেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন বিলম্বিত হলে কিছু জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে এই বুঝ আমাদের আছে। কিন্তু আমরা কোনো প্রিম্যাচিউরড ডেলিভারি (অপরিপক্ব সন্তান প্রসব) চাচ্ছি না।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা এরকম কোনো দুর্বল নির্বাচন এবং দুর্বল গণতন্ত্র চাই না। আমরা গণতন্ত্র এবং নির্বাচনকে তার মজবুত পিলারের ওপর দেখতে চাই। আমরা সংস্কারের কথা বলেছি, অবশ্যই সংস্কার করতে হবে।’
বহু জায়গায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি নেই উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, এতে করে জনগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ কারণে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থায় আনতে হলে একটা কার্যকর নির্বাচন লাগবে। সেই নির্বাচনটা আমরা আশা করছি, আগামী বছরের প্রথম দিকে ইনশা আল্লাহ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সেই নির্বাচনটা কেমন চাই? আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য, অতীতের বস্তাপচা ধারায় নতুন কোনো নির্বাচন চাই না। এমন কোনো নির্বাচন আমরা মেনেও নেব না।’
সিলেটের গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার এলাকাটি প্রবাসী-অধ্যুষিত। জামায়াত আমির সেখানে বলেন, ‘এই আন্দোলন, এই বিপ্লব আমরা একা করি নাই, আমাদের প্রবাসীরা সমান কৃতিত্বের দাবিদার। তাঁদের ভোটাধিকার কেন থাকবে না। তাঁদের ভোটাধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।’
জুলাই যোদ্ধাদের অনেকেই একেবারে খেটে খাওয়া পরিবারের সদস্য ছিলেন উল্লেখ করে জামায়াত আমির জানান, মাসের এক তারিখ তাঁরা শহীদ পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন, কখনো মাস শুরু হওয়ার আগেও দেন। যিনি শহীদ হয়েছেন, তিনি যে পরিমাণ রোজগার করতেন, জামায়াত তার থেকে কিছু বেশি টাকা ওই পরিবারকে দিয়ে থাকে।
জুলাই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব দাবি প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এই বিপ্লবের ক্রেডিট দাবি করার উদ্দেশ্য আগেও ছিল না, এখনো নেই। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, আল্লাহ তায়ালার একান্ত মেহেরবানিতে এই পরিবর্তন হয়েছে। এই জমিনের দায়িত্ব ও কৃতিত্ব হচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের। আমরা কাউকে মাস্টারমাইন্ড মানি না এবং নিজেদেরকেও মাস্টারমাইন্ড দাবি করি না। যদি একজনকে আমরা মাস্টারমাইন্ড বলি তাহলে বাকি সবাইকে আন্ডারমাইন্ড করতে হয়। আমরা তা করবো না।’
গত সাড়ে ১৫ বছরে এ দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ পাচার হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির অনেক রূপ আছে। শুধু ঘুষ আর চাঁদাই একমাত্র দুর্নীতি নয়। তিনি বলেন, দুর্নীতির আরেক রূপ বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি।
বিয়ানীবাজার জামায়াত আমিরের শ্বশুরবাড়ি। বক্তব্যের শুরুতে সালাম দিয়ে সে কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। সমাবেশে এই নির্বাচনী এলাকায় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনকে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। এর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। বিলম্বে নির্বাচন হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে—এই অজুহাতে কোনো ‘প্রিম্যাচিউরড ডেলিভারি’ চান না তাঁরা।
আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেটের বিয়ানীবাজারে উপজেলা ও পৌরসভা জামায়াত আয়োজিত ‘জনশক্তি ও সুধীসমাবেশে’ এ কথা বলেছেনে তিনি। আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকার দাবি করেছেন ডা. শফিকুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির বলেন, ‘এই নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ। এই নির্বাচন হতে হবে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ওপর।…কালো টাকার খেলা মানব না। এগুলো নিশ্চিত করে আগামী বছরের প্রথম অংশেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন বিলম্বিত হলে কিছু জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে এই বুঝ আমাদের আছে। কিন্তু আমরা কোনো প্রিম্যাচিউরড ডেলিভারি (অপরিপক্ব সন্তান প্রসব) চাচ্ছি না।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা এরকম কোনো দুর্বল নির্বাচন এবং দুর্বল গণতন্ত্র চাই না। আমরা গণতন্ত্র এবং নির্বাচনকে তার মজবুত পিলারের ওপর দেখতে চাই। আমরা সংস্কারের কথা বলেছি, অবশ্যই সংস্কার করতে হবে।’
বহু জায়গায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি নেই উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, এতে করে জনগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ কারণে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থায় আনতে হলে একটা কার্যকর নির্বাচন লাগবে। সেই নির্বাচনটা আমরা আশা করছি, আগামী বছরের প্রথম দিকে ইনশা আল্লাহ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সেই নির্বাচনটা কেমন চাই? আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য, অতীতের বস্তাপচা ধারায় নতুন কোনো নির্বাচন চাই না। এমন কোনো নির্বাচন আমরা মেনেও নেব না।’
সিলেটের গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার এলাকাটি প্রবাসী-অধ্যুষিত। জামায়াত আমির সেখানে বলেন, ‘এই আন্দোলন, এই বিপ্লব আমরা একা করি নাই, আমাদের প্রবাসীরা সমান কৃতিত্বের দাবিদার। তাঁদের ভোটাধিকার কেন থাকবে না। তাঁদের ভোটাধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।’
জুলাই যোদ্ধাদের অনেকেই একেবারে খেটে খাওয়া পরিবারের সদস্য ছিলেন উল্লেখ করে জামায়াত আমির জানান, মাসের এক তারিখ তাঁরা শহীদ পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন, কখনো মাস শুরু হওয়ার আগেও দেন। যিনি শহীদ হয়েছেন, তিনি যে পরিমাণ রোজগার করতেন, জামায়াত তার থেকে কিছু বেশি টাকা ওই পরিবারকে দিয়ে থাকে।
জুলাই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব দাবি প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এই বিপ্লবের ক্রেডিট দাবি করার উদ্দেশ্য আগেও ছিল না, এখনো নেই। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, আল্লাহ তায়ালার একান্ত মেহেরবানিতে এই পরিবর্তন হয়েছে। এই জমিনের দায়িত্ব ও কৃতিত্ব হচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের। আমরা কাউকে মাস্টারমাইন্ড মানি না এবং নিজেদেরকেও মাস্টারমাইন্ড দাবি করি না। যদি একজনকে আমরা মাস্টারমাইন্ড বলি তাহলে বাকি সবাইকে আন্ডারমাইন্ড করতে হয়। আমরা তা করবো না।’
গত সাড়ে ১৫ বছরে এ দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ পাচার হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির অনেক রূপ আছে। শুধু ঘুষ আর চাঁদাই একমাত্র দুর্নীতি নয়। তিনি বলেন, দুর্নীতির আরেক রূপ বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি।
বিয়ানীবাজার জামায়াত আমিরের শ্বশুরবাড়ি। বক্তব্যের শুরুতে সালাম দিয়ে সে কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। সমাবেশে এই নির্বাচনী এলাকায় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনকে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
আয়ের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। সেই হিসাব পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জামায়াতের এই আয় বিএনপির তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। ব্যয়ের দিক থেকে বেশি পাঁচগুণ।
৪ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বীকৃতি চায় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। এ বিষয়ে দলটির তরফ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে‘এই ইশতেহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের যুবশক্তি এগিয়ে যাবে, যুবকরা এগিয়ে যাবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব যুবককে একত্রিত করবে। দেশে নতুন যুব নেতৃত্ব তৈরি করবে’, কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুর থেকে আসা মামুন হাসান। তাঁর মতো আরও অনেকেই এসেছেন জাতীয় যুবশক্তির সম্মেলনে।
২ দিন আগেবিবৃতিতে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি সব রাজনৈতিক দলকে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন এবং একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ইস্যুতে সকল রাজনৈতিকদল ও জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
২ দিন আগে