স্ট্রিম প্রতিবেদক
পিলখানায় ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের সময় হওয়া হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোর বিরুদ্ধে আলামত নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। একই সঙ্গে কমিশন বলছে, আলামত নষ্ট করে জঙ্গী হামলার দিকে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল তৎকালীন তদন্ত কমিটি।
আজ বুধবার (২৫শে জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসে (বিআরআইসিএম) ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে পিলখানার বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহবিষয়ক স্বাধীন তদন্ত কমিশনের তৃতীয় সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এ সব মন্তব্য করেন কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব) আ ল ম ফজলুর রহমান।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি জানান, ২০০৯ সালের ১১ মে সেনাবাহিনী পরিচালিত কোর্ট অব ইনকোয়েরি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত জাতীয় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন এবং তৎকালীন বিডিআরের বিভিন্ন ইউনিট কর্তৃক পরিচালিত কোর্ট অব ইনকোয়েরির ৫৭টি তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এখানে আলামত নষ্টকরণ এবং তদন্তকে ভুল পথে পরিচালনা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ভুল পথে পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মেজর জেনারেল (অব) ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদনগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করেছি। আমরা দেখেছি এই তদন্তের মোড় ঘোরাতে জঙ্গীবাদকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।’
মেজর জেনারেল (অব) ফজলুর রহমান বলেন, সে সময়ে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়কেও উপেক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা বিদেশি ষড়যন্ত্রের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। এ ছাড়াও তারা বলেছিল, কোলেটারেল ড্যামেজ (আশপাশের ক্ষয়ক্ষতি) এড়াতে সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সেদিন পদক্ষেপ নিতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে বিদ্রোহীরা নির্বিঘ্নে হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য অপরাধ ঘটাতে পেরেছে।
বিদেশি ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে কমিশন জানায়, কমিশন বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে। তাই এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। একটা নতুন সরকার ক্ষমতায় এলো আর এমন গোছানো একটা হত্যাকাণ্ড ঘটলো, এটা হঠাৎই হতে পারে না। আবার একটি রাজনৈতিক দলের এতো নেতার সংশ্লিষ্টতাও সন্দেহের উদ্রেক জাগায়। এখানে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ছায়া আছে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল দেশের বাইরে।
কমিশন আরও জানায়, যখন দেশি মিডিয়া বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারেনি, তখন কিন্তু ভারতীয় একটি মিডিয়া সেই খবর আগেই দিয়েছিল। বিদেশি প্রশিক্ষিত কিলার গ্রুপের বিষয়টিও আছে, যদিও অস্পষ্ট। তাই সব কিছুই বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
বিদেশি প্রশিক্ষিত কিলার গ্রুপের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেজর জেনারেল (অব) ফজলুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত চলমান। বলার মতো অবস্থা এখনো আসেনি।’
সাক্ষ্যগ্রহণ, বিভিন্ন দলিলাদি সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ শেষে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন বলছে, বিডিআর বিদ্রোহে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নানা মাত্রায় সংশ্লিষ্টতার যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং বর্তমানে তথ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকান্ডটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল হিসেবে কমিশনের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশন প্রধান ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তনাধীন আছে। এখনো ৫০ জনের ওপরে ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া বাকি আছে। পূর্নাঙ্গ তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
তবে এখন পর্যন্ত যত নেতাদের নাম বলা হয়েছে সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ বলেও জানান তিনি।
সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভুমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই পিলখানার ভেতর থেকে আটকে পড়া অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বারবার অনুরোধ ও আকুতি সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের নামে অযথা কালক্ষেপণ করায় এবং সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে বিদ্রোহীরা নির্বিঘ্নে হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য অপরাধ ঘটাতে পেরেছে।
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন বলছে, এ পর্যন্ত নেওয়া সাক্ষ্য, প্রাপ্ত প্রতিবেদন এবং বিদ্রোহের সময়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে দেওয়া নানা বক্তব্য বিশ্লেষণ করে তারা একটি খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এখন এর রিভিউ চলছে এবং সম্পূর্ণ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
কমিশন প্রধান মেজর জেনারেল (অব) ফজলুর রহমান বলেন, ‘কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান রয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পুনঃসাক্ষ্যগ্রহণ প্রয়োজন হবে যার সংখ্যা ৫০-এর ওপরে। তাই আমাদের তদন্তের সময় বাড়ানো দরকার। এই সময় আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে কমিশনের একটি টিম তৎকালীন সব পত্র-পত্রিকা বিশ্লেষণ করেছে এবং সেখান থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত কমিশনের ইনভেস্টিগেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকেই সে সময়ে অপারেশন ডাল-ভাত এর আড়ালে বিদ্রোহীদের অপকর্ম করার সুযোগ করে দেয়। এমন কয়েকজন সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
কমিশনের সদস্য এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ খান চন্দন জানান, এমন সাত সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে সাক্ষ্য দিতে ডাকলেও তাতে জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং গোলাম আযম বাদে সাড়া দেননি আর কেউই। গত ১৯ জুন তৃতীয়বারের মতো তাদেরকে সাক্ষ্য প্রদানের আহ্বান জানিয়ে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কমিশন।
মেজর জেনারেল (অব.) ফজলুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, নানক ও গোলাম আযম ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন। বাকিরা কেউ আর যোগাযোগ করেনি।
আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সাড়া পেলে খুব শিগগিরই এ সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বক্তব্য নেওয়া হবে। তারা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-৮ আসনের সাবেক এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম, নেত্রকোনা ৫-এর সাবেক সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, চট্টগ্রাম ৮-এর সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম বিএসসি, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার সুরাইয়া বেগম, লিটন ওরফে লেদার লিটন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং সভাপতি জাতীয় তদন্ত কমিটি–বিডিআর হত্যাযজ্ঞ, আনিসুজ্জামান খান, এনএসআই এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টিএম জোবায়ের এবং সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আব্দুল আজিজ।
পিলখানায় ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের সময় হওয়া হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোর বিরুদ্ধে আলামত নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। একই সঙ্গে কমিশন বলছে, আলামত নষ্ট করে জঙ্গী হামলার দিকে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল তৎকালীন তদন্ত কমিটি।
আজ বুধবার (২৫শে জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসে (বিআরআইসিএম) ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে পিলখানার বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহবিষয়ক স্বাধীন তদন্ত কমিশনের তৃতীয় সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এ সব মন্তব্য করেন কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব) আ ল ম ফজলুর রহমান।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি জানান, ২০০৯ সালের ১১ মে সেনাবাহিনী পরিচালিত কোর্ট অব ইনকোয়েরি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত জাতীয় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন এবং তৎকালীন বিডিআরের বিভিন্ন ইউনিট কর্তৃক পরিচালিত কোর্ট অব ইনকোয়েরির ৫৭টি তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এখানে আলামত নষ্টকরণ এবং তদন্তকে ভুল পথে পরিচালনা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ভুল পথে পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মেজর জেনারেল (অব) ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদনগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করেছি। আমরা দেখেছি এই তদন্তের মোড় ঘোরাতে জঙ্গীবাদকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।’
মেজর জেনারেল (অব) ফজলুর রহমান বলেন, সে সময়ে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়কেও উপেক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা বিদেশি ষড়যন্ত্রের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। এ ছাড়াও তারা বলেছিল, কোলেটারেল ড্যামেজ (আশপাশের ক্ষয়ক্ষতি) এড়াতে সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সেদিন পদক্ষেপ নিতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে বিদ্রোহীরা নির্বিঘ্নে হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য অপরাধ ঘটাতে পেরেছে।
বিদেশি ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে কমিশন জানায়, কমিশন বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে। তাই এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। একটা নতুন সরকার ক্ষমতায় এলো আর এমন গোছানো একটা হত্যাকাণ্ড ঘটলো, এটা হঠাৎই হতে পারে না। আবার একটি রাজনৈতিক দলের এতো নেতার সংশ্লিষ্টতাও সন্দেহের উদ্রেক জাগায়। এখানে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ছায়া আছে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল দেশের বাইরে।
কমিশন আরও জানায়, যখন দেশি মিডিয়া বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারেনি, তখন কিন্তু ভারতীয় একটি মিডিয়া সেই খবর আগেই দিয়েছিল। বিদেশি প্রশিক্ষিত কিলার গ্রুপের বিষয়টিও আছে, যদিও অস্পষ্ট। তাই সব কিছুই বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
বিদেশি প্রশিক্ষিত কিলার গ্রুপের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেজর জেনারেল (অব) ফজলুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত চলমান। বলার মতো অবস্থা এখনো আসেনি।’
সাক্ষ্যগ্রহণ, বিভিন্ন দলিলাদি সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ শেষে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন বলছে, বিডিআর বিদ্রোহে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নানা মাত্রায় সংশ্লিষ্টতার যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং বর্তমানে তথ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকান্ডটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল হিসেবে কমিশনের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশন প্রধান ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তনাধীন আছে। এখনো ৫০ জনের ওপরে ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া বাকি আছে। পূর্নাঙ্গ তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
তবে এখন পর্যন্ত যত নেতাদের নাম বলা হয়েছে সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ বলেও জানান তিনি।
সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভুমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই পিলখানার ভেতর থেকে আটকে পড়া অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বারবার অনুরোধ ও আকুতি সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের নামে অযথা কালক্ষেপণ করায় এবং সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে বিদ্রোহীরা নির্বিঘ্নে হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য অপরাধ ঘটাতে পেরেছে।
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন বলছে, এ পর্যন্ত নেওয়া সাক্ষ্য, প্রাপ্ত প্রতিবেদন এবং বিদ্রোহের সময়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে দেওয়া নানা বক্তব্য বিশ্লেষণ করে তারা একটি খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এখন এর রিভিউ চলছে এবং সম্পূর্ণ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
কমিশন প্রধান মেজর জেনারেল (অব) ফজলুর রহমান বলেন, ‘কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান রয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পুনঃসাক্ষ্যগ্রহণ প্রয়োজন হবে যার সংখ্যা ৫০-এর ওপরে। তাই আমাদের তদন্তের সময় বাড়ানো দরকার। এই সময় আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে কমিশনের একটি টিম তৎকালীন সব পত্র-পত্রিকা বিশ্লেষণ করেছে এবং সেখান থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত কমিশনের ইনভেস্টিগেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকেই সে সময়ে অপারেশন ডাল-ভাত এর আড়ালে বিদ্রোহীদের অপকর্ম করার সুযোগ করে দেয়। এমন কয়েকজন সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
কমিশনের সদস্য এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ খান চন্দন জানান, এমন সাত সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে সাক্ষ্য দিতে ডাকলেও তাতে জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং গোলাম আযম বাদে সাড়া দেননি আর কেউই। গত ১৯ জুন তৃতীয়বারের মতো তাদেরকে সাক্ষ্য প্রদানের আহ্বান জানিয়ে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কমিশন।
মেজর জেনারেল (অব.) ফজলুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, নানক ও গোলাম আযম ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন। বাকিরা কেউ আর যোগাযোগ করেনি।
আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সাড়া পেলে খুব শিগগিরই এ সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বক্তব্য নেওয়া হবে। তারা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-৮ আসনের সাবেক এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম, নেত্রকোনা ৫-এর সাবেক সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, চট্টগ্রাম ৮-এর সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম বিএসসি, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার সুরাইয়া বেগম, লিটন ওরফে লেদার লিটন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং সভাপতি জাতীয় তদন্ত কমিটি–বিডিআর হত্যাযজ্ঞ, আনিসুজ্জামান খান, এনএসআই এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টিএম জোবায়ের এবং সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আব্দুল আজিজ।
আন্দোলনের মুখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিলের ঘোষণা এলেও সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার নামে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেছাত্রলীগের মতো ছাত্রশিবিরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক সংগঠনগুলো দখল করে নিচ্ছে। নানা সমালোচনার পরও থাকবে ছাত্রদলের হল কমিটি। উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সাংবাদিকদের এসব জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেশুক্রবারের মধ্যে আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে তাঁরা লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শেবাচিম কর্মচারীদের সংগঠন।
৩ ঘণ্টা আগেবুধবার রাতেই সাড়ে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সাদাপাথরবাহী আরও ১৩০টিরও বেশি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই পাথরগুলোও আগের জায়গায় বিছিয়ে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে