বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলন
হাসপাতাল কর্মচারীদের হামলার বিচার চেয়ে রবিবার (১৭ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে এর উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় উভয় পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে বরিশালে চলমান আন্দোলন ঘিরে আবারও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। হাসপাতাল কর্মচারীদের হামলার বিচার চেয়ে রবিবার (১৭ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে এর উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় উভয় পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের সামনে এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসনের (ডিসি) কার্যালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যান। সেখানেও অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন তাঁরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) শেবাচিম হাসপাতালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধর করে তাড়িয়ে দেন নার্স-কর্মচারীরা। তবে কর্মচারীদের মানববন্ধনে হামলার অভিযোগে ওইদিন রাতেই আন্দোলনের সংগঠকদের একজন মহিউদ্দির রনি, কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফিসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন হাসপাতালের এক ওয়ার্ড মাস্টার। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে বরিশালে ২১ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন একদল শিক্ষার্থী। রবিবার দুপুর ১১টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি শেবাচিম হাসপাতালের সামনে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার দাবিতে স্লোগান দেন তাঁরা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালে ঢুকতে চাইলে প্রধান গেট আটকে দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশৃঙ্খলা এড়াতে আগে থেকেই হাসপাতালের মূল ফটক বন্ধ করা ছিল। এর সামনে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের হাসপাতাল কম্পাউন্ডে প্রবেশ ঠেকান। তবে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে হাসপাতালের কর্মচারীদেরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাঁদের লাঠিসোটা নিয়ে মূল ভবনের মাঝের ফটকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। পরে উভয় পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়েন। এতে হাসপাতালের রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে।
হাসপাতাল কর্মচারীরা দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটপাটকেলে তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাহাদুর ও দীপক নামে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একজন ফয়সাল রাব্বি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা হামলা করার জন্যই আজ সংঘবদ্ধভাবে এসেছেন। আমরা হাসপাতালের কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। গত তিনদিন ধরেই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই কাজ করছি। বিষয়টি আমরা হাসপাতালের পরিচালক স্যারকে জানিয়েছি। আগামীকাল সোমবার সকালে মিটিং রয়েছে, এখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আন্দোলনকর্মী মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে হাসপাতালের কর্মচারীরা জয়-বাংলা শ্লোগান দিয়ে হামলা করেছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আহত করেছেন। আমরা এই হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারেব যত মেনে নেওয়া না হবে এবং হামলাকারীরা যতদিনে আইনের আওতায় না আসবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।’
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার যে অভিযোগ উঠেছে, তা আমরা তদন্ত করছি। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আজ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে এসেছিলেন। এতে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হলেও বন্ধ হওয়ার সুযোগ সেই। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কাল (রবিবার) সকাল ১০টায় সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার ইমদাদুল হোসেন বলেন, ‘অস্থান কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।’
স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে বরিশালে চলমান আন্দোলন ঘিরে আবারও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। হাসপাতাল কর্মচারীদের হামলার বিচার চেয়ে রবিবার (১৭ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে এর উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় উভয় পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের সামনে এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসনের (ডিসি) কার্যালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যান। সেখানেও অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন তাঁরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) শেবাচিম হাসপাতালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধর করে তাড়িয়ে দেন নার্স-কর্মচারীরা। তবে কর্মচারীদের মানববন্ধনে হামলার অভিযোগে ওইদিন রাতেই আন্দোলনের সংগঠকদের একজন মহিউদ্দির রনি, কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফিসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন হাসপাতালের এক ওয়ার্ড মাস্টার। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে বরিশালে ২১ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন একদল শিক্ষার্থী। রবিবার দুপুর ১১টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি শেবাচিম হাসপাতালের সামনে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার দাবিতে স্লোগান দেন তাঁরা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালে ঢুকতে চাইলে প্রধান গেট আটকে দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশৃঙ্খলা এড়াতে আগে থেকেই হাসপাতালের মূল ফটক বন্ধ করা ছিল। এর সামনে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের হাসপাতাল কম্পাউন্ডে প্রবেশ ঠেকান। তবে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে হাসপাতালের কর্মচারীদেরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাঁদের লাঠিসোটা নিয়ে মূল ভবনের মাঝের ফটকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। পরে উভয় পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়েন। এতে হাসপাতালের রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে।
হাসপাতাল কর্মচারীরা দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটপাটকেলে তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাহাদুর ও দীপক নামে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একজন ফয়সাল রাব্বি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা হামলা করার জন্যই আজ সংঘবদ্ধভাবে এসেছেন। আমরা হাসপাতালের কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। গত তিনদিন ধরেই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই কাজ করছি। বিষয়টি আমরা হাসপাতালের পরিচালক স্যারকে জানিয়েছি। আগামীকাল সোমবার সকালে মিটিং রয়েছে, এখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আন্দোলনকর্মী মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে হাসপাতালের কর্মচারীরা জয়-বাংলা শ্লোগান দিয়ে হামলা করেছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আহত করেছেন। আমরা এই হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারেব যত মেনে নেওয়া না হবে এবং হামলাকারীরা যতদিনে আইনের আওতায় না আসবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।’
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার যে অভিযোগ উঠেছে, তা আমরা তদন্ত করছি। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আজ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে এসেছিলেন। এতে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হলেও বন্ধ হওয়ার সুযোগ সেই। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কাল (রবিবার) সকাল ১০টায় সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার ইমদাদুল হোসেন বলেন, ‘অস্থান কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।’
চিকিৎসকদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএইচসিডিওএ)। একই সঙ্গে সংগঠনটি ওই বক্তব্য পুনর্বিবেচনা ও ব্যাখ্যা করার আহ্বান জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার সরাসরি প্রতিফলনই জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি। ‘জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আমাদের করণীয়’ শিরোনামের এক সেমিনারে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ কথা বলেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআগুন লাগার কারণ কিংবা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা। তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর এ বিষয়ে জানানো হবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের পরিবারকে মোট ৭ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এর মধ্যে সরকারের কাছে ৫ কোটি ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা। অন্যদিকে আহত শিক্ষার্থীদের পরিবার প্রত্যেকে মোট ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে