leadT1ad

দেশের ওষুধ শিল্প নিয়ে উদ্বেগ জানালেন মির্জা ফখরুল

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ৫০
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ইউএনবি

বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সরকারের অস্বচ্ছ ও একপেশে নীতিসহ কিছু বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তা এ খাতে ঝুঁকি তৈরি করেছে।

বুধবার বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় শতভাগ পূরণ এবং ধারাবাহিকভাবে রপ্তানি সম্ভাবনা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ খাত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশে তৈরি মানসম্পন্ন ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয়। আবার এই শিল্প খাত এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডেন্ট) উৎপাদনেও বিশেষ সক্ষমতা অর্জনের পথে এগিয়ে গেছে।

বিএনপির শাসনামলে ওষুধ খাতের উন্নয়নে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানান তিনি। ১৯৯৪ সালে ওষুধের প্রাইসিং পলিসি প্রণয়ন, ২০০২ সালের জাতীয় ওষুধ নীতি হালনাগাদ ও ২০০৩ সালে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করার বিষয়টি তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

তবে সম্প্রতি ওষুধ শিল্পে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকার গঠিত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি), অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি, ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটির (ডিসিসি) টেকনিক্যাল সাব-কমিটিতে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কোনো প্রতিনিধি না রাখা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিএনপি বিশ্বাস করে, ওষুধ শিল্পের নীতি প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নে স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পেশাজীবীদের মতামত প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি ও শিল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌথভাবে সমাধান খুঁজে বের করাটা দেশের স্বার্থে শ্রেষ্ঠ পদক্ষেপ হবে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আমরা শিল্প উদ্যোক্তাদের বাদ রেখে কোন কমিটি গঠন, প্রণয়ন, পরিবর্তন সমর্থন করি না। সামনে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই খাতের সুরক্ষায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘নতুন ওষুধের নিবন্ধন না দেওয়ার কারণে বাংলাদেশ ট্রিপস ওয়েভার হারাতে বসেছে। কারণ ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। এখন নতুন ওষুধের নিবন্ধন দ্রুততম সময়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করি।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত