লরেন্সন মনে করেন, অ্যালবানিজের এই সফর ওয়াশিংটনের কাছে স্বস্তিকর হবে না। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন এক পথে হাঁটছে যা অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের সঙ্গে একেবারেই সাংঘর্ষিক। ফলে কোনো নেতা যদি হোয়াইট হাউজের প্রতি অতিরিক্ত নমনীয়তা দেখান, তাহলে তিনি নিজ দেশে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়বেন।
বিবিসি
বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে আগামী সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। সফরের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্য।
সফরটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে বাণিজ্য শুল্কসহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
সফরের বিষয়ে এক বিবৃতিতে অ্যালবানিজ বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সরকার যতটা সম্ভব মতপার্থক্য ঘোচানোর চেষ্টা করবে। আবার প্রয়োজনে কিছু জায়গায় মতপার্থক্য হবে এবং আমাদের জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য পাবে।
অ্যালবানিজ আরও বলেন, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে রয়েছে চীন, যা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে। চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক মানেই অস্ট্রেলিয়ার কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাওয়া।
অ্যালবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি মে মাসে আগের চেয়ে বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়। এর আগে তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের উৎপাদন খাত উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে , এই সফর অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্কে এক ধরনের স্থিতিশীলতা নিয়ে আসতে পারে। যদিও বেইজিং এখনও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজের সামরিক প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা অস্ট্রেলিয়ার জন্য কিছুটা মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস চীনের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলেছিলেন—এত সামরিক প্রস্তুতির কী প্রয়োজন? এমনকি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাসমান সাগরে চীনের একটি বিরল সামরিক মহড়াকে তিনি অপ্রোয়জনীয় বলেও অভিহিত করেন।
অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্ক ইনস্টিটিউটের পরিচালক জেমস লরেন্সন বলেন, উভয় দেশই স্বীকার করছে যে তাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু এসব মতপার্থক্য দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবেনা বলে তারা একমত হয়েছে।
তবে লরেন্সন মনে করেন, অ্যালবানিজের এই সফর ওয়াশিংটনের কাছে স্বস্তিকর হবে না। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন এক পথে হাঁটছে যা অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের সঙ্গে একেবারেই সাংঘর্ষিক। ফলে কোনো নেতা যদি হোয়াইট হাউজের প্রতি অতিরিক্ত নমনীয়তা দেখান, তাহলে তিনি নিজ দেশে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়বেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, বেইজিং আগামীতেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন চুক্তি ‘অকাস’ নিয়ে সমালোচনা চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে, ক্যানবেরা এই চুক্তির প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি এ চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা শুরু করেছে।
তবে ‘অকাস’ নিয়ে চলমান মতভেদ এই সম্পর্ককে বড় ধরনের ক্ষতি করবে না বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। এমনকি দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কর্মকাণ্ড কিংবা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বন্দী অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিক ইয়াং হেংজুনের বিষয়টিও বড় কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে জানান তাঁরা।
চীন সফরে থাকাকালে অ্যালবানিজ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ঝাও লেজির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। চীনা রাষ্ট্রমালিকানাধীন সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস তাঁদের সম্পাদকীয়তে অ্যালবানিজের এই সফরকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছে। সেখানে আরও বলা হয়, এই অনিশ্চিত বিশ্বব্যবস্থায় অস্ট্রেলিয়া আরও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে চীনকে বেছে নিয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে অ্যান্থনি অ্যালবানিজ প্রথম চীন সফর করেন। সেবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রী চীনের মাটিতে পা রেখেছিলেন। যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা অস্তিতিশীল সম্পর্ক লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে আগামী সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। সফরের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্য।
সফরটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে বাণিজ্য শুল্কসহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
সফরের বিষয়ে এক বিবৃতিতে অ্যালবানিজ বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সরকার যতটা সম্ভব মতপার্থক্য ঘোচানোর চেষ্টা করবে। আবার প্রয়োজনে কিছু জায়গায় মতপার্থক্য হবে এবং আমাদের জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য পাবে।
অ্যালবানিজ আরও বলেন, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে রয়েছে চীন, যা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে। চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক মানেই অস্ট্রেলিয়ার কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাওয়া।
অ্যালবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি মে মাসে আগের চেয়ে বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়। এর আগে তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের উৎপাদন খাত উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে , এই সফর অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্কে এক ধরনের স্থিতিশীলতা নিয়ে আসতে পারে। যদিও বেইজিং এখনও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজের সামরিক প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা অস্ট্রেলিয়ার জন্য কিছুটা মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস চীনের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলেছিলেন—এত সামরিক প্রস্তুতির কী প্রয়োজন? এমনকি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাসমান সাগরে চীনের একটি বিরল সামরিক মহড়াকে তিনি অপ্রোয়জনীয় বলেও অভিহিত করেন।
অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্ক ইনস্টিটিউটের পরিচালক জেমস লরেন্সন বলেন, উভয় দেশই স্বীকার করছে যে তাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু এসব মতপার্থক্য দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবেনা বলে তারা একমত হয়েছে।
তবে লরেন্সন মনে করেন, অ্যালবানিজের এই সফর ওয়াশিংটনের কাছে স্বস্তিকর হবে না। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন এক পথে হাঁটছে যা অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের সঙ্গে একেবারেই সাংঘর্ষিক। ফলে কোনো নেতা যদি হোয়াইট হাউজের প্রতি অতিরিক্ত নমনীয়তা দেখান, তাহলে তিনি নিজ দেশে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়বেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, বেইজিং আগামীতেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন চুক্তি ‘অকাস’ নিয়ে সমালোচনা চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে, ক্যানবেরা এই চুক্তির প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি এ চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা শুরু করেছে।
তবে ‘অকাস’ নিয়ে চলমান মতভেদ এই সম্পর্ককে বড় ধরনের ক্ষতি করবে না বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। এমনকি দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কর্মকাণ্ড কিংবা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বন্দী অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিক ইয়াং হেংজুনের বিষয়টিও বড় কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে জানান তাঁরা।
চীন সফরে থাকাকালে অ্যালবানিজ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ঝাও লেজির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। চীনা রাষ্ট্রমালিকানাধীন সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস তাঁদের সম্পাদকীয়তে অ্যালবানিজের এই সফরকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছে। সেখানে আরও বলা হয়, এই অনিশ্চিত বিশ্বব্যবস্থায় অস্ট্রেলিয়া আরও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে চীনকে বেছে নিয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে অ্যান্থনি অ্যালবানিজ প্রথম চীন সফর করেন। সেবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রী চীনের মাটিতে পা রেখেছিলেন। যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা অস্তিতিশীল সম্পর্ক লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
প্রতিবছর চাসোটি থেকে কিসওয়ারের মাতা চণ্ডী হিমালয় তীর্থস্থানে বার্ষিক যাত্রা শুরু হয়। আকস্মিক বন্যার কারণে বার্ষিক এ যাত্রা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেব্রিটেনের সাবেক সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতির মামলা একটি ‘প্রহসন’ এবং এটি ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ থেকে করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রশাসন ‘ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক অভিযোগ’ ছড়াচ্ছে এবং মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই বৈঠকে পুতিন যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হন তবে তাকে ‘কঠোর পরিণতি’ হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেদনের নির্বাহী সার সংক্ষেপে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহের ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন এবং আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালান। ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
১ দিন আগে