leadT1ad

জম্মু ও কাশ্মীরে আকস্মিক বন্যায় ১২ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

প্রতিবছর চাসোটি থেকে কিসওয়ারের মাতা চণ্ডী হিমালয় তীর্থস্থানে বার্ষিক যাত্রা শুরু হয়। আকস্মিক বন্যার কারণে বার্ষিক এ যাত্রা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮: ২৭
কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলার চাসোটি শহরে

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে ‘মেঘভাঙা বৃষ্টিতে’ সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে আটকা পড়েছেন আরও অনেকে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তীর্থযাত্রার পথে অবস্থিত কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলার চাসোটি শহরে এ আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর চাসোটি থেকে কিসওয়ারের মাতা চণ্ডী হিমালয় তীর্থস্থানে বার্ষিক যাত্রা শুরু হয়। আকস্মিক বন্যার কারণে বার্ষিক এ যাত্রা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

ভারতীয় স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত দৃশ্যে দেখা গেছে, গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় তীর্থযাত্রীরা আতঙ্কে কাঁদছেন। বন্যার পানি তীর্থযাত্রীদের জন্য বানানো কমিউনিটি রান্নাঘরগুলো ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, খবরটি উদ্বেগজনক হলেও সত্য। তবে ‘মেঘভাঙা বৃষ্টি’তে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে সঠিক তথ্য আসতে দেরি হচ্ছে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই পুলিশ , সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের সাংসদ জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, তিনি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জানিয়েছেন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থাগুলোকে উদ্ধার অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে, উত্তরাখণ্ডে এক ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে পুরো একটি গ্রাম ধসে গিয়েছিল।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘মেঘভাঙা বৃষ্টি’ হলো ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি হঠাৎ ও তীব্র বৃষ্টিপাত। এটি আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস ও ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনতে পারে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত