leadT1ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৯ হাজার শিশু নিহত

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০: ৩৮
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা শহরের একটি এলাকার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ১৮৮৮৫ জনই শিশু। আর গত পাঁচ মাসে ইসরায়েলি হামলায় প্রতি মাসে ৫৪০ জনের বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

ইউনাইডেট ন্যাশনস এজেন্সি ফর প্যালেস্তিনিয়ান রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ) মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেছে, জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন ত্রাণ সহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহে ইসরায়েলে বাধা দিচ্ছে। এতে করে ছিটমহলে ব্যাপক খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে ছিটমহলের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে শিশুরা নিরাপদ। খবর আলজাজিরার।

ইউএনআরডব্লিউএ আরও বলেছে, ইসরায়েলের টানা বোমাবর্ষণে গাজার বাড়িঘর গুঁড়িয়ে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলো হাজার হাজোর ফিলিস্তিনির আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

সংস্থাটি জানায়, ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের পতাকাতলে সুরক্ষা চেয়েছিল। কিন্তু সেটিও ইসরায়েলি হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। সেটিও অনেক শিশুসহ ফিলিস্তিনিদের হত্যার জায়গা হয়ে উঠেছে। গাজায় শিশুদের জন্য নিরাপদ কোনো স্থান নেই। এখনই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

জাতিসংঘের শিশু ফান্ড, ইউনিসেফ ও ইউএনআরডব্লিউএ উল্লেখ করেছে, পাঁচ মাস আগে ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে গাজায় হামলা চালানো শুরু করে। আর এই হামলা শুরুর পর শেষ পাঁচ মাসে ইসরায়েলি হামলায় প্রতি মাসে ৫৪০ জনের বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলার সকাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে আটজন ত্রাণপ্রত্যাশী ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সামনে নির্বিচারে চালানো গুলিতে তারা প্রাণ হারান। প্রায় প্রতিদিনই জিএইচএফের সামনে এমন ঘটনা ঘটছে। ত্রাণ আনতে গেলে গুলি করা হচ্ছে। গত মে মাসের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ফিলিস্থিনিকে এভাবে হত্যা করা হয়।

অন্যদিকে, গাজার হাসপাতালগুলো বলেছে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় নেওয়া খান ইউনুসের তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া মধ্য গাজার দের-এল-বালাহ তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন আরও চার ফিলিস্তিনি।

সামরিক অভিযান বন্ধে ইসরায়েলকে বিশ্বের সতর্কতা সত্ত্বেও, ইসরায়েলি সেনারা গাজা শহরে হামলা আরও তীব্র করেছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা শহরের পাশের জেইতুনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালানো প্রধান মধস্থতাকারী কাতার নিশ্চিত করেছে, গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাস ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে। হামাস চাচ্ছে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে কিছু জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের ছাড়া হোক।

এই ব্যাপারে মঙ্গলবার ইসরায়েলের দুইজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রস্তাবে হামাসের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করছে ইসরায়েল। তবে এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি তাঁরা। তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলোতে বলা হয়েছে, অতি ডানপন্থি ইসরায়েলি সরকার চাচ্ছে গাজায় জিম্মি থাকা ইসরায়েলি মৃত বা জীবিত সবাইকে ফেরত দেওয়া হোক।

Ad 300x250

সম্পর্কিত