স্ট্রিম প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশকে গণতান্ত্রিক পথে ফিরতে না দেওয়ার জন্য নানা স্থানে ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে, কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ব্যাহত ও ভণ্ডুল করে দিতে নানামুখী তৎপরতা চলছে।’
আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ১৫ বছর পর জেলা বিএনপির এ সম্মেলন নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা এলাকার নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত হয়।
গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতনের পর দেশের রাজনীতিতে এখন দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতনের মাধ্যমে একটি অধ্যায় শেষ হলেও, নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। যার মূল লক্ষ্য জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ হল নির্বাচন।’
তিনি জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে—আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে, রোজার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এ নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তারেক রহমান দুটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমত, বর্তমানে বিএনপির জন্য অনুকূল সময় চলছে, এই সময়ে অনেক সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করবে। এসব “সুসময়ের ঘুঘু” সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং সম্মিলিতভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।’
ভবিষ্যতে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলেও বিএনপিকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারে, তবে ক্ষমতায় গেলেও বেকারত্ব, কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ একাধিক খাতের ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে উঠতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপি ইতিমধ্যে পরিকল্পনা করছে।’
তারেক রহমানের অভিযোগ, বিএনপির এই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ঠেকাতে বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘দেশের মানুষ এখন বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে এবং বিশ্বাস করে একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলই ধীরে ধীরে দেশকে পুনর্গঠনের সক্ষমতা রাখে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ বিএনপির কর্মীদের কাছ থেকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চায়। তাই নেতা-কর্মীদের এমনভাবে চলতে হবে, যাতে জনগণের আস্থা অর্জিত হয়। এই আস্থা নিয়েই আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের কাজে হাত দিতে হবে।’
সম্মেলনে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবদুল লতিফ খান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) সৈয়দ শাহীন শওকত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান খান, ওবায়দুর রহমানসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলন শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হওয়া দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। ১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌর কমিটির মোট ১,১৪১৪ জন কাউন্সিলরের ভোটে শীর্ষ তিন পদের জন্য ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশকে গণতান্ত্রিক পথে ফিরতে না দেওয়ার জন্য নানা স্থানে ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে, কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ব্যাহত ও ভণ্ডুল করে দিতে নানামুখী তৎপরতা চলছে।’
আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ১৫ বছর পর জেলা বিএনপির এ সম্মেলন নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা এলাকার নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত হয়।
গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতনের পর দেশের রাজনীতিতে এখন দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতনের মাধ্যমে একটি অধ্যায় শেষ হলেও, নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। যার মূল লক্ষ্য জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ হল নির্বাচন।’
তিনি জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে—আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে, রোজার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এ নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তারেক রহমান দুটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমত, বর্তমানে বিএনপির জন্য অনুকূল সময় চলছে, এই সময়ে অনেক সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করবে। এসব “সুসময়ের ঘুঘু” সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং সম্মিলিতভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।’
ভবিষ্যতে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলেও বিএনপিকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারে, তবে ক্ষমতায় গেলেও বেকারত্ব, কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ একাধিক খাতের ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে উঠতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপি ইতিমধ্যে পরিকল্পনা করছে।’
তারেক রহমানের অভিযোগ, বিএনপির এই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ঠেকাতে বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘দেশের মানুষ এখন বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে এবং বিশ্বাস করে একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলই ধীরে ধীরে দেশকে পুনর্গঠনের সক্ষমতা রাখে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ বিএনপির কর্মীদের কাছ থেকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চায়। তাই নেতা-কর্মীদের এমনভাবে চলতে হবে, যাতে জনগণের আস্থা অর্জিত হয়। এই আস্থা নিয়েই আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের কাজে হাত দিতে হবে।’
সম্মেলনে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবদুল লতিফ খান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) সৈয়দ শাহীন শওকত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান খান, ওবায়দুর রহমানসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলন শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হওয়া দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। ১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌর কমিটির মোট ১,১৪১৪ জন কাউন্সিলরের ভোটে শীর্ষ তিন পদের জন্য ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আয়ের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। সেই হিসাব পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জামায়াতের এই আয় বিএনপির তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। ব্যয়ের দিক থেকে বেশি পাঁচগুণ।
৩২ মিনিট আগেনির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বীকৃতি চায় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। এ বিষয়ে দলটির তরফ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে‘এই ইশতেহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের যুবশক্তি এগিয়ে যাবে, যুবকরা এগিয়ে যাবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব যুবককে একত্রিত করবে। দেশে নতুন যুব নেতৃত্ব তৈরি করবে’, কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুর থেকে আসা মামুন হাসান। তাঁর মতো আরও অনেকেই এসেছেন জাতীয় যুবশক্তির সম্মেলনে।
২ দিন আগেবিবৃতিতে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি সব রাজনৈতিক দলকে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন এবং একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ইস্যুতে সকল রাজনৈতিকদল ও জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
২ দিন আগে