গাইবান্ধায় তিস্তা- ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন
গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী শ্রীপুর একটি জনবসতি এলাকা। কয়েক বছর আগেও এই এলাকা থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে ছিল তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদী। সেই জমি এখন নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
নদীপাড়ে দাঁড়ালে ভাঙনের শব্দ শোনা যায়। তীরের ঘর ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন বাসিন্দারা। দু-চারটে গাছও কেটে নিচ্ছেন অনেকে। জমির আধাপাকা ফসল, অপরিপক্ক সবজি সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিপক্ক না হতেই খেতের পাট কেটে নিচ্ছেন লোকজন। বাঁশ ও গাছ দিয়ে পারিবারিক কবরস্থান রক্ষার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। আর ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা তীরে বসে অপলক তাকিয়ে আছেন তিস্তা বুকের দিকে। পাড় ভেঙে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে নদীটি।
এই অবস্থা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাবুরবাজার গ্রামের। নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে তিস্তার ভাঙন তীব্র হতে শুরু করেছে। গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল (৬৫) বলেন, তাঁদের আশপাশে শতাধিক বাড়ি ও বেশ কিছু গাছের বাগান ছিল। ভাঙনে বাড়িঘরের সঙ্গে গাছপালাও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ৩৬ শতাংশ জমি ছিল তাঁর। এর মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ জমেই বিলীন হয়েছে। ভাঙনে শিকার হয়ে এখন অন্য এলাকায় থাকছেন তিনি।
শুধু তিস্তাপাড়ের আব্দুল জলিল নন, জেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার তীরবর্তী এলাকায়ও তীব্র হয়েছে ভাঙন। এতে এরই মধ্যে তিন ফসলি জমি, ফলের বাগান, সড়কসহ প্রায় অর্ধশত বসতভিটাও বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ওই সব এলাকার কবরস্থানসহ কয়েকটি গ্রামের হাজারো বাড়িঘর। ভাঙন এলাকার বেশ কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ও বিস্তীর্ণ জনপদসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী।
ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী শ্রীপুর একটি জনবসতি এলাকা। কয়েক বছর আগেও এই এলাকা থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে ছিল তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদী। তখন এলাকার সব জমিতে ধান, গম, আলু, ভুট্টাসহ নানা ফসল চাষ করতেন কৃষকেরা। কিন্তু সেই জমি এখন নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ফসলসহ জমি ভেঙে যাচ্ছে।
জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাবুর বাজার থেকে উত্তরের পুটিমারি পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে ভাঙন। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত ৩০০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে দত্তরখামারপাড়া, দক্ষিণ শ্রীপুর, বাবুর বাজার, পুটিমারিসহ পাঁচটি গ্রাম। ভাঙন চলতে থাকলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বহু ঘরবাড়িসহ কয়েকটি গ্রাম বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়েরা।
একইভাবে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লাচর ও কামারজানি, গিদারি ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া জেলার ফুলছড়ির উপজেলার সাতটির মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়ন চরাঞ্চল। এ সব চরাঞ্চলের ইউনিয়ন নদী ভাঙনে দিন দিন মানচিত্র সংকুচিত হচ্ছে। যেসব জমি বিলীন হয়েছে, সেখানে পাট, কঁচু ও আমন ধানের বীজতলা ছিল। পার্শ্ববর্তী এলাকায়ও ভাঙনের তীব্রতা এত বেশি যে, রাত-দিন সমান তালে বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হচ্ছে। এরই মধ্যে তীরবর্তী দুটি গ্রামীণ রাস্তা নদী গর্ভে চলে গেছে।
সম্প্রতি জেলার গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘুরে ভাঙন দেখা গেছে। বর্ষায় নদীতে জোয়ার আসছে, প্রচুর ঢেউ উঠছে। মাত্র দুই মাসের মধ্যে কয়েক শ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। চোখের সামনে বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে, কিছুই করতে পারছেন না। ভাঙন অব্যাহত থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সুন্দরগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মমিনুর ইসলাম (৪৬) বলেন, ‘ছোট বেলায় নদী দেখার জন্য যেতাম, আজ নদী আমার জমি ভাঙছে। তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। পাট পরিপক্ক না হতেই জমি ভেঙে নদীতে পড়ছে।’
সদর উপজেলার মোল্লার চরের বাসিন্দা ইয়াকুব প্রমানিক বলেন, ‘নদী ভাঙতে ভাঙতে আমরা শেষ ভাই। খরাতে ভাঙে, বর্ষাতে ভাঙে, আবার নদীতে পানি বাড়লে, কমলেও ভাঙে। আমাদের কোথাও যাওয়ার আর উপায় নাই।’
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙনের স্থানগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার প্রক্রিয়া চলছে।
নদীপাড়ে দাঁড়ালে ভাঙনের শব্দ শোনা যায়। তীরের ঘর ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন বাসিন্দারা। দু-চারটে গাছও কেটে নিচ্ছেন অনেকে। জমির আধাপাকা ফসল, অপরিপক্ক সবজি সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিপক্ক না হতেই খেতের পাট কেটে নিচ্ছেন লোকজন। বাঁশ ও গাছ দিয়ে পারিবারিক কবরস্থান রক্ষার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। আর ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা তীরে বসে অপলক তাকিয়ে আছেন তিস্তা বুকের দিকে। পাড় ভেঙে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে নদীটি।
এই অবস্থা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাবুরবাজার গ্রামের। নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে তিস্তার ভাঙন তীব্র হতে শুরু করেছে। গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল (৬৫) বলেন, তাঁদের আশপাশে শতাধিক বাড়ি ও বেশ কিছু গাছের বাগান ছিল। ভাঙনে বাড়িঘরের সঙ্গে গাছপালাও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ৩৬ শতাংশ জমি ছিল তাঁর। এর মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ জমেই বিলীন হয়েছে। ভাঙনে শিকার হয়ে এখন অন্য এলাকায় থাকছেন তিনি।
শুধু তিস্তাপাড়ের আব্দুল জলিল নন, জেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার তীরবর্তী এলাকায়ও তীব্র হয়েছে ভাঙন। এতে এরই মধ্যে তিন ফসলি জমি, ফলের বাগান, সড়কসহ প্রায় অর্ধশত বসতভিটাও বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ওই সব এলাকার কবরস্থানসহ কয়েকটি গ্রামের হাজারো বাড়িঘর। ভাঙন এলাকার বেশ কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ও বিস্তীর্ণ জনপদসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী।
ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী শ্রীপুর একটি জনবসতি এলাকা। কয়েক বছর আগেও এই এলাকা থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে ছিল তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদী। তখন এলাকার সব জমিতে ধান, গম, আলু, ভুট্টাসহ নানা ফসল চাষ করতেন কৃষকেরা। কিন্তু সেই জমি এখন নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ফসলসহ জমি ভেঙে যাচ্ছে।
জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাবুর বাজার থেকে উত্তরের পুটিমারি পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে ভাঙন। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত ৩০০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে দত্তরখামারপাড়া, দক্ষিণ শ্রীপুর, বাবুর বাজার, পুটিমারিসহ পাঁচটি গ্রাম। ভাঙন চলতে থাকলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বহু ঘরবাড়িসহ কয়েকটি গ্রাম বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়েরা।
একইভাবে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লাচর ও কামারজানি, গিদারি ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া জেলার ফুলছড়ির উপজেলার সাতটির মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়ন চরাঞ্চল। এ সব চরাঞ্চলের ইউনিয়ন নদী ভাঙনে দিন দিন মানচিত্র সংকুচিত হচ্ছে। যেসব জমি বিলীন হয়েছে, সেখানে পাট, কঁচু ও আমন ধানের বীজতলা ছিল। পার্শ্ববর্তী এলাকায়ও ভাঙনের তীব্রতা এত বেশি যে, রাত-দিন সমান তালে বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হচ্ছে। এরই মধ্যে তীরবর্তী দুটি গ্রামীণ রাস্তা নদী গর্ভে চলে গেছে।
সম্প্রতি জেলার গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘুরে ভাঙন দেখা গেছে। বর্ষায় নদীতে জোয়ার আসছে, প্রচুর ঢেউ উঠছে। মাত্র দুই মাসের মধ্যে কয়েক শ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। চোখের সামনে বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে, কিছুই করতে পারছেন না। ভাঙন অব্যাহত থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সুন্দরগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মমিনুর ইসলাম (৪৬) বলেন, ‘ছোট বেলায় নদী দেখার জন্য যেতাম, আজ নদী আমার জমি ভাঙছে। তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। পাট পরিপক্ক না হতেই জমি ভেঙে নদীতে পড়ছে।’
সদর উপজেলার মোল্লার চরের বাসিন্দা ইয়াকুব প্রমানিক বলেন, ‘নদী ভাঙতে ভাঙতে আমরা শেষ ভাই। খরাতে ভাঙে, বর্ষাতে ভাঙে, আবার নদীতে পানি বাড়লে, কমলেও ভাঙে। আমাদের কোথাও যাওয়ার আর উপায় নাই।’
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙনের স্থানগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার প্রক্রিয়া চলছে।
আন্দোলনের মুখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিলের ঘোষণা এলেও সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার নামে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেছাত্রলীগের মতো ছাত্রশিবিরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক সংগঠনগুলো দখল করে নিচ্ছে। নানা সমালোচনার পরও থাকবে ছাত্রদলের হল কমিটি। উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সাংবাদিকদের এসব জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেশুক্রবারের মধ্যে আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে তাঁরা লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শেবাচিম কর্মচারীদের সংগঠন।
২ ঘণ্টা আগেবুধবার রাতেই সাড়ে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সাদাপাথরবাহী আরও ১৩০টিরও বেশি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই পাথরগুলোও আগের জায়গায় বিছিয়ে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে