স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আজ মঙ্গলবার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ছবি প্রদর্শন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। বিষয়টি নিয়ে বামপন্থী শিক্ষার্থীদের প্রবল আপত্তির মুখে ছবিগুলো সরিয়ে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
এর আগে দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শিরোনামের কর্মসূচি শুরু করে ছাত্রশিবির। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ শীর্ষক একটি চিত্র প্রদর্শনী করা হয়।
প্রদর্শনীত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, শুরা সদস্য মীর কাসেম আলী, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি দেখানো হয়।
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিকেলে এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ প্রতিবাদ জানায়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে ছবিগুলো সরিয়ে ফেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, বিকেলে আমরা উপস্থিত হয়ে ছবিগুলো সরিয়ে দিই।
তিনি বলেন, ছবিগুলো নিয়ে কিছু শিক্ষার্থী আপত্তি জানায়। আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করি। এরপর প্রশাসনিকভাবেই ছবিগুলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সরিয়ে দিই।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির তিন দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে গণ-অভ্যুত্থানের বিভিন্ন ধরনের চিত্র, প্রতীকী গণভবন, একটি প্রতীকী আন্তঃনগর ট্রেন ‘জুলাই এক্সপ্রেস’ প্রদর্শন করা হয়।
এর পাশেই ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ শিরোনামে যুদ্ধপরাধের দায়ে দণ্ডিত একাধিক ব্যক্তির ছবি প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, আব্দুল কাদের মোল্লা, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মীর কাশেম আলী, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ছবি ছিল।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ছবিগুলো প্রদর্শনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ও একদল শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানও দেন।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাবি শাখার সভাপতি নাজিয়া হাসিন রাশা স্ট্রিমকে বলেন, সকালে ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থী ছাত্রশিবিরের প্রদর্শনীতে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ছবিও রয়েছে। পরে মুক্তিযুদ্ধপন্থী, গণতন্ত্রকামী, ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করে। প্রক্টরকে কল দিয়ে জানানো হয়। শান্তিপূর্ণভাবে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ ঘটনার পর অবশ্য ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ। তিনি লিখেছেন, আমাদের তিন দিনব্যাপী আয়োজনের ফটোফ্রেমগুলোর একটা অংশ নিয়ে কুতর্ক এবং মব সৃষ্টি করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। শেখ হাসিনার বিচারিক হত্যাকাণ্ডের বৈধতা উৎপাদনকারীরা একাত্তরের পরে বাকশাল, ২০০৮ সালের পরে ফ্যাসিবাদ, শাপলা গণহত্যা, সাঈদীর রায়পরবর্তী গণহত্যা এবং জুলাই গণহত্যাসহ সকল রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের এনাবলার ও বৈধতা উৎপাদনকারী হিসেবে আজীবন চিহ্নিত থাকবে।
এদিকে, টিএসসিতে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শন করার প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাবি শাখা। মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি ‘স্বীকৃত রাজাকারদের ছবি প্রদর্শন এবং তাদের সাথে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি প্রদর্শন করার’ প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আজ মঙ্গলবার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ছবি প্রদর্শন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। বিষয়টি নিয়ে বামপন্থী শিক্ষার্থীদের প্রবল আপত্তির মুখে ছবিগুলো সরিয়ে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
এর আগে দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শিরোনামের কর্মসূচি শুরু করে ছাত্রশিবির। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ শীর্ষক একটি চিত্র প্রদর্শনী করা হয়।
প্রদর্শনীত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, শুরা সদস্য মীর কাসেম আলী, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি দেখানো হয়।
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিকেলে এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ প্রতিবাদ জানায়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে ছবিগুলো সরিয়ে ফেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, বিকেলে আমরা উপস্থিত হয়ে ছবিগুলো সরিয়ে দিই।
তিনি বলেন, ছবিগুলো নিয়ে কিছু শিক্ষার্থী আপত্তি জানায়। আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করি। এরপর প্রশাসনিকভাবেই ছবিগুলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সরিয়ে দিই।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির তিন দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে গণ-অভ্যুত্থানের বিভিন্ন ধরনের চিত্র, প্রতীকী গণভবন, একটি প্রতীকী আন্তঃনগর ট্রেন ‘জুলাই এক্সপ্রেস’ প্রদর্শন করা হয়।
এর পাশেই ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ শিরোনামে যুদ্ধপরাধের দায়ে দণ্ডিত একাধিক ব্যক্তির ছবি প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, আব্দুল কাদের মোল্লা, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মীর কাশেম আলী, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ছবি ছিল।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ছবিগুলো প্রদর্শনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ও একদল শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানও দেন।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাবি শাখার সভাপতি নাজিয়া হাসিন রাশা স্ট্রিমকে বলেন, সকালে ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থী ছাত্রশিবিরের প্রদর্শনীতে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ছবিও রয়েছে। পরে মুক্তিযুদ্ধপন্থী, গণতন্ত্রকামী, ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করে। প্রক্টরকে কল দিয়ে জানানো হয়। শান্তিপূর্ণভাবে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ ঘটনার পর অবশ্য ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ। তিনি লিখেছেন, আমাদের তিন দিনব্যাপী আয়োজনের ফটোফ্রেমগুলোর একটা অংশ নিয়ে কুতর্ক এবং মব সৃষ্টি করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। শেখ হাসিনার বিচারিক হত্যাকাণ্ডের বৈধতা উৎপাদনকারীরা একাত্তরের পরে বাকশাল, ২০০৮ সালের পরে ফ্যাসিবাদ, শাপলা গণহত্যা, সাঈদীর রায়পরবর্তী গণহত্যা এবং জুলাই গণহত্যাসহ সকল রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের এনাবলার ও বৈধতা উৎপাদনকারী হিসেবে আজীবন চিহ্নিত থাকবে।
এদিকে, টিএসসিতে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শন করার প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাবি শাখা। মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি ‘স্বীকৃত রাজাকারদের ছবি প্রদর্শন এবং তাদের সাথে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি প্রদর্শন করার’ প্রতিবাদ জানিয়েছে।
শুক্রবারের মধ্যে আন্দোলন বন্ধ না হলে শনিবার থেকে তাঁরা লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শেবাচিম কর্মচারীদের সংগঠন।
৩৭ মিনিট আগেবুধবার রাতেই সাড়ে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সাদাপাথরবাহী আরও ১৩০টিরও বেশি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই পাথরগুলোও আগের জায়গায় বিছিয়ে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগেমালয়েশিয়ার স্থানীয় শ্রমিকেরা যেসব সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা পান, বাংলাদেশি শ্রমিকেরা এখন থেকে একই সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফরে বাংলা ভাষায় অভিযোগ করতে পারার সুবিধাপ্রাপ্তির ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা পৌর শহরের নাগড়া এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সেচ অফিসের পুরাতন ভবনের ছাদ ধসে পড়ায় তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন
২ ঘণ্টা আগে