leadT1ad

গাড়ি আটকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাইওয়ে থানার ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা হাইওয়ে থানা-পুলিশ সদস্যরা ৩ জুলাই কুরিয়ার সার্ভিসের কভার্ড ভ্যান আটকে টাকা আদায় করেন।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান আটকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ছয় পুলিশ সদস্যকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও চার কনস্টেবল রয়েছেন।

গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে তাঁদের থানা থেকে প্রত্যাহার করার হয়। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে তাঁদের হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যরা হলেন ওসি মামুন রহমান, এএসআই বিপ্লু বড়ুয়া এবং কনস্টেবল মো. সাহাবুদ্দিন, মো. মস্তু, সাকিবুল, মো. জহির মিয়া।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৩ জুলাই সিলেট থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল একটি কুরিয়ার সার্ভিসের পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান। সড়কের খাটিহাতা এলাকায় গাড়িটি আটক করেন মহাসড়কে কর্তব্যরত খাটিহাতা হাইওয়ে থানার টহল পুলিশের সদস্যরা। অবৈধ পণ্য পরিবহনের অভিযোগ তুলে ওই কাভার্ড ভ্যান থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তাঁরা। এই ঘটনা নিয়ে রবিবার (১২ জুলাই) বেসরকারি একটি টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশ হয়।

প্রচারিত ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, গাড়ি আটকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হলে টাকা ফেরত দেন অভিযুক্ত এএসআই। কিন্তু টাকা নেওয়ার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলেও টালবাহানা করা হয়।

সোমবার খাটিহাতা হাইওয়ে থানার দায়িত্বে ছিলেন উপরিদর্শক (এসআই) মো. সজীব মিয়া। তিনি বলেন, ‘একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ছয়জনকে একসঙ্গে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল থেকে আমি দায়িত্ব পালন করছি।’

হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) খাইরুল আলম ছয় পুলিশ সদস্যের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছেন একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তদন্ত প্রতিবেদনে অপরাধের মাত্রা অনুসারে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত