আজকাল বাজারে গেলে মৌসুমের মাঝামাঝি আর শেষ দিকের আমের দেখা মেলে। চারপাশে ভ্যানে ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে সুগন্ধে ভরা এসব আম। কিন্তু জানেন কী, জুলাই মাসে বাজারে কোন কোন আম পাওয়া যায়? আর সেগুলো চিনবেন-ই বা কীভাবে!
স্ট্রিম ডেস্ক
আজকাল বাজারে গেলেই দেখা মিলছে রঙিন পাকা আমের। ভ্যানগুলোতে আমের গন্ধে ম ম করছে চারপাশ। কাঁঠাল দেশের জাতীয় ফল হলেও জনপ্রিয়তায় আম আছে একেবারে সবার ওপরে।
বাংলাদেশে আমের মৌসুম সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি আম পাওয়া যায় জুন ও জুলাই মাসে। তাই এখনই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মাঝামাঝি আর শেষ দিকের পাকা আম। অনেক সময় কিছু জাতের আম মৌসুমের আগেই বাজারে চলে আসে। এগুলো সাধারণত কৃত্রিমভাবে পাকানো হয়। খেতেও তেমন ভালো লাগে না। তাই মৌসুমের পাকা আমই কেনা উচিত।
দেশের আমের জাতগুলোকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—আগাম জাত, মধ্য মৌসুমি জাত আর নাবি জাত।
শুধু স্বাদের জন্য নয়, পাকা আম খাওয়া শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। পাকা আমে থাকে ক্যালরি, শর্করা, আমিষ, ভিটামিন এ ও সি, বিটা ক্যারোটিন এবং অন্তত ২৫ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর পাশাপাশি থাকে প্রচুর পরিমাণ আঁশজাতীয় উপাদান, যা হজমে সহায়তা করে। এসব উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই আম কেবল জিভের তৃপ্তির জন্য নয়, স্বাস্থ্যরক্ষায়ও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন মৌসুমের পাকা আম হয়। চলুন দেখে নিই, জুলাই মাসে বাজারে যেসব আম পাওয়া যায়।
ল্যাংড়া আম পছন্দ না—এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। শোনা যায়, একসময় বেনারসে এক ল্যাংড়া ফকিরের বাড়িতে এই আমগাছ প্রথম দেখা গিয়েছিল। সেই থেকেই এর নাম হয় ‘ল্যাংড়া’। ভারতে তাই একে ‘বানারসী আম’ বলা হয়।
এই আম চেনা খুব সহজ। কারণ, এতে থাকে এক ধরনের ঝাঁঝালো গন্ধ, যেটা অন্য আম থেকে আলাদা। দেখতে গোল, খোসা পাতলা আর মসৃণ। সুগন্ধ আর রসে ভরপুর এই আম পাকা অবস্থায় দেখতে ‘সবুজাভ হলুদ’ রঙের হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ এলাকায় ল্যাংড়া আমের চাষ সবচেয়ে বেশি হয়।
ফজলি আম দেখতে লম্বাটে। আর দেখতে হালকা হলুদ রঙের। আকারে এত বড় হয় যে, এক বা দুইটা আমেই এক কেজি হয়ে যায়! জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে এই আম বাজারে পাওয়া যায়, তখন অন্য অনেক আমই শেষ হয়ে যায়।
স্বাদে এটি ল্যাংড়া বা গোপালভোগের মতো অতটা মিষ্টি না হলেও, এতে মিষ্টি ভাব আছে এবং আঁশও থাকে একটু বেশি। কথিত আছে, এক সময় ‘ফজলি বিবি’ নামের এক বৃদ্ধার বাড়িতে প্রথম এই আমগাছ দেখা গিয়েছিল। তাই তাঁর নামেই এর নাম হয় ‘ফজলি’।
আম্রপালি আম সাধারণত জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে আসতে থাকে। নওগাঁ এলাকায় এই আমের চাষ বেশি হয়। এটা এক ধরনের হাইব্রিড জাতের আম। আম্রপালি অন্যান্য আমের তুলনায় বেশি মিষ্টি।
এই আম দেখতে একটু ছোট। নিচের দিকটা সূঁচালো আর উপরের দিকটা গোল ধরনের। খোসা মসৃণ আর হালকা তেলতেলে লাগে। স্বাদেও আছে আলাদা বিশেষত্ব, যা একবার খেলে সহজে ভুলে যাওয়া যায় না।
স্বাদে আর সুগন্ধে ল্যাংড়ার প্রতিদ্বন্দ্বী বলা হয় মোহনভোগকে। খুবই রসালো এবং আঁশ কম থাকে।
দেখতে চ্যাপ্টা ধরনের। এই আম দেখতে অনেকটা হিমসাগরের মতো হলেও আকারে কিছুটা লম্বাটে হয়ে থাকে। এই আম সাধারণত জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বাজারে ওঠে। পুরো জুলাই এই আম বাজারে থাকে। কাঁচা মোহনভোগ আম আচার তৈরির জন্য খুব উপযোগী।
আশ্বিনা মৌসুমের একেবারে শেষ দিকের আম। আকারে এটা বেশ বড়, তাই অনেকে একে ফজলি আম ভেবে নেন। তবে চিনে নেওয়ার কিছু উপায় আছে—এই আমের রঙ একটু বেশি সবুজ, পেটের দিকটা মোটা আর খোসাটাও মোটা ধরনের। খেতে কিছুটা টক-মিষ্টি লাগে। সহজে সংরক্ষণ করা যায় বলে অনেকেই এই আম ফ্রিজে রেখে অনেক দিন পর খান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ অঞ্চলে এই জাতের আম বেশি পাওয়া যায়।
চৌসা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মিষ্টি ও সুগন্ধি আম। ভারত ও পাকিস্তানে বেশি জনপ্রিয় হলেও এখন রাজশাহী আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে এই আমের চাষ হয়। ‘চৌসা’ নামটি হিন্দি ভাষার ‘চৌস’ শব্দ থেকে এসেছে। যার মানে ‘চার’। কারণ, এই আম প্রায় চার মাস ধরে বাজারে থাকে।
আরেকটি মত অনুসারে, উত্তর ভারত এবং বিহারে বিশেষ জনপ্রিয় এই আমের জাতটি ষোড়শ শতাব্দীতে শের শাহ সূরির শাসনকালীন সময়ে পরিচত হয়ে উঠেছিল। বিহারের একটি শহরের নামে আমটির নামকরণ করা হয়। এই আমের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর অত্যন্ত মিষ্টি রস এবং উজ্জ্বল হলুদ রঙের খোসা। যা দেখতে অনেক মনোরম ও আকর্ষণীয়।
আজকাল বাজারে গেলেই দেখা মিলছে রঙিন পাকা আমের। ভ্যানগুলোতে আমের গন্ধে ম ম করছে চারপাশ। কাঁঠাল দেশের জাতীয় ফল হলেও জনপ্রিয়তায় আম আছে একেবারে সবার ওপরে।
বাংলাদেশে আমের মৌসুম সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি আম পাওয়া যায় জুন ও জুলাই মাসে। তাই এখনই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মাঝামাঝি আর শেষ দিকের পাকা আম। অনেক সময় কিছু জাতের আম মৌসুমের আগেই বাজারে চলে আসে। এগুলো সাধারণত কৃত্রিমভাবে পাকানো হয়। খেতেও তেমন ভালো লাগে না। তাই মৌসুমের পাকা আমই কেনা উচিত।
দেশের আমের জাতগুলোকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—আগাম জাত, মধ্য মৌসুমি জাত আর নাবি জাত।
শুধু স্বাদের জন্য নয়, পাকা আম খাওয়া শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। পাকা আমে থাকে ক্যালরি, শর্করা, আমিষ, ভিটামিন এ ও সি, বিটা ক্যারোটিন এবং অন্তত ২৫ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর পাশাপাশি থাকে প্রচুর পরিমাণ আঁশজাতীয় উপাদান, যা হজমে সহায়তা করে। এসব উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই আম কেবল জিভের তৃপ্তির জন্য নয়, স্বাস্থ্যরক্ষায়ও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন মৌসুমের পাকা আম হয়। চলুন দেখে নিই, জুলাই মাসে বাজারে যেসব আম পাওয়া যায়।
ল্যাংড়া আম পছন্দ না—এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। শোনা যায়, একসময় বেনারসে এক ল্যাংড়া ফকিরের বাড়িতে এই আমগাছ প্রথম দেখা গিয়েছিল। সেই থেকেই এর নাম হয় ‘ল্যাংড়া’। ভারতে তাই একে ‘বানারসী আম’ বলা হয়।
এই আম চেনা খুব সহজ। কারণ, এতে থাকে এক ধরনের ঝাঁঝালো গন্ধ, যেটা অন্য আম থেকে আলাদা। দেখতে গোল, খোসা পাতলা আর মসৃণ। সুগন্ধ আর রসে ভরপুর এই আম পাকা অবস্থায় দেখতে ‘সবুজাভ হলুদ’ রঙের হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ এলাকায় ল্যাংড়া আমের চাষ সবচেয়ে বেশি হয়।
ফজলি আম দেখতে লম্বাটে। আর দেখতে হালকা হলুদ রঙের। আকারে এত বড় হয় যে, এক বা দুইটা আমেই এক কেজি হয়ে যায়! জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে এই আম বাজারে পাওয়া যায়, তখন অন্য অনেক আমই শেষ হয়ে যায়।
স্বাদে এটি ল্যাংড়া বা গোপালভোগের মতো অতটা মিষ্টি না হলেও, এতে মিষ্টি ভাব আছে এবং আঁশও থাকে একটু বেশি। কথিত আছে, এক সময় ‘ফজলি বিবি’ নামের এক বৃদ্ধার বাড়িতে প্রথম এই আমগাছ দেখা গিয়েছিল। তাই তাঁর নামেই এর নাম হয় ‘ফজলি’।
আম্রপালি আম সাধারণত জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে আসতে থাকে। নওগাঁ এলাকায় এই আমের চাষ বেশি হয়। এটা এক ধরনের হাইব্রিড জাতের আম। আম্রপালি অন্যান্য আমের তুলনায় বেশি মিষ্টি।
এই আম দেখতে একটু ছোট। নিচের দিকটা সূঁচালো আর উপরের দিকটা গোল ধরনের। খোসা মসৃণ আর হালকা তেলতেলে লাগে। স্বাদেও আছে আলাদা বিশেষত্ব, যা একবার খেলে সহজে ভুলে যাওয়া যায় না।
স্বাদে আর সুগন্ধে ল্যাংড়ার প্রতিদ্বন্দ্বী বলা হয় মোহনভোগকে। খুবই রসালো এবং আঁশ কম থাকে।
দেখতে চ্যাপ্টা ধরনের। এই আম দেখতে অনেকটা হিমসাগরের মতো হলেও আকারে কিছুটা লম্বাটে হয়ে থাকে। এই আম সাধারণত জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বাজারে ওঠে। পুরো জুলাই এই আম বাজারে থাকে। কাঁচা মোহনভোগ আম আচার তৈরির জন্য খুব উপযোগী।
আশ্বিনা মৌসুমের একেবারে শেষ দিকের আম। আকারে এটা বেশ বড়, তাই অনেকে একে ফজলি আম ভেবে নেন। তবে চিনে নেওয়ার কিছু উপায় আছে—এই আমের রঙ একটু বেশি সবুজ, পেটের দিকটা মোটা আর খোসাটাও মোটা ধরনের। খেতে কিছুটা টক-মিষ্টি লাগে। সহজে সংরক্ষণ করা যায় বলে অনেকেই এই আম ফ্রিজে রেখে অনেক দিন পর খান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ অঞ্চলে এই জাতের আম বেশি পাওয়া যায়।
চৌসা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মিষ্টি ও সুগন্ধি আম। ভারত ও পাকিস্তানে বেশি জনপ্রিয় হলেও এখন রাজশাহী আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে এই আমের চাষ হয়। ‘চৌসা’ নামটি হিন্দি ভাষার ‘চৌস’ শব্দ থেকে এসেছে। যার মানে ‘চার’। কারণ, এই আম প্রায় চার মাস ধরে বাজারে থাকে।
আরেকটি মত অনুসারে, উত্তর ভারত এবং বিহারে বিশেষ জনপ্রিয় এই আমের জাতটি ষোড়শ শতাব্দীতে শের শাহ সূরির শাসনকালীন সময়ে পরিচত হয়ে উঠেছিল। বিহারের একটি শহরের নামে আমটির নামকরণ করা হয়। এই আমের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর অত্যন্ত মিষ্টি রস এবং উজ্জ্বল হলুদ রঙের খোসা। যা দেখতে অনেক মনোরম ও আকর্ষণীয়।
খাইরুল বাসারের গান ইউটিউবে শুনতে গিয়ে কমেন্টবক্সে চোখ পড়ল। এক ভক্ত লিখেছেন, ‘খাইরুল বাসারের গানে আলাদা একটা পিনিক আছে।’ এই ‘পিনিক’ আসলে 'ক্যাচি' আর লিরিকে-টিউনে রেপিটেটিভ ফর্মের কারণে হুকলাইন মুখস্ত হয়ে যাওয়া। আর সঙ্গে বাংলা ঢোলের মাথাদোলানো সাউন্ডস্কেপ।
৫ ঘণ্টা আগে‘ঘরে না থাকলে লাইট-ফ্যান বন্ধ রাখুন’—মোটামুটি সকলেই এ বাক্যটির সঙ্গে পরিচিত। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে টিভি, রেডিও, পত্রিকা- কোথায় ছিল না এই বিজ্ঞাপন?
৬ ঘণ্টা আগেবাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয় ও আধুনিকতার এক উজ্জ্বল ভাষ্যকার রশীদ করীম। উপন্যাসের আখ্যানে ধারণ করেছেন বাংলা অঞ্চলের মানুষের নৈমিত্তিক ছবি-ব্যক্তিক ও সামষ্টিক বাসনার রূপকল্প।
৯ ঘণ্টা আগেদুটি হাতের মধ্যে আমরা ডানহাতকেই বেশি এগিয়ে রাখি তাই না! ডান হাতই যেন সঠিক। বাম হাত দিয়ে কাউকে কোনো কিছু দিলেই তো মা দিতো বকা! তবে কেউ কেউ আমাদের আশপাশে ছিল যাঁরা বাম হাতে লিখতেন বা কাজ করতেন।
১ দিন আগে