যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
বাংলাদেশি পণ্যে পাল্টা শুল্ক ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১ আগস্ট) হোয়াইট হাউস এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, আসছে ৭ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই পাল্টা শুল্ক কার্যকর হবে। ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক ধার্যের পর এখন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যে পাল্টা শুল্কসহ এখন মোট কত শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
অফিস অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মোট পণ্য বাণিজ্য ছিল আনুমানিক ১০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ ২ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, যা ২০১৩ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ (৩৪ মিলিয়ন ডলার) কম। বিপরীতে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র মোট ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়; যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ (৮৯ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার) বেশি। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৩ সালের তুলনায় যা ২ শতাংশ (১২৩ দশমিক ২ মিলিয়ন) বেশি। ট্রাম্প প্রশাসন মূলত এই বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেই নতুন করে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে তিন ধরনের শুল্কহার রয়েছে। একটি হলো এমএফটি (মোস্ট ফেভারড ট্যারিফ)। এই শুল্কহার ব্যবস্থায় যেসব দেশের সঙ্গে দেশটির স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্ক আছে সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্কহার প্রযোজ্য হয়। বিশেষ করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্য দেশ যাদের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি নেই, তাদের ওপর দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়টি হলো অগ্রাধিকারমূলক শুল্কহার (প্রেফারেন্সিয়াল ট্যারিফ)। সাধারণত যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক চুক্তি আছে সেসব দেশ এর সুবিধা পায়। চুক্তি থাকায় হ্রাসকৃত বা শূন্য শুল্কহার সুবিধাও পেয়ে থাকে। এমএফএন শুল্কহারের চেয়ে এই হার কম।
তৃতীয়টি হলো বাধাধরা শুল্ক (বাউন্ড ট্যারিফ)। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব দেশের স্বাভাবিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই, তাদের ওপর সাধারণত এই শুল্কহার প্রযোজ্য। এই শুল্কহার এমএফটি বা প্রেফারেন্সিয়াল ট্যারিফের চেয়ে বেশি হয়।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত পণ্যের ওপর গড়ে শুল্কহার ছিল ১৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য থেকে এই শুল্কহারে শুল্ক আদায় করেছে ১২৭ কোটি ডলার। তবে নতুন করে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক যুক্ত হলে মোট শুল্ক দাঁড়াবে ৩৫ শতাংশ।
যদিও পণ্যভেদে যুক্তরাষ্ট্র ভিন্ন ভিন্ন শুল্কহার ধার্য করে। অর্থাৎ একেক পণ্যের ওপর একেকরকম শুল্ক ধার্য করে থাকে দেশটি। পণ্য ভেদে তা শূন্য থেকে ৩৫০ শতাংশ ছিল। তবে নতুন পাল্টা শুল্কের কারণে সে হিসাব পাল্টে যাবে।
বাংলাদেশি পণ্যে পাল্টা শুল্ক ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১ আগস্ট) হোয়াইট হাউস এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, আসছে ৭ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই পাল্টা শুল্ক কার্যকর হবে। ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক ধার্যের পর এখন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যে পাল্টা শুল্কসহ এখন মোট কত শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
অফিস অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মোট পণ্য বাণিজ্য ছিল আনুমানিক ১০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ ২ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, যা ২০১৩ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ (৩৪ মিলিয়ন ডলার) কম। বিপরীতে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র মোট ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়; যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ (৮৯ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার) বেশি। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৩ সালের তুলনায় যা ২ শতাংশ (১২৩ দশমিক ২ মিলিয়ন) বেশি। ট্রাম্প প্রশাসন মূলত এই বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেই নতুন করে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে তিন ধরনের শুল্কহার রয়েছে। একটি হলো এমএফটি (মোস্ট ফেভারড ট্যারিফ)। এই শুল্কহার ব্যবস্থায় যেসব দেশের সঙ্গে দেশটির স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্ক আছে সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্কহার প্রযোজ্য হয়। বিশেষ করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্য দেশ যাদের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি নেই, তাদের ওপর দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়টি হলো অগ্রাধিকারমূলক শুল্কহার (প্রেফারেন্সিয়াল ট্যারিফ)। সাধারণত যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক চুক্তি আছে সেসব দেশ এর সুবিধা পায়। চুক্তি থাকায় হ্রাসকৃত বা শূন্য শুল্কহার সুবিধাও পেয়ে থাকে। এমএফএন শুল্কহারের চেয়ে এই হার কম।
তৃতীয়টি হলো বাধাধরা শুল্ক (বাউন্ড ট্যারিফ)। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব দেশের স্বাভাবিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই, তাদের ওপর সাধারণত এই শুল্কহার প্রযোজ্য। এই শুল্কহার এমএফটি বা প্রেফারেন্সিয়াল ট্যারিফের চেয়ে বেশি হয়।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত পণ্যের ওপর গড়ে শুল্কহার ছিল ১৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য থেকে এই শুল্কহারে শুল্ক আদায় করেছে ১২৭ কোটি ডলার। তবে নতুন করে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক যুক্ত হলে মোট শুল্ক দাঁড়াবে ৩৫ শতাংশ।
যদিও পণ্যভেদে যুক্তরাষ্ট্র ভিন্ন ভিন্ন শুল্কহার ধার্য করে। অর্থাৎ একেক পণ্যের ওপর একেকরকম শুল্ক ধার্য করে থাকে দেশটি। পণ্য ভেদে তা শূন্য থেকে ৩৫০ শতাংশ ছিল। তবে নতুন পাল্টা শুল্কের কারণে সে হিসাব পাল্টে যাবে।
বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের পড়তে শুরু করেছে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে। গত বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) যুক্তরাষ্ট্রে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি ১১১ কোটি ডলার কমেছে।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক মাত্র ২৬ দিনের ব্যবধানে চার দফায় বাজার থেকে ৫৩৯ মিলিয়ন ডলার কিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়লেও বিনিয়োগ স্থবিরতার কারণে ডলারের চাহিদা কমেছে।
৬ দিন আগেতবে চতুর্থ প্রান্তিকে আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের ৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।
৭ দিন আগে