leadT1ad

‘বিক্রি হতে’ আসা শিশুটির ঠিকানা হলো রাঙামাটি শিশু পরিবারে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নজরে আসে। পরে শিশুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে রাঙামাটি সরকারি শিশু পরিবারে কাছে তুলে দেওয়া হয়।

স্ট্রিম সংবাদদাতারাঙামাটি
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ২০: ১৬
অংমাথিং মারমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে রাঙামাটি সরকারি শিশু পরিবারে কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্ট্রিম ছবি

পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। দিন চলে না মানু মারমাুর। নিজেও ভীষণ অসুস্থ। স্বামী মারধর করেন। তাই মেয়ে অংমাথিং মারমাকে নিয়ে থাকেন আলাদা। শুক্রবার তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন রাঙামাটির বনরুপা বাজারে। বিশ হাজার টাকায় মেয়েকে বাজারে বিক্রি করতে চান। সবার সামনে বলেছিলেন এই কথাটা। লোকজন তা জানতে পেরে তাঁকে বাধাও দেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নজরে আসে। শিশুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে রাঙামাটি সরকারি শিশু পরিবারে কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার। পরে শিশু অংমাথিং মারমাকে (৭) জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত সরকারি শিশু পরিবারে কাছে তুলে দেন তিনি।

অংমাথিং মারমা জেলার রাজস্থলী উপজেলার ছোট ডলুপাড়ার চাইতমং মারমার মেয়ে। তাকে শিশু পরিবারের হেফাজতে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, শিশুটির মা মানু মারমাসহ অন্যরা।

জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘জেলা পরিষদ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, আজকে আমরা শিশুকে গ্রহণ করেছি। এখন থেকে শিশুটি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত সরকারি দায়িত্বে থাকবে।’

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসায় আমরা খোঁজখবর নিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। শিশুকে তার মাসহ ডেকে এনে কথা বলা হয়েছে। পরিবারের সম্মতিতে অংমাথিং মারমাকে শিশু পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হলো।’

এর আগে শুক্রবার (৮ আগস্ট) ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সম্পর্কে শিশুটির মামা পাইল্লা প্রু চৌধুরী বলেন, ‘আমার বোনটি আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ। তার স্বামীও তাঁকে মারধর করে। সেদিন আসলে সে লোকজন দেখে কি-না-কি বলতে মেয়েকে বিক্রির কথা বলে ফেলেছে। কখন কী বলে, কথাবার্তা আসলে ঠিক নেই। সেদিন মেয়েকে নিয়ে সে বাসা খুঁজতে গেছিল বনরূপা বাজারে। মানসিক অসুস্থতার কারণে সে এই কথা বলেছে।’

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার আরো বলেন, এখন থেকে অংমাথিং মারমা শিশু পরিবারে থেকে পড়ালেখা করবে। তার যাবতীয় দেখাশোনা করবে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। এ ছাড়া শিশুটির মাও অসুস্থ চিকিৎসা করতে পারছেন না। তাঁর যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে জেলা পরিষদ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত