leadT1ad

এনবিআরের আরও ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ২৪
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাপ্তরিক কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরও চার কর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে পৃথক পৃথক আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বরখাস্ত করে তাদের এনবিআরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন—সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু; মোংলা কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার আবুল আলা মোহাম্মদ আমীমুল ইহসান খান; চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির যুগ্ম কমিশনার সানোয়ারুল কবির এবং খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম।

আইআরডি সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি আদেশে বলা হয়—গত ১২ মে সরকারের জারি করা রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ ২০২৫–এর বিরোধিতা করে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নামে। কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে তারা দাপ্তরিক কার্যক্রমে বাধা দেন এবং কর্মচারীদের কাজ ফেলে রাজস্ব ভবনে আসতে বাধ্য করার মতো ভূমিকা নেন। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮–এর ধারা ৩৯(১) অনুযায়ী চার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন সময়ে তারা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, দেড় মাসব্যাপী ওই আন্দোলনে বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং কেউ কেউ নেতৃত্বও দিয়েছেন। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে পরিচালিত এ আন্দোলন মে ও জুন মাসে দেশজুড়ে গতি পায়। ২৮ ও ২৯ জুন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয় এনবিআর কর্তৃপক্ষ।

এর আগে আন্দোলনের কারণে তিনজন সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। কাজ বন্ধ রাখার দায়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তৎকালীন কমিশনারকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া এনবিআরের দুই সদস্যসহ ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে।

সব মিলিয়ে আন্দোলনের জেরে এখন পর্যন্ত এনবিআরের মোট ৩১ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত