স্ট্রিম ডেস্ক
ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার, মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার…।’ পশ্চিমবাংলার কণ্ঠশিল্পী নচিকেতার এই গানে ঝরে পড়ে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেওয়া বাবা-মায়ের আকুতি। জীবনের পড়ন্ত বেলায় যখন স্নেহ-মায়া মানুষের জন্য একান্ত প্রয়োজন হয়ে ওঠে, তখন দেখা যায় বৃদ্ধাশ্রমের ঘরগুলো সাক্ষী হয়ে আছে কিছু অবহেলার, তীব্র একাকীত্বের আর নিঃসঙ্গতার।
বৃদ্ধশ্রমগুলো এমন এক বাসস্থান, যা সাধারণত ইচ্ছে থেকে নির্ধারিত হয় না, হয় নানামুখী পরিস্থিতি থেকে, সময়ের প্রয়োজনে। এখানে আসা মানুষগুলোর সাধারণত কোনো পরিবার থাকে না, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তানেরা থাকে দেশের বাইরে; অথবা কাছে থাকলেও তাদের সঙ্গে বাবা-মায়ের থাকে মানসিক দুরত্ব।
ইউএনবির প্রতিবেদন অনুসারে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকার আগারগাঁওয়ে 'প্রবীণ নিবাস' নামক এক বৃদ্ধাশ্রমে যাঁরা থাকেন, তাঁদের একসময় ছিল জীবনের স্বপ্ন, শক্তি ও মর্যাদা। এঁদের একজন হলেন সোহানা আক্তার (আসল নাম নয়)। ষাট বছর বয়সী এই নারী বহন করে চলেছেন মাতৃত্বের নিরব যন্ত্রণা। তাঁর জীবনের সেই গল্পে রয়েছে দুঃখ আর চাপা কষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে৷ দুই মেয়ে এখন কানাডা ও ইউএসএতে নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকে।’ স্থির ও বেদনাতুর কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘আমি ইন্দিরা রোডের একটা বাসায় একাই থাকি। যখনই আমি তীব্র একাকীত্ব অনুভব করি, চলে আসি এখানে। আমি এখন যেকোনো উৎসব এই বৃদ্ধাশ্রমে উদ্যাপন করি, বাসায় নয়।‘
সোহানা আক্তারের ঢাকায় নিজের একটা বাড়ি আছে। সেখানে তিনটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছেন তিনি। টাকাপয়সার ক্ষেত্রে তাঁর সংকট নেই। তবু তিনি নিঃসঙ্গ সন্তানেরা দূরে থাকে বলে।
সোহানা আক্তারের মতো অরও একজন মুজিবুর হোসাইন (আসল নাম নয়)। ৮০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ তাঁর জীবনের প্রায় ২৫ বছর প্রবীণ নিবাসে অতিবাহিত করেছেন। ধানমন্ডিতে একটা বিলাসবহুল বাড়ি আছে তাঁর। তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সুন্দর একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁর। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। ’পরিবার আমি অভিমান করে চলে এসেছিলাম। তারপর থেকে সন্তানেরা আর খোঁজ নেয়নি।‘ বললেন মুজিবুর হোসাইন।
সরকারি এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, বর্তমানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছয়টি সরকারি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। এখানে প্রায় ৩০০ জন বয়ষ্ক মানুষ বসবাস করেন। এর বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগ মিলিয়ে আরও কিছু বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেছে। সারাদেশে এখন এ ধরনের ৩২টি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে।
সোহানা আক্তার ও মুজিবুর হোসাইনের মতো বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন যেসব মানুষ, তাঁদের দুঃখগাথা শুনবে কে! ’বৃদ্ধাশ্রম’ গানে বাবার মুখ দিয়ে নচিকেতা যেমন বলেছিলেন, ’আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম’, সেই বৃদ্ধাশ্রমই হয়তো আমৃত্যু সঙ্গী হবে তাঁদের।
ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার, মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার…।’ পশ্চিমবাংলার কণ্ঠশিল্পী নচিকেতার এই গানে ঝরে পড়ে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেওয়া বাবা-মায়ের আকুতি। জীবনের পড়ন্ত বেলায় যখন স্নেহ-মায়া মানুষের জন্য একান্ত প্রয়োজন হয়ে ওঠে, তখন দেখা যায় বৃদ্ধাশ্রমের ঘরগুলো সাক্ষী হয়ে আছে কিছু অবহেলার, তীব্র একাকীত্বের আর নিঃসঙ্গতার।
বৃদ্ধশ্রমগুলো এমন এক বাসস্থান, যা সাধারণত ইচ্ছে থেকে নির্ধারিত হয় না, হয় নানামুখী পরিস্থিতি থেকে, সময়ের প্রয়োজনে। এখানে আসা মানুষগুলোর সাধারণত কোনো পরিবার থাকে না, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তানেরা থাকে দেশের বাইরে; অথবা কাছে থাকলেও তাদের সঙ্গে বাবা-মায়ের থাকে মানসিক দুরত্ব।
ইউএনবির প্রতিবেদন অনুসারে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকার আগারগাঁওয়ে 'প্রবীণ নিবাস' নামক এক বৃদ্ধাশ্রমে যাঁরা থাকেন, তাঁদের একসময় ছিল জীবনের স্বপ্ন, শক্তি ও মর্যাদা। এঁদের একজন হলেন সোহানা আক্তার (আসল নাম নয়)। ষাট বছর বয়সী এই নারী বহন করে চলেছেন মাতৃত্বের নিরব যন্ত্রণা। তাঁর জীবনের সেই গল্পে রয়েছে দুঃখ আর চাপা কষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে৷ দুই মেয়ে এখন কানাডা ও ইউএসএতে নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকে।’ স্থির ও বেদনাতুর কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘আমি ইন্দিরা রোডের একটা বাসায় একাই থাকি। যখনই আমি তীব্র একাকীত্ব অনুভব করি, চলে আসি এখানে। আমি এখন যেকোনো উৎসব এই বৃদ্ধাশ্রমে উদ্যাপন করি, বাসায় নয়।‘
সোহানা আক্তারের ঢাকায় নিজের একটা বাড়ি আছে। সেখানে তিনটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছেন তিনি। টাকাপয়সার ক্ষেত্রে তাঁর সংকট নেই। তবু তিনি নিঃসঙ্গ সন্তানেরা দূরে থাকে বলে।
সোহানা আক্তারের মতো অরও একজন মুজিবুর হোসাইন (আসল নাম নয়)। ৮০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ তাঁর জীবনের প্রায় ২৫ বছর প্রবীণ নিবাসে অতিবাহিত করেছেন। ধানমন্ডিতে একটা বিলাসবহুল বাড়ি আছে তাঁর। তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সুন্দর একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁর। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। ’পরিবার আমি অভিমান করে চলে এসেছিলাম। তারপর থেকে সন্তানেরা আর খোঁজ নেয়নি।‘ বললেন মুজিবুর হোসাইন।
সরকারি এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, বর্তমানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছয়টি সরকারি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। এখানে প্রায় ৩০০ জন বয়ষ্ক মানুষ বসবাস করেন। এর বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগ মিলিয়ে আরও কিছু বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেছে। সারাদেশে এখন এ ধরনের ৩২টি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে।
সোহানা আক্তার ও মুজিবুর হোসাইনের মতো বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন যেসব মানুষ, তাঁদের দুঃখগাথা শুনবে কে! ’বৃদ্ধাশ্রম’ গানে বাবার মুখ দিয়ে নচিকেতা যেমন বলেছিলেন, ’আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম’, সেই বৃদ্ধাশ্রমই হয়তো আমৃত্যু সঙ্গী হবে তাঁদের।
মানুষের জীবন দীর্ঘ করার জন্য দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট অভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই অভ্যাসগুলো মানা বা জীবনধারা বদলানো অনেকের কাছে কঠিন মনে হতে পারে। সবাই ব্যস্ত, সময়ের অভাব, আবার কোথা থেকে শুরু করবেন বা কীভাবে করবেন—এসব প্রশ্ন মাথায় আসে।
১৩ ঘণ্টা আগেমুর্তজা বশীর বাংলাদেশের শিল্প আন্দোলনের দ্বিতীয় প্রজন্মের চিত্রশিল্পী। তাঁর জন্ম ১৯৩২ সালে ১৭ আগষ্ট ঢাকার শহরে। বাবা জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, মা মরগুবা খাতুন।
১ দিন আগেতাহসান আর মিথিলার ছাড়াছাড়ির গসিপে পার্টিসিপেট করে নাই এমন মানুষ খুব কমই ছিল। ব্যাটারা ব্যাপক দুঃখী আর ভিক্টিমাইজড মোডে চলে গেলেও নারীরা মৃদু খুশিই হইছে। এত হ্যান্ডসাম একটা ছেলে সিঙ্গেল দেখাই তো আরাম, নাকি? আমার এক বান্ধবীর মোবাইলের ওয়ালপেপারেও সেইভ করা ছিল তাহসানের ছবি।
১ দিন আগেভোর থেকেই ঢাকার আকাশে উলুধ্বনি আর শাঁখের আওয়াজে শুরু হয় শুভ জন্মাষ্টমীর উৎসব। রঙিন শোভাযাত্রা, ভক্তদের ঢল ও ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পুজা-অর্চনায় মুখর ছিল পুরান ঢাকা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ঘিরে ভক্তি, আনন্দ আর সম্প্রীতির আবহে মিলেমিশে ছিল আবেগ, স্মৃতি ও সামাজিক একতার আহ্বান।
২ দিন আগে