গণ-অভ্যুত্থানের পরে দেশ গঠনে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে সংস্কার করতে পারতে পারে, সে বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, একটা নিরেট উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি বিপ্লবী দল নয়, বরং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায়।’ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতন্ত্রের উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণ-অভ্যুত্থানের পরে দেশ গঠনে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে সংস্কার করতে পারতে পারে, সে বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, একটা নিরেট উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা কোনো বিপ্লবী দল নই। বিপ্লব করে ক্ষমতায় যাওয়ার মতো আমাদের কোন সামর্থ্যও নেই এবং ইচ্ছাও নেই। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
১৯৭১-কে স্বাধীনতার মূলমন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ (আপস) হবে না। তবে গণতন্ত্রের প্রশ্নে আলোচনা হতেই পারে। সংস্কার হতেই পারে। জনগণের প্রত্যাশা মতো বিএনপি ইতিমধ্যেই তাদের ৩১ দফায় সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছে।’
ফ্যাসিস্ট শক্তি আবারও জোটবদ্ধ হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করে না, তারা আবার সক্রিয় হচ্ছে। অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি ঠিক করুন। এই দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তী সরকারের। অযথা বিলম্ব না করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
বিএনপি নেতা দেশকে আর কোনো ফ্যাসীবাদের হাতে ছেড়ে না দিতে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সবাই একমত হতে পারব। হয়তো বিভিন্ন জায়গায় মতভেদ থাকতে পারে। তখন আমরা চলে যাব জনগণের কাছে। একসঙ্গে বসব, সেগুলো আবার সুরাহা হবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, জনগণই পারে সকল সমস্যার সমাধান এনে দিতে।’
অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা দেশ গড়ার আরেকটি সুযোগ পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে। হারিয়ে ফেললে অনেক বছর পিছিয়ে যাবে দেশ। প্রতিবার ছেলেরা প্রাণ দেবে, আন্দোলন হবে, তাই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।’
মির্জা ফখরুলের আগে দেওয়া বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন একই বিষয়ের অবতারণা করে বলেন, ‘নানা কারণে আমরা (রাজনৈতিক দল) ফ্যাসীবাদের বিরোধী সকল পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখছি। নানা কারণে ঐক্যের মাঝে ফাটল দেখা যাচ্ছে। আমরা এখনো বিশ্বাস করি, সকলে এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে, গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা মেটানো সম্ভব, পলিসিনির্ভর সমতাভিত্তিক দেশ গঠন সম্ভব।’
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘গত এক বছরে আমরা প্রত্যাশা অর্জনে এমন কিছু দেখিনি। পুলিশ, আমলা কীভাবে চলবে তা নিয়ে এখনো কোনো কথাই হয়নি। বিচার বিভাগের সংস্কার এখনো হয়নি। এক তরফা নির্বাচন যেন না হয়, তাই নির্বাচন দিতে হলে আগে স্থানীয় সরকার পুনর্গঠন করে নিরপেক্ষ করতে হবে।’
এই আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ারকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা পুরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে আমরা জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে চাই। এ জন্য সকল বিষয়ে একমত হতে হবে এমন নয়। যেগুলোতে একমত হওয়া যাবে সেগুলো নিয়ে অন্যান্য বিষয়ের জন্য সুযোগ রেখেই এই সনদে স্বাক্ষর সম্ভব।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি বিপ্লবী দল নয়, বরং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায়।’ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতন্ত্রের উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণ-অভ্যুত্থানের পরে দেশ গঠনে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে সংস্কার করতে পারতে পারে, সে বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, একটা নিরেট উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা কোনো বিপ্লবী দল নই। বিপ্লব করে ক্ষমতায় যাওয়ার মতো আমাদের কোন সামর্থ্যও নেই এবং ইচ্ছাও নেই। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
১৯৭১-কে স্বাধীনতার মূলমন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ (আপস) হবে না। তবে গণতন্ত্রের প্রশ্নে আলোচনা হতেই পারে। সংস্কার হতেই পারে। জনগণের প্রত্যাশা মতো বিএনপি ইতিমধ্যেই তাদের ৩১ দফায় সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছে।’
ফ্যাসিস্ট শক্তি আবারও জোটবদ্ধ হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করে না, তারা আবার সক্রিয় হচ্ছে। অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি ঠিক করুন। এই দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তী সরকারের। অযথা বিলম্ব না করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
বিএনপি নেতা দেশকে আর কোনো ফ্যাসীবাদের হাতে ছেড়ে না দিতে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সবাই একমত হতে পারব। হয়তো বিভিন্ন জায়গায় মতভেদ থাকতে পারে। তখন আমরা চলে যাব জনগণের কাছে। একসঙ্গে বসব, সেগুলো আবার সুরাহা হবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, জনগণই পারে সকল সমস্যার সমাধান এনে দিতে।’
অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা দেশ গড়ার আরেকটি সুযোগ পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে। হারিয়ে ফেললে অনেক বছর পিছিয়ে যাবে দেশ। প্রতিবার ছেলেরা প্রাণ দেবে, আন্দোলন হবে, তাই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।’
মির্জা ফখরুলের আগে দেওয়া বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন একই বিষয়ের অবতারণা করে বলেন, ‘নানা কারণে আমরা (রাজনৈতিক দল) ফ্যাসীবাদের বিরোধী সকল পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখছি। নানা কারণে ঐক্যের মাঝে ফাটল দেখা যাচ্ছে। আমরা এখনো বিশ্বাস করি, সকলে এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে, গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা মেটানো সম্ভব, পলিসিনির্ভর সমতাভিত্তিক দেশ গঠন সম্ভব।’
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘গত এক বছরে আমরা প্রত্যাশা অর্জনে এমন কিছু দেখিনি। পুলিশ, আমলা কীভাবে চলবে তা নিয়ে এখনো কোনো কথাই হয়নি। বিচার বিভাগের সংস্কার এখনো হয়নি। এক তরফা নির্বাচন যেন না হয়, তাই নির্বাচন দিতে হলে আগে স্থানীয় সরকার পুনর্গঠন করে নিরপেক্ষ করতে হবে।’
এই আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ারকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা পুরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে আমরা জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে চাই। এ জন্য সকল বিষয়ে একমত হতে হবে এমন নয়। যেগুলোতে একমত হওয়া যাবে সেগুলো নিয়ে অন্যান্য বিষয়ের জন্য সুযোগ রেখেই এই সনদে স্বাক্ষর সম্ভব।
আয়ের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। সেই হিসাব পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জামায়াতের এই আয় বিএনপির তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। ব্যয়ের দিক থেকে বেশি পাঁচগুণ।
৪ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বীকৃতি চায় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। এ বিষয়ে দলটির তরফ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে‘এই ইশতেহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের যুবশক্তি এগিয়ে যাবে, যুবকরা এগিয়ে যাবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব যুবককে একত্রিত করবে। দেশে নতুন যুব নেতৃত্ব তৈরি করবে’, কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুর থেকে আসা মামুন হাসান। তাঁর মতো আরও অনেকেই এসেছেন জাতীয় যুবশক্তির সম্মেলনে।
২ দিন আগেবিবৃতিতে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি সব রাজনৈতিক দলকে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন এবং একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ইস্যুতে সকল রাজনৈতিকদল ও জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
২ দিন আগে