শিশির রায়
সালটা ১৯৫৪। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত শেষে ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশ নিজেদেরকে গুছিয়ে নিচ্ছিল। আর একটু একটু করে তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়া পেতে শুরু করেছিল দুনিয়ার মানুষ। তখন সবার কাছে বিস্ময় আর আগ্রহের নাম ছিল ‘টেলিভিশন’। সে বছরই ৫ জুলাই ব্রিটেনের আলেকজান্দ্রা স্টুডিও কিছু একটা বদলে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিবিসির করিডরজুড়ে চলছে চাপা উত্তেজনা। টেলিভিশনের পর্দায় প্রথমবারের মতো সরাসরি সম্প্রচার হতে যাচ্ছে সংবাদ বুলেটিন।
‘জাদুর বাক্স’ থেকে তখন শুধু নাটক, গান, খেলাধুলার মতো অনুষ্ঠানই দেখা যেত। খবরের দুনিয়ায় তখন ছিল ‘রেডিওর যুগ’ । সারা বিশ্বের মানুষ গুরুগম্ভীর গলায় প্রতিদিনের খবর শোনার জন্য বসে থাকত রেডিওর পাশে।
সেখানে সংবাদ ‘দেখানো’ নিয়ে বিবিসি কর্মকর্তারা তখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। একজন ‘মানুষ’ সংবাদ পড়ছে টেলিভিশনের পর্দায়, এটা দেখে দর্শকের মনোযোগ খবরে না থেকে যদি পাঠকের চেহারায় চলে যায়!
কিন্তু পরমুহূর্তে বিবিসির কর্তারা ভাবলেন, যুগ বদলাচ্ছে, তাই টেলিভিশনের পর্দায় পড়ে শোনালে যেকোনো ধরনের সংবাদ মানুষের আরও কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন, বুলেটিনের প্রথম এবং শেষ সময়ে কিছু সময়ের জন্য সংবাদ পাঠককে দেখাবেন। আর বাকি সময়জুড়ে থাকবে খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি আর ম্যাপ।
দিনটি ছিল সোমবার। ব্রিটেনের ঘরে ঘরে সাদাকালো পর্দার সামনে বসে অপেক্ষা করছে হাজারো মানুষ। সবার চোখে-মুখে আগ্রহ, উদ্দীপনা–আজ প্রথম টেলিভিশনে কেউ একজন সংবাদ পাঠ করবেন। সবার অপেক্ষা শেষ করে সাদাকালো পর্দায় ভেসে উঠল ‘বিবিসি নিউজ’ লেখা। এরপর পর্দায় দেখানো হচ্ছিল বিভিন্ন দেশের পতাকার ছবি, বৈঠকের ছবি, মানচিত্র আর সঙ্গে একজনের ভারী কণ্ঠস্বর। একটু পরেই পর্দায় এলেন কণ্ঠের পেছনের মানুষটি– রিচার্ড বেকার।
কেমব্রিজ থেকে পড়াশোনা করে আসা রিচার্ড বেকার একাধারে অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী ছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি পরিচিত হয়েছিলেন একজন সংবাদপাঠক হিসেবে। মানুষ সেদিন বুঝতে পারল, সংবাদ শুধু শোনার বিষয় না, দেখারও বিষয়। দূর থেকে দূরে কি ঘটছে না ঘটছে , তা ঘরে বসেই দেখা যাচ্ছে। আসলে রিচার্ড সেদিন পড়ছিলেন ‘জেনেভায় চলমান শান্তি আলোচনা’ নিয়ে সংবাদ।
মজার ব্যাপার হলো বিবিসি প্রথমে ভেবেছিল, সংবাদ পাঠকের মুখ দেখাবে না। এর পেছনে দর্শকের আগ্রহ যেমন বিবেচনায় ছিল, এর পাশাপাশি হয়তো তারা ভেবেছিল, সংবাদ পাঠক যদি খবর পড়ার সময় হেসে ফেলেন কিংবা কাশি দিয়ে ফেলেন, তাহলে সংবাদের গুরুত্ব কমে যেতে পারে।
পরে বিবিসির এই ঐতিহাসিক ঘটনা প্রমাণ করে যে টেলিভিশনের ক্ষেত্রে পাঠকের মুখ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । সংবাদ পাঠক যখন সংবাদ পাঠ করেন, তখন দর্শক তাঁর মুখে আস্থা খুঁজে পান, সংবাদকে বিশ্বাস করতে পারেন ।
রিচার্ড বেকার শুধু একজন প্রথম সংবাদ পাঠক হয়েই থেমে থাকেননি, পরবর্তী সময়ে তিনি বিবিসির একজন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ মুখ হয়ে উঠেছিলেন। এরপর তিনি তিন দশক বিবিসিতে জনপ্রিয় সংবাদ পাঠক হিসেবে কাজ করেছেন । বিবিসির এই প্রথম সংবাদ পাঠকের বাচনভঙ্গির প্রশংসা পরবর্তী কয়েক যুগ পর্যন্ত বিবিসিসহ সবার মুখে মুখে ছিল ।
বিবিসি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২২ সালে, কিন্তু বিবিসির সাদাকালো পর্দায় সংবাদ পড়ার এই ঘটনা ১৯৫৪ সালের ৫ জুলাই সারা বিশ্বের কাছে সাড়া ফেলেছিল। এটি শুধু একটি সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারের দিন ছিল না, ছিল সারা বিশ্বে একটি বিপ্লবের সূচনার দিন।
সালটা ১৯৫৪। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত শেষে ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশ নিজেদেরকে গুছিয়ে নিচ্ছিল। আর একটু একটু করে তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়া পেতে শুরু করেছিল দুনিয়ার মানুষ। তখন সবার কাছে বিস্ময় আর আগ্রহের নাম ছিল ‘টেলিভিশন’। সে বছরই ৫ জুলাই ব্রিটেনের আলেকজান্দ্রা স্টুডিও কিছু একটা বদলে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিবিসির করিডরজুড়ে চলছে চাপা উত্তেজনা। টেলিভিশনের পর্দায় প্রথমবারের মতো সরাসরি সম্প্রচার হতে যাচ্ছে সংবাদ বুলেটিন।
‘জাদুর বাক্স’ থেকে তখন শুধু নাটক, গান, খেলাধুলার মতো অনুষ্ঠানই দেখা যেত। খবরের দুনিয়ায় তখন ছিল ‘রেডিওর যুগ’ । সারা বিশ্বের মানুষ গুরুগম্ভীর গলায় প্রতিদিনের খবর শোনার জন্য বসে থাকত রেডিওর পাশে।
সেখানে সংবাদ ‘দেখানো’ নিয়ে বিবিসি কর্মকর্তারা তখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। একজন ‘মানুষ’ সংবাদ পড়ছে টেলিভিশনের পর্দায়, এটা দেখে দর্শকের মনোযোগ খবরে না থেকে যদি পাঠকের চেহারায় চলে যায়!
কিন্তু পরমুহূর্তে বিবিসির কর্তারা ভাবলেন, যুগ বদলাচ্ছে, তাই টেলিভিশনের পর্দায় পড়ে শোনালে যেকোনো ধরনের সংবাদ মানুষের আরও কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন, বুলেটিনের প্রথম এবং শেষ সময়ে কিছু সময়ের জন্য সংবাদ পাঠককে দেখাবেন। আর বাকি সময়জুড়ে থাকবে খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি আর ম্যাপ।
দিনটি ছিল সোমবার। ব্রিটেনের ঘরে ঘরে সাদাকালো পর্দার সামনে বসে অপেক্ষা করছে হাজারো মানুষ। সবার চোখে-মুখে আগ্রহ, উদ্দীপনা–আজ প্রথম টেলিভিশনে কেউ একজন সংবাদ পাঠ করবেন। সবার অপেক্ষা শেষ করে সাদাকালো পর্দায় ভেসে উঠল ‘বিবিসি নিউজ’ লেখা। এরপর পর্দায় দেখানো হচ্ছিল বিভিন্ন দেশের পতাকার ছবি, বৈঠকের ছবি, মানচিত্র আর সঙ্গে একজনের ভারী কণ্ঠস্বর। একটু পরেই পর্দায় এলেন কণ্ঠের পেছনের মানুষটি– রিচার্ড বেকার।
কেমব্রিজ থেকে পড়াশোনা করে আসা রিচার্ড বেকার একাধারে অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী ছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি পরিচিত হয়েছিলেন একজন সংবাদপাঠক হিসেবে। মানুষ সেদিন বুঝতে পারল, সংবাদ শুধু শোনার বিষয় না, দেখারও বিষয়। দূর থেকে দূরে কি ঘটছে না ঘটছে , তা ঘরে বসেই দেখা যাচ্ছে। আসলে রিচার্ড সেদিন পড়ছিলেন ‘জেনেভায় চলমান শান্তি আলোচনা’ নিয়ে সংবাদ।
মজার ব্যাপার হলো বিবিসি প্রথমে ভেবেছিল, সংবাদ পাঠকের মুখ দেখাবে না। এর পেছনে দর্শকের আগ্রহ যেমন বিবেচনায় ছিল, এর পাশাপাশি হয়তো তারা ভেবেছিল, সংবাদ পাঠক যদি খবর পড়ার সময় হেসে ফেলেন কিংবা কাশি দিয়ে ফেলেন, তাহলে সংবাদের গুরুত্ব কমে যেতে পারে।
পরে বিবিসির এই ঐতিহাসিক ঘটনা প্রমাণ করে যে টেলিভিশনের ক্ষেত্রে পাঠকের মুখ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । সংবাদ পাঠক যখন সংবাদ পাঠ করেন, তখন দর্শক তাঁর মুখে আস্থা খুঁজে পান, সংবাদকে বিশ্বাস করতে পারেন ।
রিচার্ড বেকার শুধু একজন প্রথম সংবাদ পাঠক হয়েই থেমে থাকেননি, পরবর্তী সময়ে তিনি বিবিসির একজন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ মুখ হয়ে উঠেছিলেন। এরপর তিনি তিন দশক বিবিসিতে জনপ্রিয় সংবাদ পাঠক হিসেবে কাজ করেছেন । বিবিসির এই প্রথম সংবাদ পাঠকের বাচনভঙ্গির প্রশংসা পরবর্তী কয়েক যুগ পর্যন্ত বিবিসিসহ সবার মুখে মুখে ছিল ।
বিবিসি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২২ সালে, কিন্তু বিবিসির সাদাকালো পর্দায় সংবাদ পড়ার এই ঘটনা ১৯৫৪ সালের ৫ জুলাই সারা বিশ্বের কাছে সাড়া ফেলেছিল। এটি শুধু একটি সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারের দিন ছিল না, ছিল সারা বিশ্বে একটি বিপ্লবের সূচনার দিন।
মুর্তজা বশীর বাংলাদেশের শিল্প আন্দোলনের দ্বিতীয় প্রজন্মের চিত্রশিল্পী। তাঁর জন্ম ১৯৩২ সালে ১৭ আগষ্ট ঢাকার শহরে। বাবা জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, মা মরগুবা খাতুন।
২ ঘণ্টা আগেতাহসান আর মিথিলার ছাড়াছাড়ির গসিপে পার্টিসিপেট করে নাই এমন মানুষ খুব কমই ছিল। ব্যাটারা ব্যাপক দুঃখী আর ভিক্টিমাইজড মোডে চলে গেলেও নারীরা মৃদু খুশিই হইছে। এত হ্যান্ডসাম একটা ছেলে সিঙ্গেল দেখাই তো আরাম, নাকি? আমার এক বান্ধবীর মোবাইলের ওয়ালপেপারেও সেইভ করা ছিল তাহসানের ছবি।
৩ ঘণ্টা আগেভোর থেকেই ঢাকার আকাশে উলুধ্বনি আর শাঁখের আওয়াজে শুরু হয় শুভ জন্মাষ্টমীর উৎসব। রঙিন শোভাযাত্রা, ভক্তদের ঢল ও ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পুজা-অর্চনায় মুখর ছিল পুরান ঢাকা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ঘিরে ভক্তি, আনন্দ আর সম্প্রীতির আবহে মিলেমিশে ছিল আবেগ, স্মৃতি ও সামাজিক একতার আহ্বান।
১ দিন আগেশিল্পী হিসেবে নিজের সৃষ্টির মধ্যে ততদিন একজন আইয়ুব বাচ্চু বেঁচে থাকবেন, যতদিন বাংলা গান বেঁচে থাকবে। পাশাপাশি আমার প্রজন্মের সবার মধ্যে তিনি বেঁচে থাকবেন একজন বড় ভাই হিসেবে, মেন্টর হিসেবে, অভিভাবক হিসেবে। কারণ, একজন আইয়ুব বাচ্চু বাংলা রকযাত্রায় আমাদের ছায়াবৃক্ষ।
১ দিন আগে