স্ট্রিম প্রতিবেদক
অগ্নিস্নান করে বৈশাখ এসেছে। রাজধানীজুড়ে গতকাল ছিল বৈশাখবরণের নানা আয়োজন। পুরান ঢাকায়ও উদযাপনের কমতি ছিল না। নতুন ঢাকা আর পুরান ঢাকার বৈশাখ উদযাপনের মধ্যে অনেক আগ থেকেই ফারাক রয়েছে। কী সেই পার্থক্য? জানাচ্ছেন শতাব্দীকা ঊর্মি
নতুন ঢাকার বৈশাখের তুলনায় পুরান ঢাকায় বৈশাখ আসে একটু ভিন্ন সুরে। নতুন ঢাকার বৈশাখে সাধারণত সকালবেলার শোভাযাত্রায় আসার তাড়া দিয়ে আরম্ভ হয়, এরপর থাকে দিনব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কোথাও কোথাও দেখা গেল গরম ভাতে পানি দেওয়া পান্তা-ইলিশের আয়োজন। অনেকেই রমনার বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে অংশগ্রহণ করে বন্ধু কিংবা পরিবার নিয়ে। কেউ কেউ চলে যায় নামীদামি রেস্তোরাঁ, বৈশাখী হ্যাংআউটে। সব মিলিয়ে একদম করপোরেট-জীবনের মতো সাজানো-গোছানো আয়োজনে শেষ হয় বৈশাখ।
বাহারি খাবারের আয়োজন
তবে পুরান ঢাকার বৈশাখে থাকে একটা ক্লাসিক আবহ। যার কারণ এখানকার পাড়াকালচার আর ক্লাবভিত্তিক সাংস্কৃতিক আয়োজন। একশ বছর ধরে পুরান ঢাকায় ক্লাবভিত্তিক পাড়াকালচার খুব শক্তিশালী, স্বভাবতই যার প্রভাব পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানেও দেখা যায়।
মহল্লাগুলোর সামজিক সংগঠনের আয়োজনে থাকে পালাগান বা পহেলা বৈশাখের বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান। গলিগুলো থেকে বের হতে দেখা যায় বাহারি বৈশাখী শোভাযাত্রা। বংশালের মেলায় থাকে মাটির হাঁড়িপাতিল, মাটির খেলনা, টিনের তৈরি জাহাজ, টমটমসহ নানারকম খেলনা, খই-মুড়ি, মোয়া, বাতাসা, যেগুলোর মধ্যে উঁকি দেয় গ্রামবাংলার স্মৃতি। এখানকার বৈশাখের সকালে থাকে দই-মিষ্টিসহ স্থানীয় খাবার, ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার আদি ঢাকাইয়াদের রয়েছে সেরা শাহি রান্নার খ্যাতি। পুরান ঢাকার ভোজনরসিক মানুষেরা পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের পাশাপাশি অনেকেই শাহী মোরগ পোলাও, শাহি বিরিয়ানি, মোরগ মোসাল্লাম, শাহি টুকরা, চিংড়ির মালাইকারি, কালাভুনা ইত্যাদি খাবারকে বেছে নেবেন তাতে সন্দেহ নেই। পুরান ঢাকায় সকালের নাশতা ছাড়াও যেকোন উৎসবে তাদের প্রিয় বাকরখানি, রুটির সঙ্গে ফিরনি বা ঝাল মাংস পরিবেশন করাটা ঘরে ঘরে ব্যাপক জনপ্রিয়। পুরান ঢাকার স্থানীয় বাড়িগুলোতে বৈশাখের সকালে দেখা মিলবে যবের ছাতুরও।
মহাসমারোহের হালখাতা
পুরান ঢাকায় মহাসমারোহে পালিত হয় ‘হালখাতা’। ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে হালখাতার প্রচলন হয়; মোগল সম্রাট আকবরের বাংলা সন প্রবর্তনের পর। বছরের প্রথম দিনে রাজদরবারে খাজনা প্রদানের দিনটি বিবর্তিত হয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে হালখাতার আয়োজন ধারাবাহিকতা পায় । হালখাতার আয়োজনকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের বাড়িতে থাকে ব্যস্ততা, দোকান সাজানোর তাড়া। নতুন ঢাকার ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ হালখাতার আয়োজন করলেও সবার থাকে না হালখাতার তাড়া, শুভেচ্ছা বিনিময় হয় ফোনের মাধ্যমেই। তবে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, শ্যামবাজার,ইসলামপুর, চকবাজারের ব্যবসায়ীদের দোকানে এখনো দেখা যায় লাল কাপড়ে বাঁধাই করা সেই ঐতিহ্যবাহী হালখাতা।
ঢাকা শহরে প্রতিবছর বৈশাখ পালিত হয় নানা রঙে। তবে ঐতিহ্যগতভাবে ঢাকার দুই দিকের আমেজ থাকে দুই রকম। নতুন ঢাকার স্টাইলিশ ও নান্দনিক বৈশাখের পাশাপাশি পুরান ঢাকার হুল্লোড়ময় বৈশাখ ঢাকার নববর্ষের ঐতিহ্যে তৈরি করে বহুমাত্রিকতা।
অগ্নিস্নান করে বৈশাখ এসেছে। রাজধানীজুড়ে গতকাল ছিল বৈশাখবরণের নানা আয়োজন। পুরান ঢাকায়ও উদযাপনের কমতি ছিল না। নতুন ঢাকা আর পুরান ঢাকার বৈশাখ উদযাপনের মধ্যে অনেক আগ থেকেই ফারাক রয়েছে। কী সেই পার্থক্য? জানাচ্ছেন শতাব্দীকা ঊর্মি
নতুন ঢাকার বৈশাখের তুলনায় পুরান ঢাকায় বৈশাখ আসে একটু ভিন্ন সুরে। নতুন ঢাকার বৈশাখে সাধারণত সকালবেলার শোভাযাত্রায় আসার তাড়া দিয়ে আরম্ভ হয়, এরপর থাকে দিনব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কোথাও কোথাও দেখা গেল গরম ভাতে পানি দেওয়া পান্তা-ইলিশের আয়োজন। অনেকেই রমনার বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে অংশগ্রহণ করে বন্ধু কিংবা পরিবার নিয়ে। কেউ কেউ চলে যায় নামীদামি রেস্তোরাঁ, বৈশাখী হ্যাংআউটে। সব মিলিয়ে একদম করপোরেট-জীবনের মতো সাজানো-গোছানো আয়োজনে শেষ হয় বৈশাখ।
বাহারি খাবারের আয়োজন
তবে পুরান ঢাকার বৈশাখে থাকে একটা ক্লাসিক আবহ। যার কারণ এখানকার পাড়াকালচার আর ক্লাবভিত্তিক সাংস্কৃতিক আয়োজন। একশ বছর ধরে পুরান ঢাকায় ক্লাবভিত্তিক পাড়াকালচার খুব শক্তিশালী, স্বভাবতই যার প্রভাব পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানেও দেখা যায়।
মহল্লাগুলোর সামজিক সংগঠনের আয়োজনে থাকে পালাগান বা পহেলা বৈশাখের বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান। গলিগুলো থেকে বের হতে দেখা যায় বাহারি বৈশাখী শোভাযাত্রা। বংশালের মেলায় থাকে মাটির হাঁড়িপাতিল, মাটির খেলনা, টিনের তৈরি জাহাজ, টমটমসহ নানারকম খেলনা, খই-মুড়ি, মোয়া, বাতাসা, যেগুলোর মধ্যে উঁকি দেয় গ্রামবাংলার স্মৃতি। এখানকার বৈশাখের সকালে থাকে দই-মিষ্টিসহ স্থানীয় খাবার, ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার আদি ঢাকাইয়াদের রয়েছে সেরা শাহি রান্নার খ্যাতি। পুরান ঢাকার ভোজনরসিক মানুষেরা পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের পাশাপাশি অনেকেই শাহী মোরগ পোলাও, শাহি বিরিয়ানি, মোরগ মোসাল্লাম, শাহি টুকরা, চিংড়ির মালাইকারি, কালাভুনা ইত্যাদি খাবারকে বেছে নেবেন তাতে সন্দেহ নেই। পুরান ঢাকায় সকালের নাশতা ছাড়াও যেকোন উৎসবে তাদের প্রিয় বাকরখানি, রুটির সঙ্গে ফিরনি বা ঝাল মাংস পরিবেশন করাটা ঘরে ঘরে ব্যাপক জনপ্রিয়। পুরান ঢাকার স্থানীয় বাড়িগুলোতে বৈশাখের সকালে দেখা মিলবে যবের ছাতুরও।
মহাসমারোহের হালখাতা
পুরান ঢাকায় মহাসমারোহে পালিত হয় ‘হালখাতা’। ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে হালখাতার প্রচলন হয়; মোগল সম্রাট আকবরের বাংলা সন প্রবর্তনের পর। বছরের প্রথম দিনে রাজদরবারে খাজনা প্রদানের দিনটি বিবর্তিত হয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে হালখাতার আয়োজন ধারাবাহিকতা পায় । হালখাতার আয়োজনকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের বাড়িতে থাকে ব্যস্ততা, দোকান সাজানোর তাড়া। নতুন ঢাকার ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ হালখাতার আয়োজন করলেও সবার থাকে না হালখাতার তাড়া, শুভেচ্ছা বিনিময় হয় ফোনের মাধ্যমেই। তবে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, শ্যামবাজার,ইসলামপুর, চকবাজারের ব্যবসায়ীদের দোকানে এখনো দেখা যায় লাল কাপড়ে বাঁধাই করা সেই ঐতিহ্যবাহী হালখাতা।
ঢাকা শহরে প্রতিবছর বৈশাখ পালিত হয় নানা রঙে। তবে ঐতিহ্যগতভাবে ঢাকার দুই দিকের আমেজ থাকে দুই রকম। নতুন ঢাকার স্টাইলিশ ও নান্দনিক বৈশাখের পাশাপাশি পুরান ঢাকার হুল্লোড়ময় বৈশাখ ঢাকার নববর্ষের ঐতিহ্যে তৈরি করে বহুমাত্রিকতা।
খাইরুল বাসারের গান ইউটিউবে শুনতে গিয়ে কমেন্টবক্সে চোখ পড়ল। এক ভক্ত লিখেছেন, ‘খাইরুল বাসারের গানে আলাদা একটা পিনিক আছে।’ এই ‘পিনিক’ আসলে 'ক্যাচি' আর লিরিকে-টিউনে রেপিটেটিভ ফর্মের কারণে হুকলাইন মুখস্ত হয়ে যাওয়া। আর সঙ্গে বাংলা ঢোলের মাথাদোলানো সাউন্ডস্কেপ।
১০ ঘণ্টা আগে‘ঘরে না থাকলে লাইট-ফ্যান বন্ধ রাখুন’—মোটামুটি সকলেই এ বাক্যটির সঙ্গে পরিচিত। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে টিভি, রেডিও, পত্রিকা- কোথায় ছিল না এই বিজ্ঞাপন?
১০ ঘণ্টা আগেবাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয় ও আধুনিকতার এক উজ্জ্বল ভাষ্যকার রশীদ করীম। উপন্যাসের আখ্যানে ধারণ করেছেন বাংলা অঞ্চলের মানুষের নৈমিত্তিক ছবি-ব্যক্তিক ও সামষ্টিক বাসনার রূপকল্প।
১৩ ঘণ্টা আগেদুটি হাতের মধ্যে আমরা ডানহাতকেই বেশি এগিয়ে রাখি তাই না! ডান হাতই যেন সঠিক। বাম হাত দিয়ে কাউকে কোনো কিছু দিলেই তো মা দিতো বকা! তবে কেউ কেউ আমাদের আশপাশে ছিল যাঁরা বাম হাতে লিখতেন বা কাজ করতেন।
১ দিন আগে