সাক্ষাৎকার
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া। খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সনদের পটভূমি, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ৮৪টি বিষয় এবং বাস্তবায়নের ৮টি অঙ্গীকারনামা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে শনিবার (১৬ আগস্ট) খসড়াটি রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হয়। খসড়ার শব্দ, বাক্য গঠন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে তা ২০ আগস্ট বিকেল ৪ টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। জুলাই সনদ নিয়ে স্ট্রিমের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন জুলাই সনদ নিয়ে নিজেদের অবস্থান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী স্ট্রিমকে জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনো জায়গায় পরিবর্তনের সুযোগ থাকে, সেখানে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে যেখানে পরিবর্তনের সুযোগ নেই, সেখানে একপক্ষ অন্যপক্ষের চিন্তা চাপিয়ে দিতে পারবে না।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম: জুলাই সনদ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এই সনদের আওতা কতটুকু বলে আপনি মনে করেন?
আমির খসরু: প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলেরই নিজস্ব দর্শন, চিন্তা-ভাবনা, ভবিষ্যৎ রূপরেখা আছে। এখানে ঐকমত্য যতটুকু হয়, এর বাইরে যাওয়ার বেশি সুযোগ নেই। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকে রাজনৈতিক দল গড়ে তুলেছে এবং তাদের নিজস্ব বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে চায়। কিন্তু দিনের শেষে যেটুকু ঐকমত্য হবে সেটা ভালো, আর যেটুকু হবে না, সেটুকু আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট নিতে হবে।
কোনো দলের উদ্দেশ্য বা দর্শনের সঙ্গে এই সনদ নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদের জুলাই সনদ করতে হবে। আমাদের মধ্যে এমন একটা মনোবৃত্তি তৈরি হয়েছে যে অনেকে মনে করেন, ‘আমারটাই সঠিক, এটাই করতে হবে।’ এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্র মানে হলো একটি ফিল্টারেশন প্রসেস, একটি কারেকশন প্রসেস। এই প্রসেসকে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে।
স্ট্রিম: ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে ৮৪টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রায় ৭০টি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত তৈরি হয়েছে। পিআর, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার গঠন, সাংবিধানিক পদ—যেমন প্রধান অডিটর জেনারেল, নির্বাচন কমিশনার ইত্যাদিতে নিয়োগ—এ রকম ১৪টি বিষয় নিয়ে এখনো দ্বিমত আছে। ঐকমত্য কমিশন থেকে বলা হচ্ছে, এগুলোর বিষয়ে ঐকমত্য হলে ওঁরা বলতে পারবেন যে জুলাই সনদের বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে… কমিশন এগুলো নিয়ে আরও বসতে পারে…
আমির খসরু: ঐকমত্য কমিশন বসতে চায়, বসুক। বসতে অসুবিধা নেই। আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনো জায়গায় পরিবর্তনের সুযোগ থাকে, সেখানে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে যেখানে পরিবর্তনের সুযোগ নেই, সেখানে এক পক্ষ অন্য পক্ষের চিন্তা চাপিয়ে দিতে পারবে না।
আমরা তো পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসির চর্চা করছি। পশ্চিমা দেশগুলোও একইভাবে চর্চা করছে। এর মধ্যে নতুন কোনো পদ্ধতি ঢোকাতে গেলে সেটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। আগামী নির্বাচনে যাঁরা পিআর চায়, তাঁরা জনগণের কাছে যাক, জনগণের মতামত নিয়ে পরিবর্তন করার তো সুযোগ আছে। এই পর্যায়ে এটা চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। পশ্চিমা সংসদীয় গণতন্ত্র বহু দেশেই কার্যকরভাবে কাজ করছে। আমাদের দেশেও এটা শুধু রাজনীতি না, সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। সুতরাং জনগণ যদি চায়, সেটা পিআর আকারে হবে, অসুবিধা নেই। জনগণের মতামত ছাড়া কোনো গোষ্ঠী, কোনো দল, কিংবা কোনো ব্যক্তি জনগণের ওপর নিজের চিন্তা চাপিয়ে দিতে পারবে না।
কোনো দলের উদ্দেশ্য বা দর্শনের সঙ্গে এই সনদ নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদের জুলাই সনদ করতে হবে। আমাদের মধ্যে এমন একটা মনোবৃত্তি তৈরি হয়েছে যে অনেকে মনে করেন, ‘আমারটাই সঠিক, এটাই করতে হবে।’ এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
স্ট্রিম: এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলছেন, ফেব্রুয়ারির তারিখ অনুযায়ী নির্বাচন করা যাবে, যদি সংস্কার ও জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়। এ প্রসঙ্গে আপনি কী বলবেন?
আমির খসরু: এটা তাঁর (নাহিদ) ব্যক্তিগত মতামত। সবার মতামতের পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ চলবে। সবই আসলে জনগণের মতামতের ওপর। তাঁরা যদি কিছু চায়, কিন্তু তা যদি ঐকমত্যের ভিত্তিতে না আসে, তাহলে তাঁরা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে ম্যান্ডেট নিয়ে আসুক। এটা হলে ওটা করব না, সেটা হলে ওটা করব না, এটা তো গণতান্ত্রিক মন–মানসিকতার পরিচায়ক না।
স্ট্রিম: অর্থাৎ যতটুকু ঐকমত্য হবে, ততটুকুর ভিত্তিতে জুলাই সনদ ঘোষণা করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে?
আমির খসরু: একদম। আমরাও যদি কিছু চাই, সেটা যদি পূরণ না হয়, সেটা আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যাব তো, তাই না? এটা তো আমাদের চিন্তা, আমাদের সঙ্গে যাঁরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলেন, সবাই মিলে চিন্তা করেই করেছি।
আসলে হাসিনা চলে যাওয়ার পরও আমাদের কারও কারও মধ্যে মাইক্রো হাসিনার মনোভাব আছে। সেটা দিয়ে তো গণতন্ত্র হবে না।
স্ট্রিম: আপনি বলতে চাইছেন, শেখ হাসিনার মনোভাব ত্যাগ করে, জনগণের মনোভাব মাথায় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে?
আমির খসরু: জনগণের কাছে ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাস করাই হলো গণতন্ত্র। এর বাইরে আর কিছু নেই। সহনশীলতা ও অন্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও তার মতামতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। গত ১৭ বছরে মানুষ জীবন দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে কেন? নিজের গণতান্ত্রিক মালিকানা, অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য।
আমরা তো পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসির চর্চা করছি। পশ্চিমা দেশগুলোও একইভাবে চর্চা করছে। এর মধ্যে নতুন কোনো পদ্ধতি ঢোকাতে গেলে সেটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। আগামী নির্বাচনে যাঁরা পিআর চায়, তাঁরা জনগণের কাছে যাক, জনগণের মতামত নিয়ে পরিবর্তন করার তো সুযোগ আছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
স্ট্রিম: তাহলে জুলাই সনদের বৈধতা কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে?
আমির খসরু: যতটুকু ঐকমত্য হবে, সেটা নিয়েও জনগণের কাছে যেতে হবে। সব রাজনৈতিক দল একমত হলেও তো চলবে না। ঐকমত্য তৈরি করতে জনগণকে অবহিত করতে হবে। এটি একটি বেসিক প্রক্রিয়া, জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সনদসংক্রান্ত বিষয়েও এটি প্রযোজ্য। সনদ অবশ্যই জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে, জানতে হবে তারা কী চায়।
স্ট্রিম: জুলাই সনদের খসড়ায় বলা হয়েছে, অন্য আইনে যাই থাকুক না কেন, এটি আসলে সব আইনের ঊর্ধ্বে…
আমির খসরু: ঠিক আছে। কিন্তু সংবিধানও তো পরিবর্তনশীল। যতটুকু ঐকমত্য হবে আমরা পালন করব। বিএনপি মনে করে, জনগণের মত সবার ঊর্ধ্বে। তাই আর কেউ নিয়ে যাক না যাক, এই সনদকে আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যাব। আমরা জনগণের মতামত এবং ম্যান্ডেট নিয়ে এটি সংসদে পাস করব।
আসলে এটা কোন অ্যাকাডেমিকের কাজ না যে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেওয়া। একাডেমিক বা অন্যান্য বিশেষজ্ঞেরা বসে বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চায়, এটাও তো গ্রহণযোগ্য না। এটা বাংলাদেশের জনগণের কাজ।
স্ট্রিম: জুলাই সনদ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এই সনদের আওতা কতটুকু বলে আপনি মনে করেন?
আমির খসরু: প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলেরই নিজস্ব দর্শন, চিন্তা-ভাবনা, ভবিষ্যৎ রূপরেখা আছে। এখানে ঐকমত্য যতটুকু হয়, এর বাইরে যাওয়ার বেশি সুযোগ নেই। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকে রাজনৈতিক দল গড়ে তুলেছে এবং তাদের নিজস্ব বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে চায়। কিন্তু দিনের শেষে যেটুকু ঐকমত্য হবে সেটা ভালো, আর যেটুকু হবে না, সেটুকু আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট নিতে হবে।
কোনো দলের উদ্দেশ্য বা দর্শনের সঙ্গে এই সনদ নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদের জুলাই সনদ করতে হবে। আমাদের মধ্যে এমন একটা মনোবৃত্তি তৈরি হয়েছে যে অনেকে মনে করেন, ‘আমারটাই সঠিক, এটাই করতে হবে।’ এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্র মানে হলো একটি ফিল্টারেশন প্রসেস, একটি কারেকশন প্রসেস। এই প্রসেসকে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে।
স্ট্রিম: ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে ৮৪টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রায় ৭০টি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত তৈরি হয়েছে। পিআর, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার গঠন, সাংবিধানিক পদ—যেমন প্রধান অডিটর জেনারেল, নির্বাচন কমিশনার ইত্যাদিতে নিয়োগ—এ রকম ১৪টি বিষয় নিয়ে এখনো দ্বিমত আছে। ঐকমত্য কমিশন থেকে বলা হচ্ছে, এগুলোর বিষয়ে ঐকমত্য হলে ওঁরা বলতে পারবেন যে জুলাই সনদের বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে… কমিশন এগুলো নিয়ে আরও বসতে পারে…
আমির খসরু: ঐকমত্য কমিশন বসতে চায়, বসুক। বসতে অসুবিধা নেই। আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনো জায়গায় পরিবর্তনের সুযোগ থাকে, সেখানে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে যেখানে পরিবর্তনের সুযোগ নেই, সেখানে এক পক্ষ অন্য পক্ষের চিন্তা চাপিয়ে দিতে পারবে না।
আমরা তো পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসির চর্চা করছি। পশ্চিমা দেশগুলোও একইভাবে চর্চা করছে। এর মধ্যে নতুন কোনো পদ্ধতি ঢোকাতে গেলে সেটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। আগামী নির্বাচনে যাঁরা পিআর চায়, তাঁরা জনগণের কাছে যাক, জনগণের মতামত নিয়ে পরিবর্তন করার তো সুযোগ আছে। এই পর্যায়ে এটা চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। পশ্চিমা সংসদীয় গণতন্ত্র বহু দেশেই কার্যকরভাবে কাজ করছে। আমাদের দেশেও এটা শুধু রাজনীতি না, সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। সুতরাং জনগণ যদি চায়, সেটা পিআর আকারে হবে, অসুবিধা নেই। জনগণের মতামত ছাড়া কোনো গোষ্ঠী, কোনো দল, কিংবা কোনো ব্যক্তি জনগণের ওপর নিজের চিন্তা চাপিয়ে দিতে পারবে না।
কোনো দলের উদ্দেশ্য বা দর্শনের সঙ্গে এই সনদ নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদের জুলাই সনদ করতে হবে। আমাদের মধ্যে এমন একটা মনোবৃত্তি তৈরি হয়েছে যে অনেকে মনে করেন, ‘আমারটাই সঠিক, এটাই করতে হবে।’ এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
স্ট্রিম: এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলছেন, ফেব্রুয়ারির তারিখ অনুযায়ী নির্বাচন করা যাবে, যদি সংস্কার ও জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়। এ প্রসঙ্গে আপনি কী বলবেন?
আমির খসরু: এটা তাঁর (নাহিদ) ব্যক্তিগত মতামত। সবার মতামতের পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ চলবে। সবই আসলে জনগণের মতামতের ওপর। তাঁরা যদি কিছু চায়, কিন্তু তা যদি ঐকমত্যের ভিত্তিতে না আসে, তাহলে তাঁরা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে ম্যান্ডেট নিয়ে আসুক। এটা হলে ওটা করব না, সেটা হলে ওটা করব না, এটা তো গণতান্ত্রিক মন–মানসিকতার পরিচায়ক না।
স্ট্রিম: অর্থাৎ যতটুকু ঐকমত্য হবে, ততটুকুর ভিত্তিতে জুলাই সনদ ঘোষণা করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে?
আমির খসরু: একদম। আমরাও যদি কিছু চাই, সেটা যদি পূরণ না হয়, সেটা আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যাব তো, তাই না? এটা তো আমাদের চিন্তা, আমাদের সঙ্গে যাঁরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলেন, সবাই মিলে চিন্তা করেই করেছি।
আসলে হাসিনা চলে যাওয়ার পরও আমাদের কারও কারও মধ্যে মাইক্রো হাসিনার মনোভাব আছে। সেটা দিয়ে তো গণতন্ত্র হবে না।
স্ট্রিম: আপনি বলতে চাইছেন, শেখ হাসিনার মনোভাব ত্যাগ করে, জনগণের মনোভাব মাথায় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে?
আমির খসরু: জনগণের কাছে ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাস করাই হলো গণতন্ত্র। এর বাইরে আর কিছু নেই। সহনশীলতা ও অন্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও তার মতামতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। গত ১৭ বছরে মানুষ জীবন দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে কেন? নিজের গণতান্ত্রিক মালিকানা, অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য।
আমরা তো পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসির চর্চা করছি। পশ্চিমা দেশগুলোও একইভাবে চর্চা করছে। এর মধ্যে নতুন কোনো পদ্ধতি ঢোকাতে গেলে সেটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। আগামী নির্বাচনে যাঁরা পিআর চায়, তাঁরা জনগণের কাছে যাক, জনগণের মতামত নিয়ে পরিবর্তন করার তো সুযোগ আছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
স্ট্রিম: তাহলে জুলাই সনদের বৈধতা কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে?
আমির খসরু: যতটুকু ঐকমত্য হবে, সেটা নিয়েও জনগণের কাছে যেতে হবে। সব রাজনৈতিক দল একমত হলেও তো চলবে না। ঐকমত্য তৈরি করতে জনগণকে অবহিত করতে হবে। এটি একটি বেসিক প্রক্রিয়া, জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সনদসংক্রান্ত বিষয়েও এটি প্রযোজ্য। সনদ অবশ্যই জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে, জানতে হবে তারা কী চায়।
স্ট্রিম: জুলাই সনদের খসড়ায় বলা হয়েছে, অন্য আইনে যাই থাকুক না কেন, এটি আসলে সব আইনের ঊর্ধ্বে…
আমির খসরু: ঠিক আছে। কিন্তু সংবিধানও তো পরিবর্তনশীল। যতটুকু ঐকমত্য হবে আমরা পালন করব। বিএনপি মনে করে, জনগণের মত সবার ঊর্ধ্বে। তাই আর কেউ নিয়ে যাক না যাক, এই সনদকে আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যাব। আমরা জনগণের মতামত এবং ম্যান্ডেট নিয়ে এটি সংসদে পাস করব।
আসলে এটা কোন অ্যাকাডেমিকের কাজ না যে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেওয়া। একাডেমিক বা অন্যান্য বিশেষজ্ঞেরা বসে বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চায়, এটাও তো গ্রহণযোগ্য না। এটা বাংলাদেশের জনগণের কাজ।
বরাদ্দ পাওয়ার আশায় নিজেদের টাকায় সংস্কারকাজ করেছে অনেক বিদ্যালয়। এখন বরাদ্দ ফেরত যাওয়ায় তারাও পড়েছে বিপাকে। সেই সঙ্গে সংস্কার না হওয়া বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
৩ মিনিট আগেজুলাই সনদ নিয়ে নিজেদের অবস্থান। স্ট্রিমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি স্ট্রিমকে বলেছেন, জুলাই সনদে কিন্তু শুধু ঐকমত্যের জায়গাই নেই, সঙ্গে নোট অব ডিসেন্টও আছে। আমরা সই করেছি ঐকমত্য এবং নোট অব ডিসেন্ট–দুটো বিষয় নিয়েই।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ নিয়ে স্ট্রিমের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন জুলাই সনদ নিয়ে নিজেদের অবস্থান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদে তাঁদের কয়েকটি মৌলিক দাবি বাদ পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু স্ট্রিমকে জানিয়েছেন, জুলাই সনদের অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে এখনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এক্ষেত্রে বিএনপি যদি একটু উদারতা ও আন্তরিকতা দেখায়, আশা করি একটা সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
৪ ঘণ্টা আগে