জুলাই গণ-অভ্যুত্থান
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে যে ছাত্র আন্দোলন হলো এবং এতে তৎকালীন সরকারের ছাত্র-সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় বাহিনী—এই দুইয়ের নৃশংসতায় সহস্রাধিক যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটল, আজও তা ভুলতে পারি না। মূলত এর পরেই তো শুরু হলো ছাত্র-জনতার গণজোয়ার।
সীমান্ত সংঘাত
সীমানা নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিবাদের ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৮৬৩ সালে কম্বোডিয়ায় ফরাসি দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রান্সের একটি আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়। থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয় হয় মূলত ১৯০৭ সালে।
পোশাকের রাজনীতি
আমার জ্ঞাতি ভাইবোনরা তাঁকে লাল কাকা বা মামা বলে ডাকত। তাঁর লাল ফেজ টুপির কারণেই সম্ভবত। নাকি তাঁর লালচে ত্বকের কারণে? এ ব্যাপারে আমি কখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
এ ধরনের গণ-ট্র্যাজেডি, সামষ্টিক আবেগ থেকে যা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়, তা কভার করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের এমন অবস্থান অবশ্য নতুন নয়। দুর্দশাকে উপজীব্য করে সস্তা সাহিত্য রচনার চল রয়েছে বহু আগে থেকেই। মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশের সংবাদমাধ্যমে সেই ঐতিহ্যই প্রবাহিত হয়েছে।
কিছু ক্ষেত্রে, দারিদ্র্য এবং চরমপন্থার মধ্যে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের মতো রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে, তাদের সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার পেছনে আছে সম্প্রসারণবাদী আচরণ।
আমার এখনও মনে পড়ে, আমাদের স্কুলের মাঠে লুৎফর রহমান স্যার চিৎকার করে রোল নাম্বার ডাকছিলেন, সঙ্গে লেটার সংখ্যা আর রেজাল্ট বলছিলেন। গলায় কাতর স্বর তুলে আমার বেলায় স্যার বললেন, ‘আহা, ছেলেটা স্টার পায় নাই, ধর্মে লেটার…।’
মুরাদনগরের ঘটনার ওপর কয়েক দিন ধরে নজর রাখছিলাম। বুঝতে চেষ্টা করছিলাম, সেখানে আসলে কী হয়েছে। পত্রিকা মারফত জানলাম, সেখানে ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ জুন। ২৭ জুনের কোনো পত্রপত্রিকায় ব্যাপারটা নিয়ে কোনো খবর প্রকাশিত হয়নি। ২৮ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এই পৃথিবীর বিদ্রোহের বিরানভূমিতে জুলাই যেন অভ্যুত্থানের অনন্ত রূপক। রোমান সাম্রাজ্যে স্পার্টাকাসের দাস বিদ্রোহ থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল বিদ্রোহ এবং এর মধ্যবর্তী সময়ে দুনিয়ায় দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যেসব স্ফুলিঙ্গ নিজেরাই ছড়িয়ে দিয়েছিল দাবানল, তার সবগুলোই একেকটা অনিবার্য জুলাই।