জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক
আমরা হয়তো অভিযোগ তুলতে পারি, রবীন্দ্রনাথ আর কিছুই নন—উনিশ শতকের উপনিবেশিত কলকাতার চিত্তদূতমাত্র। জমিদারির অঢেল বিত্তে বেড়ে ওঠাদের দলে তিনিও ছিলেন। তাহলে সে কথা হবে আংশিক সত্য।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একদফার ডাক। পথে নেমে আসেন ছাত্র-জনতা—নাগরিকেরা। এ সময় শেখ হাসিনা সরকারকে অভিশাপ দিয়েছিলেন এক অধ্যাপক।
একজন শিক্ষক হিসেবে ভাবছি, শ্লোকের মতো করে আমাদের মনে রাখতে হবে মাহরীনের অমোঘ উচ্চারণ, ‘দৌড়াও, ভয় পেও না, আমি আছি।’ পরম নির্ভরতা হয়ে এই ‘থাকা’, এই ‘আছিময়তা’ই হয়তো বড় শিক্ষকের গুণ।
আমার এখনও মনে পড়ে, আমাদের স্কুলের মাঠে লুৎফর রহমান স্যার চিৎকার করে রোল নাম্বার ডাকছিলেন, সঙ্গে লেটার সংখ্যা আর রেজাল্ট বলছিলেন। গলায় কাতর স্বর তুলে আমার বেলায় স্যার বললেন, ‘আহা, ছেলেটা স্টার পায় নাই, ধর্মে লেটার…।’
‘জুলাই–আন্দোলন’ আমার কাছে ছিল আমার রাজনৈতিক আত্মার আধ্যাত্মিক বহিঃপ্রকাশ। দেশচেতনার আবেগে কাতর হয়ে উঠেছিল আমার মন। আমি ঘুমের ভেতর জনতার পায়ের শব্দ শুনতে পেতাম; মানুষের সমবেত স্লোগানগুলো আমাকে প্রকম্পিত করে তুলত।
এ কালের অনেক তরুণের মতো ছফাও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে দাঁড় করিয়েছিলেন কাঠগড়ায়। জাতীয়তাবাদের প্রতীকসমূহের দিকে ছুড়ে দিয়েছিলেন সমালোচনামূলক ভাষ্য। জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, মতাদর্শ—সব কিছুকেই তিনি পাঠযোগ্য করে তুলেছেন।